ওজন কমানোর কথা শুনলেই আমরা আঁতকে উঠি “ইস আমি তো অনেক ঘুমাই, আমার মোটা তো কমবে না”। কে বলল যে, আপনার ঘুমই আপনার পথের কাঁটা? একেবারেই না। আপনি কি সারদিনরাত ঘুমান? যখন ঘুম পায়, ঠিক তখনই ঘুমান, তাইতো? আপনি তো মানুষ, কর্মব্যস্ত জীবনে ঘুম ধরতেই পারে। এটা অস্বাভাবিক না। ঘুম চাপলে অবশ্যয়ই ঘুমাবেন, তবে তা হতে হবে নিয়মমাফিক। ওজন কমানোর এই মিশনে নিয়মের বাইরে কোন কথা নেই। ভাবছেন, এত নিয়ম ভালো লাগে না, স্বাধীনভাবে চলবো। কিন্তু ওজনও কমাবেন, আবার নিয়মও মানবেন না, এটা কি সঠিক? কি মনে হয় আপনার? একটা অপরাধ করে ফেলেছেন, কিছু প্রায়শ্চিত্ত করুন, দেখবেন আস্তে আস্তে পাপটা কেটে যাবে। বর্তমান যুগ হল আধুনিক, দিনে আমরা সবাই ঘরে বা বাইরে নানাভাবে ব্যস্ত থাকি, এতো বেশি ঘুমানোর সুযোগ পাই না। তারপরও আমি বলবো, কাজের মাঝে একটু সময় যদি বের করতে পারেন, তাহলে ছোট একটা ঘুম দিয়ে নিতে পারেন। আর যারা গৃহিণী, তাদের বলবো, দুপুরে চাইলে ছোট্ট একটা ঘুম দিয়ে নিতে পারবেন। তবে চেষ্টা করবেন ঘুম যেন এক ঘণ্টার বেশি না হয়। প্রয়োজন হলে ঘড়িতে অ্যালার্ম দিয়ে ঘুমাতে যাবেন, এতে বাড়তি ঘুমটা হবে না। এজন্য আপনার ইচ্ছাই যথেষ্ট। সারাদিনের এই ছোট্ট ঘুম বরং আপনার উপকারই করবে। এতে আপনার ক্লান্তিও ঝরে যাবে আর পরবর্তী কাজগুলো হবে প্রানবন্ত। নতুবা, একটানা জেগে থাকলে, একটা ঝিমধরা ভাব থেকে যায় সবসময়, যা আপনার জীবনকেও বিষাদময় করে তুলতে পারে। যে কোন কাজের জন্য কর্ম উদ্যম খুবই জরুরী। তাই ঘুম কে শত্রু নয়, বন্ধু ভাবুন। আর বেশি ঘুম কাতুরের জন্য আরও সুখবর আছে। সন্ধ্যার পরের কাজগুলো দ্রুত সেরে নিন। রাত ৯.৩০ এর মধ্যে বিছানায় যান। যদি রাত ১০টা থেকেও ঘুমান আর উঠেন ভোর ৬ টায়, তাহলেও মোট ৮ ঘণ্টা ঘুম হয়… এটা কি কম? যদি মনে করেন এতে আপনার হবে না, তাহলে একটু তো ছাড় দিতেই হবে। তবে চেষ্টা করে দেখতে পারেন, হয়তো পারবেনও। এতকিছুর পরও সুখবর আছে। আপনি আরও বেশি ঘুমাতে পারেন, তবে তাও হবে নিয়মের মাঝে…মানে আপনি একটানা অনেকক্ষণ ঘুমাতে পারেন অন্ধকারে, যা হবে সন্ধ্যা থেকে ভোরের মধ্যে। অন্ধকারের এই পুরো সময়টা ঘুমালেও আপনার কোনই ক্ষতি হবে না, আশা করি। এটা হল সৃষ্টিকর্তার দেয়া নিয়ম। নিয়মের ব্যাতিক্রম প্রকৃতি কোনভাবেই মেনে নিবে না। এখন ঠাণ্ডা মাথায় এই কথাগুলো একটু ভাবুন, দেখবেন সমাধান আপনার হাতেই।
……………চলবে…
https://teenasuvrosworld.wordpress.com
(Life Style Medicine)
