
Obesity হলো শরীরের এক বিশেষ অবস্থা, এই অবস্থায় শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় পদার্থ জমা হয় এবং স্বাস্থ্যের ওপর এর ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ে, ফলে আয়ু কমে যেতে পারে এবং একইসঙ্গে শারীরিক নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বডি মাস ইনডেক্স (BMI) হলো শরীরের উচ্চতা ও ওজনের আনুপাতিক হার, যা দিয়ে বোঝা যায় যে কোনো ব্যক্তি মাত্রাধিক ওজন বিশিষ্ট কিনা। যদি কারো বডি মাস ইনডেক্স (BMI) ২৫ kg/m2 থেকে ৩০ kg/m2মধ্যে থাকে তখন তাকে মোটা বলা যেতে পারে, আর যখন বডি মাস ইনডেক্স (BMI) ৩০ kg/m2 বেশি থাকে তখন তাকে অতিরিক্ত মোটা বলা হয়।
ওজন বৃদ্ধি পেলে স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন রোগের সম্ভাবনা দেখা দেয়, বিশেষত হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্ট বা শুয়ে থাকার সময় শ্বাসকষ্ট, কয়েক ধরনের ক্যান্সার, অস্টিওআর্থারাইস, বন্ধ্যাত্ব, নিদ্রাহীনতা, মানসিক অবসাদ, আরও অনেক সমস্যা।
ওজন বাড়ার কারনঃ
অতিরিক্ত ক্যালোরিযুক্ত খাদ্যগ্রহণ, কায়িক শ্রমের অভাব, বংশগত বা জিনগত বৈশিষ্ট্য, হরমোনের গণ্ডগোল, ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, মানসিক অসুস্থতা ইত্যাদিকেই মোটা হয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী করা যেতে পারে।
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, অনেকে খুব কম পরিমাণে খাচ্ছেন অথচ ক্রমশ ওজন বৃদ্ধি পাচ্ছে, এর জন্য ধীরে হজম হওয়াকেই দায়ী করা যেতে পারে।
ওজন কমানোর উপায়ঃ
ওজন কমানোর ঘরোয়া কোনও উপায় নেই। এর একমাত্র উপায় জীবনযাত্রার পরিবর্তন। মাপ মতো খাবার খাওয়া (dieting) এবং শারীরিক বা কায়িক পরিশ্রমই হলো এই ওজন কমানোর প্রাথমিক চিকিৎসা। সীমিত খাদ্যগ্রহণ এবং শারীরিক পরিশ্রমে কাজ না হলে এর পাশাপাশি ওজন কমানোর ওষুধ খাওয়া যেতে পারে, এই ধরনের ওষুধ খাওয়ার ফলে খিধার পরিমাণ অনেকটাই কমে আসে। তুলনামূলকভাবে যারা বেশি মোটা অপারেশনের সাহায্য নিতে পারেন। এই অপারেশনে পাকস্থলীর আয়তন কমিয়ে আনা হয়, এর ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি স্বল্প খাবারেই তৃপ্ত হতে পারেন এবং খাওয়া কমানোর ফলে তার ওজন কমতে থাকে। বর্তমানে গোটা বিশ্বে Obesity বা স্থূলতাই মৃত্যুর অন্যতম প্রতিষেধযোগ্য কারণ হিসাবে চিহ্নিত, প্রাপ্ত বয়স্ক ও শিশুদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা দিনের পর দিন বাড়ছে এবং একবিংশ শতাব্দীতে জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত এই সমস্যাক মারাত্মক আকার নিতে চলেছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে নিজেকেই সচেষ্ট হতে হবে।
https://teenasuvrosworld.wordpress.com
(Weight Reduction and Life Style Medicine)
