ওজন কমাতে পানি

ওজন কমানোর জন্য পানির অবদান মারাত্মক। আমরা হয়তো জানি যে, পানি আমাদের সবচেয়ে উপকারি বন্ধু, কিন্তু ওজন কমাতে যে অপরিহার্য, সেটা হয়তো অনেকে জানি না। এক কথায় পানি ছাড়া কোন শরিরের কোন প্রক্রিয়াই সম্ভব নয়।

আমাদের শরীরে চর্বি ভাংগার প্রক্রিয়া কে বলে Lipolysis । এ প্রক্রিয়া শুরু হয় পানির উপস্থিতিতে

(Hydrolysis)এবং এই চর্বি ভাংগার ঘটনাটা ঘটে ব্যায়ামের সময় এবং খালিপেটে (Fasting)। আমরা যদি পর্যাপ্ত পানি না পান করি এবং ব্যায়াম না করি, তাহলে চর্বি ভাংবেনা না। তাই চর্বি ভাংগার জন্য দরকার হল একই সাথে ব্যায়াম ও পর্যাপ্ত পানি পানের অভ্যাস। আবার যেহেতু খালিপেটেও চর্বি ভাংগে, সেহেতু খালিপেটে পানি পান করাও চর্বি গলতে সাহায্য করতে পারে।

পানির উপকারিতাঃ

. পানি শরিরকে হাইড্রেটেড করে।

. হজমে সহায়তা করে।

.খিধা মেটাতে পানি সাহায্য করে। খিধা পেটে পানি খেলে, পেট ভরে থাকে, ব্রেইনে সিগন্যাল যায় যে পেট ভরা, তখন ব্রেইন খাওয়ার সিগন্যাল বন্ধ করে দেয়। এজন্য যে কোন খাওয়ার আগে পানি খেলে, খাওয়া কম হবে আর এতে ওজনও কমতে থাকবে। আর, আমাদের চেষ্টাই তো হল ওজন কমানোর জন্য কম কম খাওয়া।

. পানি শক্তি খরচ করে, ফলে ওজন কমাতে সুবিধা হয়।

. পানি শরিরের আবর্জনা দূর করে।

. পর্যাপ্ত পরিমান পানি পান করলে, অন্যান্য ক্ষতিকর পানীয়ের প্রতি আসক্তি কমে যায়।

সারাদিন কতটুকু পানি পান করবঃ

আমি কিন্তু বলেছি সারাদিনে্‌, ঘণ্টায় নয়।

পুরুষঃ ৩.৫ – ৪ লিটার / দিন

মহিলাঃ ২.৫-৩ লিটার/ দিন

(According to Accademy of Medicine (NAM)in USA)

কিভাবে পানি খাওয়া বাড়াবোঃ

. প্রতিবার যে কোন খাওয়ার পর ২৫০ মিলি বা ১ গ্লাস করে পানি খাওয়া যায়।

. কোথাও গেলে বোতলে করে পানি সাথে নিয়ে নেয়া যায়।

. ব্যায়াম বা হাটা শুরু করার পূর্বে এবং পরে বাড়তি পানি খাওয়া।

. গরম আবহাওয়ায় একটু বেশি পানি খাওয়া।

. বিছানার পাশে সবসময় গ্লাস ও পানি রাখা।

. রসালো ফলমূল বেশি করে খাওয়া।

পানি পান করতে যেয়ে খেয়াল রাখতে হবে যেন, মাত্রাতিরিক্ত পানি পান না করা হয়। যদিও এটা খুবই বিরল ঘটনা। চেষ্টা করতে হবে, সারাদিন ধরে যেন পানি পান করা হয়, একবাসাতে ২/৩ লিটার পানি যেন না খাওয়া হয়।

যে কোন সমস্যা বা রোগের জন্য ডাক্তারের স্মরনাপন্ন হতে হবে।

………ডাঃ তিনা শুভ্র

https://teenasuvrosworld.wordpress.com

(Life Style Medicine)

Leave a comment