আমি যদি চীৎকার করে উঠতাম
একজন বধিরও শুনতে পেতো তা
একজন অন্ধও দেখতে পেতো রামধনুর সাত-রং।
আমি যদি চীৎকার করে উঠতাম
পুরান ঢাকার ঐ বদ্ধ কারা ভেংগে
বেরিয়ে আসতো কয়েক হাজার কয়েদী।
আমি যদি চীৎকার করে উঠতাম
জমিনের বুক বিদীর্ন হয়ে যেত –
বদ্ধ সব দীর্ঘশ্বাস মুক্ত হয়ে
ভারাক্রান্ত করে তুলতো তোমাদের।
আমি যদি চীৎকার করে উঠতাম
আকাশটা চিড়ে যেত,
সব নীল রং গড়িয়ে পড়ে
ওটার রং হত চির-কালো।
আমি যদি চীৎকার করে উঠতাম
ভেংগে পড়ত সকল স্মৃতিসৌধ,
কবরের অন্ধগহ্বর ছেড়ে
বেরিয়ে আসত যত মৃতের দল –
আর সদম্ভে ঘোষণা করত
বিষাদের বিস্তীর্ন বিজয়।
আমি যদি চীৎকার করে উঠতাম
মহাকাশ প্রতিধ্বনি করে পাঠিয়ে দিতো সেটা তোমার কানে,
যেন তুমি বুঝতে পারো –
পাশে বসে থেকেও
তোমার থেকে কত দূরে
পড়ে আছি আমি।
