
ব্যায়ামের সাইকেল একটি ভালো বিকল্প ব্যায়াম। অনেকেই আছেন হাঁটু ব্যাথা, পায়ের পাতার ব্যাথা, কোমর বা হিপ ব্যাথা বা আরও অন্যান্য সমস্যার জন্য ঠিকমতো হাঁটা চালিয়ে যেতে পারেন না। তাদের হতাশ হাবার কিছু নেই। চাইলেই আপনি বাসায় যেকোনো সময়ে ব্য্যায়ামের সাইকেল চালাতে পারেন। আবার অনেকে আছেন, সারাদিন অফিসে প্রায় বসে বসেই কাজ করেন, একেবারেই হাঁটাচলা করেন না, তারাও অফিস থেকে বাসায় ফিরে এই ব্যায়ামের সাইকেল চালাতে পারেন। যাদের রাস্তায় সাইকেল চালানো বা প্যাডেল মারার মত ব্যালেন্স বা শক্তি নেই, তাদের জন্য এই ব্যায়ামের সাইকেল একটি চমৎকার সমাধান।
আবার যাদের একটি হাত বা পা প্যারালাইজড, তারা বিশেষ জিনিষপত্রের সাহায্য নিয়ে এই ব্যায়ামের সাইকেল দিয়ে ব্যায়াম করতে পারেন।
ব্যায়ামের সাইকেলে, সাইক্লিং এর সকল সবিধা পাওয়া যায়। এটা আপনার কোমর বা হিপ, হাঁটু বা পায়ের উপর কোন অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে না। কিংবা যেদিন আপনি বাইরে যেতে পারছেন না বা হাঁটতে চাচ্ছেন না বা খুব বেশি কঠিন ব্যায়াম করতে চাচ্ছেন না, অথবা বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে, সেদিন আপনি এই ব্যায়ামের সাইকেল ব্যাবহার করতে পারেন।
যারা প্রথম প্রথম সাইকেল চালাবেন, তাদের জন্যঃ
প্রথম দিনই কিন্তু আপনি অবিজ্ঞদের মতো সাইকেল চালাতে পারবেন না। প্রথম দিকে চাইকেল চালানো বেশ কষ্টকর মনে হতে পারে। তাই শুরুটা কিভাবে করবেন, তা এখন বলে দিচ্ছি।
সাইকেল চালানোর সময় হাঁটার চেয়ে আলাদা মাসল ব্যবহৃত হয়, তাই যতক্ষণ না পায়ের মাসল প্যাডেলিং এ অভ্যস্ত না হবে, ততক্ষন আপনি কয়েক মিনিটের জন্য সাইকেল চালাবেন, কনরকম জোরাজোরি ছাড়া। কোন বাঁধা বা রেসিসটেন্স ছাড়া চালানো শুরু করেন। নতুবা সাইকেল চালালে মনে হবে আপনি পাহাড়ে উঠছেন। প্রতি ১০/১৫ দিন পরপর রেসিসটেন্স বাড়াতে পারবেন। যদি আপনি খুব বেশি রেসিসটেন্সে চালান, তাহলে আপনার হাঁটুতে আঘাত লাগতে পারে। আর তখন ব্যায়ামের সুফল পাবার আগেই এটা করা বন্ধ করে দিতে হবে।
সুবিধাজনক গতিতে প্যাডেল করুন। প্রতি মিনিটে ৫০/৬০ বার আপনার ডান পা নিচে নামবে, আর এটাই হোল শুরুর দিককার প্যাডেল করার নিয়ম। তবে না পারলে, আস্তে আস্তে অল্প অল্প করে শুরু করতে পারেন। যখন আপনি সাইকেল চালাতে অভ্যস্ত হয়ে যাবেন, তখন আস্তে আস্তে গতি বাড়াবেন। তবে বেশি জোরে চালানো কখনই ভালো নয়। চালাতে চালাতে একসময় আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন, গতি এবং রেসিসটেন্স কিভাবে বাড়াতে হয়। চালানোর সময় যদি দম নিতে কষ্ট হয় বা শরীর খারাপ লাগে তবে সাথ সাথে চালানো বন্ধ করে দিন। বাসায় সাইকেল চালাতে যদি বোরিং লাগে, সেইখেত্রে টিভি দেখে দেখে বা গান শুনে শুনে চালাতে পারেন।
শারীরিক পরিশ্রমের অভাবে হার্টের রোগ, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ে। কর্মক্ষেত্রে বা বাড়িতে হাঁটাচলা কিংবা পরিশ্রম যাঁদের কম হয়, সারা দিন বসে কাজ করতে যাঁরা বাধ্য হন, দিনশেষে একটু সাইকেল চালনা তাঁদের সেই অভাব পূরণ করবে। হার্টের ফিটনেস বাড়াতে বিশেষজ্ঞরা সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট সাইকেল চালানোর পরামর্শ দিচ্ছেন। এটা হাঁটা বা জগিং করার মতো অ্যারোবিক ব্যায়াম, যা হার্ট ও ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। তবে প্রথম প্রথম অবশ্যই রেসিসটেন্স ছাড়া এবং অল্প সময় চালাতে হবে।
যেকোনো রোগ বা সমস্যার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
Home
(Weight Reduction and Life-Style Medicine)
