
বর্তমান সময়ে আমরা এই কোলেস্টেরল নিয়ে বেশ চিন্তিত হচ্ছি। ভয়ে তেল চর্বি খাওয়া তো অনেকেই বাদ দিয়ে দিয়েছেন। তবে তার আগে আমাদের জানা দরকার যে কোন্ জাতীয় তেল/চর্বি আমরা বাদ দিব বা কোন গুলি খাবো।
কোলেস্টেরল হোল এক ধরনের চর্বি। এটি দেখতে অনেকটা মোমের মতো নরম। যদি অধিক পরিমাণ চর্বিজাতীয় খাবার খাওয়া হয় তবে এই অতিরিক্ত কোলেস্টেরল রক্তনালীর দেয়ালে জমাট বেঁধে প্লাক তৈরি করে এবং রক্ত চলাচলে বাধা দেয়। ফলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা যায়। যেমন : উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের নানা ধরনের অসুখ, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ইত্যাদি।
আমাদের শরীরে দুই রকমের কোলেস্টেরল থাকে। একটি হল উপকারী কোলেস্টেরল, অন্যটি হল অপকারী কোলেস্টেরল। অপকারী কোলেস্টেরলের হাত থেকে বাঁচার জন্য যে আমাদের কিছু খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।
যদিও কোলেস্টেরল কমানোর জন্য বিভিন্ন ওষুধ রয়েছে। কিন্তু আপনি যদি আপনার জীবনযাত্রার অভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনতে পারেন, তাহলে আপনি চিরতরে পেতে পারেন রোগমুক্ত একটি সুস্থ জীবন। আর সেই পরিবর্তন গুলো কি তা আজ আমরা জানবো।।
১। খাদ্যতালিকায় পরিবর্তনঃ
কি খাবেনঃ
– অপ্রক্রিয়াজাত দানাজাতীয় খাবার (লাল আটা, লাল চালের ভাত, ওটস, বার্লি, ভুট্টা)
– ননি বা ফ্যাট ছাড়া দুধ, দই এবং দুগ্ধজাত খাদ্য
– মাছ (স্যালমন, টুনা, সার্ডিন ও অন্যান্য ফ্যাটি মাছ)
– মুরগী (চামড়া ছাড়া)
– ভেজিটেবল অয়েল (অ্যাভোকাডো, ফ্লাক্স সিড, অলিভ অয়েল, সরিষার তেল, ক্যানোলা অয়েল, সান ফ্লাওয়ার অয়েল)
– বাদামের বা পিনাট বাটার
– বিনস (শিম, মটর, ছোলা, সব ধরনের ডাল)
– চিনাবাদাম ও কাঠবাদাম
– রসুন, পেয়াজ ও পেয়াজ জাতীয় খাবার।
– দেশী বা টক জাতীয় ফল (লেবু, কমলা, মাল্টা, পেয়ারা, আমলকী, জাম্বুরা, আঙ্গুর, জাম, বেরিস, নাশপাতি, কলা, আপেল ইত্যাদি)
-সবুজ ও হলুদ শাকসবজি
– ডিমের সাদা অংশ
কি খাবেন নাঃ
– রেড মিড (গরু, খাশি, ভেড়া)- ফুল ক্রিম দুধ বা দুগ্ধজাত দ্রব্য (মাখন, ক্রিম, পনির, ফুল্ ক্রিম দুধের তৈরি যে কোন খাবার) – প্রসেসড মিট (সসেজ, ফ্রাইড চিকেন, ফ্রাইড বিফ, নাগেট, বার্গারের পেটি)
– স্যাচুরেটেড তেল (নারকেল ও তাল তেল)
– ভাজা খাবার (উচ্চ তাপমাত্রায় এবং একই তেলে বারে বারে ভাঁজা যে কোন খাবার, জাঙ্ক ফুড, ফাস্ট ফুড)
– বাড়তি চিনিওয়ালা খাবার ( কোক বা কোল্ড ড্রিঙ্কস, জুস, কেক, পেস্ট্রি, আইসক্রিম, কুকিজ বা বিস্কুট, চকোলেট ইত্যাদি)
– প্যাকেট জাত খাবার (যেকোনো প্যাকেট বা টিন জাত খাবার)
– রিফাইন্ড গ্রেন বা পরিশোধিত শস্য, ময়দা ( সাদা আটা বা ময়দা, সাদা পাউরুটি, সাদা চালের ভাত)
– ডিমের হলুদ অংশ
– নারকেল
– চিংড়ী মাছ
– ধূমপান ও মদ্যপান
২। হাঁটা বা শারীরিক ব্যায়ামঃ
নিয়িমিত হাঁটা বা শারীরিক ব্যায়াম করলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং ওজনও কমতে থাকে। ফলে অন্যান্য ভয়াবহ রোগের কবল থেকে বাচতে পারবেন।
৩। ডাক্তারের পরামর্শ মতো চলা।
যেকোনো রোগ বা সমস্যার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
https://teenasuvrosworld.wordpress.com
(Weight Reduction and Life-Style Medicine)
