কেয়ামত

যাদের হাতে ছয় আঙ্গুল থাকে, তারা ভাগ্যবান হয় – অনেকেই এরকম বিশ্বাস করে। কিন্তু বেশির ভাগ লোকই যেটা জানে না সেটা হল – শুধুমাত্র ডান হাতে ছয় আঙ্গুল থাকলেই সৌভাগ্যের এই নিয়ম কাজ করে, বাঁ হাতে বাড়তি একটা আঙ্গুল থাকার মানে সৌভাগ্য নয় বরং দুর্ভাগ্য। হয়তো এসবই কুসংস্কার, কিন্তু মামুনের ঘটনা শুনলে যে কেউ বিষয়টা দ্বিতীয়বার ভেবে দেখবে বলে আমি নিশ্চিত।

মামুনের সত্যিই ছয়টা আঙ্গুল ছিল, আর সেটা বাঁ হাতেই, আর তার জীবনটাও তার স্বভাব-চরিত্রের মতই বিদঘুটে ছিল।

মামুনকে খুব ছোটবেলা থেকে আমি চিনি। আমরা একই স্কুলে একই ক্লাশে পড়েছি। থাকতামও একই পাড়ায়। এসব ক্ষেত্রে খুব গাঢ় বন্ধুত্ব হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু মামুনের সাথে আমার সম্পর্কটা কখনোই খুব অন্তরংগ হয়নি। তার মধ্যে ছোটবেলা থেকেই একটা কিছু ছিল, কোথায় যেন একটা দেয়াল – যে কারণে ওর সাথে কেউই খুব স্বচ্ছন্দে মিশতে পারত না।

আমার মনে আছে – আমরা যখন বিকেল বেলা বল নিয়ে মাঠে যাবার জন্য অস্থির হয়ে যেতাম, সে তখন বইয়ের ভেতর মাথা গুজে থাকত। পড়ার বই না সেগুলো, মামুন পড়ালেখায় কখনোই খুব ভালো ছিল না – বিচিত্র সব বইয়ে ভর্তি থাকত ওর ঘর। ফুটবল খেলতে গিয়ে যখন খেলোয়াড় সংখ্যা বেজোড় হত, কিংবা যখন গোলকিপারের অভাব দেখা দিত – তখন মাঝে-মধ্যে তাকে খেলতে আসার জন্য জোরাজুরি করতাম আমরা। কিন্তু তাকে কোনদিন মাঠে আনতে পারিনি, বলত – ওর প্যান্ট ময়লা হয়ে যাবে।

এসব কারণে তার সাথে খুব বেশি মেশা হয়নি, তবে মাঝে-মধ্যে সে আমার কাছে আসত। আমার একটা খুব ভালো অভ্যাস ছিল, আমি কথা বলার চেয়ে শুনতাম বেশি। ছোটবেলায়ই কেমন করে যেন আমার মাথায় ঢুকে গিয়েছিল – মানুষ বলতে ভালোবাসে, শুনতে নয়, সুতরাং একটু ধৈর্য ধরে কথা শুনতে পারলে মানুষের কাছে আমার দাম বেড়ে যাবে। তাছাড়া আমি তার গোপন কথা জানব, সে আমারটা জানবে না – ফলে কর্তৃত্বটাও আমার হাতেই থাকবে। আমার মনে হয়, সে আমার কাছে আসত শুধু এ কারণে যে তার কথা শোনার অন্য কোন লোক ছিল না।

আমি তার কথা মন দিয়ে শুনতাম, যদিও বেশিরভাগই আমার অ্যান্টেনার ওপর দিয়ে চলে যেত, কিন্তু তারপরও মজাই লাগত ওগুলো শুনতে। বিষয়টাতে যতটা না মজা পেতাম, তার চেয়ে বেশি মজা পেতাম আলোচনার সময় তার চেহারা দেখে। কথা বলতে বলতে সে কেমন যেন আনমনা হয়ে যেত, খেয়ালও করতনা আমি তার কথা শুনছি নাকি শুনছি না। ঐ বয়সে সে গ্যালাক্সি-মহাকাশ নিয়ে কি সব কথা জানি বলত! আমার মনে হয়, এখনো আমি ঐ জিনিসগুলো পুরোপুরি বুঝতে পারব না।

কলেজে গিয়ে তার সাথে আমি আলাদা হয়ে যাই – দুজন দুই কলেজে। ভার্সিটিও আলাদা ছিল আমাদের। এই পুরো সময়টাতে তার সাথে আমার অনিয়মিত হলেও যোগাযোগ ছিল। এসময়টা সে খুব দর্শনের বই পড়ত, সেগুলো এসে আমাকে বোঝাতেও চেষ্টা করত। ও যখন এগুলি নিয়ে কথা বলত, তখন আমি মজা করে উল্টা-পাল্টা প্রশ্ন করতাম। সে বুঝতেও পারত না আমি দুষ্টুমি করে এসব বলছি, সে গুরুত্বের সাথে সেসব প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করত।

যেমন একদিন সে বলল – ‘জানো? সলিপসিসম নামে একটা দর্শন আছে, যেটা বলে যে একমাত্র আমার নিজের অস্তিত্বকেই নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করা যায়, বাকি পৃথিবীটা থাকতেও পারে নাও থাকতে পারে।’

আমি ওর কথা কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। শেষে সে বলল – ‘মানে আমি আছি বলেই জগত সংসারের অস্তিত্ব আছে, আমি না থাকলে এ জগতও থাকত না।’

কেন জানি না, ওর এই অদ্ভুত ফিলোসফিটার কথা আমার মনে বেশ ভালোভাবে গেঁথে গিয়েছিলো, যদিও ওর অন্য সব কথাকেই আমি সবসময় হেসে উড়িয়ে দিয়েছি। আর কোনো কিছু মনের ভেতর শেকড় গেড়ে ফেললে সেটা কিন্তু আবার সত্যিই প্রভাবিত করতে পারে মানুষের স্বপ্ন আর বাস্তবতাকে।

বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করার পর সে কয়েকদিন একটা গবেষণা প্রতিষ্ঠানে চাকরী করেছিল। আমি তখন একটা কমার্শিয়াল ব্যাংকে মাত্র ঢুকেছি, কাজের প্রচন্ড চাপ। সপ্তাহটা কোনমতে শেষ হলে বাঁচি, ছুটির একটা দিন পারলে ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেই। এই সময় ওর সাথে আমার যোগাযোগটা একদমই কমে আসে।

দেখা যেত হয়তো দুই মাস পরে ওর সাথে আমার দেখা হল, ভদ্রতা করতে করতেই কথাবার্তা শেষ। সেও যেন একটু বেশিই অন্যমনস্ক হয়ে থাকত। শুনেছি, সে একটা ছোট চিলেকোঠা টাইপের রুমে একা একা থাকত, এমনকি বাড়িওয়ালার সাথেও তার মাসে একবার ছাড়া কথা হতো না। সে হয়ে উঠেছিল চরম অমিশুক, কারো সাথে যোগাযোগ রাখাটা সে দরকারীই মনে করত না।

পরে শুনেছিলাম, সে আসলে আধ্যাত্মিক ব্যাপার-স্যাপার নিয়ে মেতেছিল – কোন এক পীরের মুরীদ হয়েছিল, হঠাৎ করেই চরম ধার্মিক হয়ে গিয়েছিল।

ঐ সময়টারই কথা, এক বিকেলে আমি অফিস থেকে ফিরে দেখি – লম্বা কালো দাড়িওয়ালা কে যেন আমার গেটে দাঁড়ানো। আমি গেটের দিকে এগুতেই সে আমার দিকে এগিয়ে এসে হাত বাড়িয়ে দিল। সদ্য গজানো দাড়িতে মামুনকে চিনতে আমার কষ্টই হচ্ছিল। সে হ্যান্ডশেক শেষ করেই প্রায় ফিস ফিস করে বলল – ‘তোমার সাথে আমার গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে।’

আমি পুরোনো লোহার দরজাটা খুলে ওকে বাসার ভেতরে এনে বসালাম। সে সোফায় বসে পড়েই পানি চাইল। পানি এনে দিতেই এক নি:শ্বাসে গ্লাসটা খালি করে ফেলল। আমি বলি – ‘কি ব্যাপার, কোন সমস্যা?’

সে কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে থাকে, তারপর বলে – ‘সমস্যা তো পুরোটাই। শোন, তুমি তো জানো, এ শহরে আমার অল্প কয়েকজন পরিচিতের মধ্যে তুমি একজন। আবার সব কথা তো সবাইকে বলা যায় না।’ তারপর একটু দম নিয়ে সে বলল – ‘আমি জানি, কবে কেয়ামত হবে!’

আমি বোঝার চেষ্টা করি, কথা কোন দিকে গড়াচ্ছে।

‘হ্যাঁ, সত্যি, আমি একদম দিনক্ষণসহ জানি।’

‘তুমি কিভাবে জেনেছো এটা? কে বলেছে তোমাকে?’

‘কেউ বলেনি। আমি এটা স্বপ্নে দেখেছি।’

আমি স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলি – ‘আমি ভেবেছি তোমার পীর সাহেব তোমার মাথায় এটা ঢুকিয়েছে। শোনো মামুন, স্বপ্নে তো আমরা কত কিছুই দেখি। আমি তো একদিন স্বপ্নে দেখলাম আমি এক পরীর সাথে প্রেম করছি, বাস্তবে তো কোন মেয়ের সাথেই প্রেম করতে পারলামনা, পরীতো দূরের কথা।’

‘কিন্তু আমি পর পর তিনদিন একই স্বপ্ন দেখেছি, এটা কোইন্সিডেন্স হতেই পারে না।’ – সে খুব জোর দিয়ে বলে।

‘আহা, তুমি তো আর বুযুর্গ না যে তিনদিন এক স্বপ্ন দেখলে, আর সেটা সত্যি হয়ে গেল। তুমি বাসায় যাও, আরাম কর। কয়েকটা দিন ভারী বই পড়া বন্ধ রাখো।’

‘আমি তোমাকে সাবধান করতে এসেছি’ – সে প্রায় ফিসফিস করে বলে – ‘কোন খারাপ কাজ করে থাকলে তওবা করে নাও, আর বেশি বেশি খোদা তায়ালাকে ডাকতে থাকো।’

‘দুনিয়া যদি ধ্বংসই হয়ে যায়, তাহলে আমি সাবধান হয়েই বা আর কি লাভ হবে!’

‘শোনো ভাই। সাবধান থেকো, কারণ যা আসে, তা তাড়াতাড়িই আসে। কেয়ামত ঘটবে এই বছরই।’ – সে বলে চলে।
‘তারিখটা লিখে রাখো – ঊণত্রিশে জুন, শুক্রবার। ফজরের সময়, সূর্য ওঠার ঠিক আগে আগে।’

আমি ওর পাশে বসে ওর কাঁধে হাত রাখলাম, বললাম সে যেন কয়টা দিন বাড়ি থেকে কয়টা দিন তার বাড়ি থেকে ঘুরে আসে। আগ্রহ নিয়ে জানতে চাইলাম ঠিক কি জিনিস ও স্বপ্নে দেখেছিল।

‘ভোররাতের স্বপ্ন, দেখলাম – আমি একটা ক্যালেন্ডারের দিকে তাকিয়ে আছি, এই বছরের ক্যালেন্ডার, স্পষ্ট দেখলাম ঊণত্রিশে জুন, হাত ঘড়িতে ঠিক পাঁচটা সাত বাজে। ঠিক এমন সময় পশ্চিম দিক থেকে একটা আগুনের গোলা ছুটে আসতে লাগল, যেন একটা বড় সূর্য ছুটে আসছে। পশ্চিম দিক থেকে সেটা সবকিছু ধ্বংস করতে করতে এগুচ্ছে। বিরাট সে গোলাটা যেই আমার শরীর পর্যন্ত ছুঁয়ে ফেলেছে, ঠিক তখনই ঘুমটা ভেংগে গেল।’

‘আমি বুঝেছি, জুনের ঊণত্রিশ তারিখ তোমার বিয়ে হবে। তুমি তো জানো, পৃথিবীতে পুরুষ মানুষ দুই রকম – এক জীবিত, দুই বিবাহিত। বিয়ের সাথে সাথে তোমার স্বাধীন স্বত্তার মৃত্যু ঘটবে, তোমার স্বপ্নে এই ইঙ্গিতটা খুবই স্পষ্ট।’

সে গম্ভীর মুখে উঠে দাঁড়াল।
‘আমি আজ যাই। আমার অবশ্য একবার মনে হয়েছিল, এটা তুমি বিশ্বাস করবে না।’ – সে কালো আলখাল্লার আস্তিন গোটাতে গোটাতে বলে।

সেদিন সে চলে গেল। পরে শুনলাম, সে নাকি আরো অনেককেই কথাটা বলেছে। কোন এক পত্রিকাতেও খবরটা তোলার চেষ্টা করেছে। এসব শুনে আমার মনটা বেশ খারাপই হয়েছিল।

আমি এসব কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। অফিসে এক সহকর্মী আমার পেছনে লেগেছে – পেশাগত বিদ্বেষ – তাকে লেজ থেকে ঝেড়ে ফেলতে গলদ-ঘর্ম হচ্ছিলাম নিয়মিত।

এর মধ্যে আঠাশে জুন সন্ধ্যার পর মোবাইলে একটা কল এলো, অপরিচিত নাম্বার। ধরতেই ওপাশ থেকে ওর গলা – ‘বন্ধু, আমি মামুন।’

‘হ্যাঁ, মামুন। কি খবর?’

‘তোমার মনে আছে নিশ্চয়ই।’

‘কি ‘মনে আছে’?’

‘ঐ যে ঐ দিন বললাম, কেয়ামত! কাল শুক্রবার ভোরে। শেষ রাত্রে উঠে তওবা-ইস্তেগফার করবে, তারপর ফজরের নামাজটা একটু আগে আগে পড়ে ফেলবে।’

‘আচ্ছা।’

‘তাহলে বন্ধু, বিদায়। দেখা হবে ওপারে।’

‘খোদা হাফেজ।’

সে ফোন কেটে দিল, কোন দোকান থেকে ফোন করেছিল। আমি ফোন রেখে অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম, আসন্ন কেয়ামতের কথাও ভুলে গেলাম।

পরদিন ঘুম ভাংগলো মোবাইলের শব্দে। বেলা এগারোটার বেশি বাজে তখন। অপরিচিত নাম্বার, ধরবো কিনা ভাবতে ভাবতে একসময় ফোনটা ধরলাম। ওপাশ থেকে ভারী একটা গলা শোনা গেল, অপরিচিত। লোকটা জিজ্ঞেস করল আমি মামুন নামে কাউকে চিনি কিনা।

আমার তখন মনে পড়ল, আজ ভোরে কেয়ামত হবার কথা ছিল।

‘আমি উনার বাড়িওলা, আমার নাম খোরশেদ। মামুন সাহেব তো মারা গেছে। হাসপাতালে নিয়েছিলাম, ডাক্তার বলল সব শেষ।’ – ওপাশ থেকে উনি বললেন।

আমার মাথা কাজ করছিল না। আমি শুধু জানতে চাইলাম লাশ কোথায়, তারপর ‘আসছি’ বলে ফোন রেখে দিলাম। এসবের মানে কি? মৃত্যু কি তাহলে ব্যক্তিগত কেয়ামত? আমি বেশ কিছুক্ষন মাথায় হাত দিয়ে বসে রইলাম।

এরপর বহু বছর চলে গেছে। স্বাভাবিকভাবেই মামুনের কথা ততদিনে আমি ভুলে গেছি।

তখন শীতকাল। এক ভোরে অদ্ভুত এক স্বপ্ন দেখে আমার ঘুম ভেঙে গেল। উঠে দেখি আমার সারা শরীর ঘামে ভিজে গেছে। এদিকে স্বপ্নটা এত স্পষ্ট ছিল যে আমি তার প্রতিটা দৃশ্য আমি মনে করতে পারছিলাম।

সেদিন আমি স্বপ্নে দেখেছিলাম – আমার বাঁ হাতে কেমন করে যেন একটা বাড়তি আঙ্গুল গজিয়েছে, বুড়ো আঙুলের একপাশ থেকে। আমি সেটা দেখছি আর সিঁড়ি বেয়ে ছাদে উঠে আসছি। ছাদের দরজাটা খুলে খোলা আকাশের নিচে এসে যখন দাঁড়িয়েছি, তখন মনে হল চারিদিকে বড় একটা কিছু ঘটে চলেছে। চারিদিকে তাকিয়ে হঠাৎ বুঝতে পারলাম, কি হচ্ছে। কি ভয়াবহ ঘটনা – কিভাবে যেন আকাশ থেকে তারাগুলো একটা একটা করে নিভে যাচ্ছে। একটা তারা মানে একটা নক্ষত্র, হয়তো সে নক্ষত্র সূর্যের চেয়ে একশগুণ বড় – সেরকম একেকটা নক্ষত্র মুহূর্তের মধ্যে মুছে যাচ্ছে আকাশের বুক থেকে, যেন কোনদিন সেটা আকাশে ছিলই না। মহাকাশের শেষ প্রান্ত থেকে শুরু হয়েছে এ মহাধ্বংস, তারপর একটু একটু করে ক্রমশই এই শূন্যতা পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসছে। কিন্তু কেন যেন আমার কোন ভয় লাগছে না, নিশ্চিত ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে এক অবাক বিস্ময়ে আমি দেখছি বিশ্বজগতের এই সমাপ্তিকে।

মনে পড়ল – আমি এই নিয়ে মোট তিন দিন স্বপ্নটা দেখলাম। আরো মনে পড়লো – মামুনের মতো ঘটনার দিন-ক্ষণটা স্বপ্নের ভেতর আমি জানতে পারিনি।

সেদিনের পর থেকে আমি আমার নিজের মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছি। আমি বুঝে ফেলেছি – এটা যেকোনোদিন ঘটে যাবে, বোধ হয় অপ্রত্যাশিত কোন ভাবেই ঘটবে ঘটনাটা। মাঝে মাঝে ভাবি – হয়তো মৃত্যুকে জীবনেরও আগে সৃষ্টি করা হয়েছিল, আর এজন্যই হয়তো মরে যাওয়া বেঁচে থাকার চেয়েও বেশি বাস্তব।

ওই অপার্থিব স্বপ্নগুলো দেখার পর থেকে আমি যে বেঁচে আছি এটাই আমার কাছে বরঞ্চ অবাক লাগে – ফলে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠি আর বাধ্য হয়েই স্রষ্টাকে ধন্যবাদ দিই পৃথিবীতে তিনি আমাকে আরেকটা সোনালী দিন উপহার দিয়েছেন বলে।

Leave a comment