হেঁটে হেঁটে ওজন কমানো

হাঁটা শরিরের জন্য খুব ভালো, এটা সবাই জানি। কিন্তু ওজন কমায়, এটা মানতে চাই না। আমাদের ধারণা সারাদিন তো প্রচুর হাঁটাহাোটি করি, কই ওজন তো কমে না্‌…।

আমরা যদি আমাদের শরিরকে একটা সেলাই মেশিনের সাথে তুলনা করি, তাহলে দেখতে পাবো যে, সেলাই মেশিন অনেকদিন না চালালে বা ঠিক মতো তেল না দিলে, কাজও ঠিকমতো করে না। আমাদের শরিরও তাই, ঠিকমত না চালালে, চলতে কষ্ট হয়। এই ঠিকমত চালানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হল হাঁটা। হাঁ, সারাদিন আমরা অনেক হাঁটাহাঁটি করি, বাসার নানা কাজ করি, তারপরও বাড়তি হাঁটতে হবে কেন? এই বাড়তি হাঁটা হল শরিরকে চালু ও স্বাভাবিক রাখার জন্য, আর কিছুই নয়। শুধুমাত্র যে অসুস্থ বা মোটা লোকেরা হাঁটবে আর সুস্থ বা চিকন লোকেরা হাঁটবে না, তা নয়। হাঁটা সবার জন্যই সমান জরুরী। হাঁটার মাধ্যমে সুস্থ লোক হবে আরও প্রানবন্ত আর মোটা ও অসুস্থ লোক হবে চিকন ও সুস্থ। কেবলমাত্র ওজন কমানোর জন্যই যে হাঁটতে হবে, এই ধারণা পুরোপুরি ভুল। আর এখানেই আমরা ভুলটা করে থাকি। আমরা যারা সুস্থ বা চিকন, তারা নিজেদের ফিট মনে করি, কোন হাঁটাহাঁটি করতে চাই না। কিন্তু মনে রাখা দরকার যে, নতুন সেলাই মেশিন কেনার পর থেকে নিয়মিত না চালালে, অকেজো হতে থাকে ধিরে ধিরে। তাই সময় থাকতেই মেশিনের যত্ন নেয়া দরকার। যারা নিয়মিত হাঁটেন, কেবল তারাই এর সুফল বুঝতে পারেন। হাঁটলে শরিরের সকল অংশের সুন্দর নড়াচড়া হয়। বাড়তি সুবিধা হিসেবে ওজনও কমে।

কতটুকু হাঁটবঃ

প্রতিদিন ৩০-৪৫ মিনিট বা ১-২ মাইল

তবে প্রথম প্রথম অল্প অল্প করে শুরু করতে হবে।

খালিপেটে বা ঠিক খাওয়ার পর হাঁটা ঠিক নয়।

ওজন কমানোর জন্য হাঁটাঃ

কেউ যদি ওজন দ্রুত কমাতে চান, তাহলে সবচেয়ে উপযোগী হল Power Walking বা তাড়াতাড়ি করে জোরে জোরে হাঁটা। এতে বাড়তি অনেক শক্তি খরচ হবে, আর একই সাথে পেটের মেদ ও ওজন দুটোই কমবে।

এই Power walking কিন্তু বেশিক্ষন করা যায় না।

১৫-২০ মিনিট করলেই যথেষ্ট। তবে প্রথম প্রথম ৫ মিনিট করে শুরু করতে হবে, পরে আস্তে আস্তে বাড়াতে হবে। মনে রাখতে হবে যে, হাঁটা যত দ্রুত আর জোরে জোরে হবে, শক্তি ততো খরচ হবে। আর ওজনও কমতে থাকবে।

যে কোন সমস্যা বা রোগের জন্য ডাক্তারের স্মরনাপন্ন হতে হবে।

………ডাঃ তিনা শুভ্র

https://teenasuvrosworld.wordpress.com

(Life Style Medicine)

Leave a comment