সিগারেট ছাড়া দিনগুলো কেমন হবে?

সিগারেট শরীরে কি ক্ষতি করে বা কিভাবে সিগারেট খাওয়া ছাড়তে হবে, এ নিয়ে আর আলোচনা করবো না। বরং আজ একটা মজার বিষয় নিয়ে কথা বলবো, তা হোল, সিগারেট ছাড়ার পরের দিনগুলো কেমন যাবে আপনার!
ধরুন, আপনি রেগুলার সিগারেট খেতেন, স্বাস্থ্যগত নানান কারণে ছেড়ে দিয়েছেন, দেখুন আপনার শরীরে তখন কি কি পরিবর্তন শুরু হবে…।

১। সিগারেট ছাড়া প্রথম ২০/৩০ মিনিট পরঃ

শরীরের ব্লাড প্রেসার ও পার্লস স্বাভাবিক হতে শুরু করে। ধূমপানের সময়, নিকোটিন শরীরের নার্ভ সিস্টেমকে উত্তেজিত করার ফলে ঠিক যতটুকু বেড়ে গিয়েছিল, তা আবার কমতে শুরু করবে।

২। সিগারেট ছাড়া প্রথম ১০/১২ ঘণ্টাঃ

সিগারেটের জ্বলন্ত আগুন থেকে বের হওয়া যে বিষাক্ত গ্যাস শরীর গ্রহন করেছিল, তা ১০/১২ ঘণ্টা পর থেকে স্বাভাবিক হতে থাকে এবং শরীরে অক্সিজেনের মাত্রাও বাড়তে থাকে। সিগারেট খাওয়ার সময় অক্সিজেন বাধাগ্রস্ত হয়।

৩। সিগারেট ছাড়া প্রথম ২ দিনঃ

ধূমপানের কারণে স্বাদ ও গন্ধ নেয়ার যে ক্ষমতা কমে গিয়েছিলো, সিগারেট বন্ধ করার মাত্র ২ দিন পর থেকেই তা আবার বাড়তে থাকে।

৪। সিগারেট ছাড়া প্রথম ৩ দিনঃ

ধুমপান ছাড়ার ৩দিন পর থেকে, শরীরে নিকোটিন না থাকায় শ্বাস ক্রিয়া সহজ হয়ে যায়, বুকের ভিতরটা হালকা মনে হয়। তখন ধূমপান না করার লক্ষন গুলো ভালভাবে বোঝা যায়, যেমন, মাথাব্যাথা, বমিভাব, প্রচণ্ড ক্ষুধা, হতাশা বা আতংকভাব বেড়ে যায়।

৫। সিগারেট ছাড়া প্রথম কয়েক মাসঃ

ধূমপান বাদ দেয়ার কয়েক মাস পর দেখা যায়, শরীরে রক্ত চলাচল আগের চয়ে অনেক ভালভাবে হচ্ছে। আগের তুলনায় ফুসফুসও ৩০ ভাগ বেশি অক্সিজেন গ্রহন করতে পারছে এবং কাশিভাবও কমতে শুরু করছে।

৬। সিগারেট ছেড়ে দেয়ার ১ বছর, ১০ বছর বা ১৫ বছর পরঃ

ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার ১ বছর পর থেকেই হৃদরোগের ঝুঁকি অর্ধেক কমে যায়৷

তাছাড়া ১০ বছর ধূমপান না করলে একজন ফুসফুসের ক্যানসারে মারা যাওয়ার ঝুঁকি অর্ধেক কমে যায়৷

শুধু তাই নয়, ১৫ বছর ধূমপান থেকে বিরত থাকলে তার হার্টের রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। ঠিক যে জীবনে কখনো ধূমপান করেনি তার মতো একটি সুস্থ হার্ট পাওয়া যেতে পারে।

ধূমপান বা যেকোনো নেশা ছাড়ার জন্য আপনার ইচ্ছাই প্রথম ও প্রধান উপায়।

……………….

……তিনা শুভ্র

https://teenasuvrosworld.wordpress.com
(Weight Reduction and Life-Style Medicine)

Leave a comment