
…………………….
যারা গৃহিণী বা অতি মোটা, তারা হয়তো সকাল-সন্ধ্যায় নিয়মিত হাঁটেন কিন্তু ওজন কমে না। অনেকে তো বছরের পর বছর ধরে হেঁটেও ওজন কমাতে পারছেন না। তারাও কিন্তু শুধুমাত্র হাঁটার মাধ্যমে ওজন কমাতে পারেন। শুধু জানতে হবে কিভাবে…
কখন হাঁটবেনঃ
দিনে আমরা ৩ বেলা বড় খাবার খাই, সকাল, দুপুর ও রাত। আর আপনাকে হাঁটতেও হবে ঠিক ৩ বেলা। আর তা হতে হবে খাবার ১ ঘণ্টা পর থেকে। প্রতি বড় ডায়েটের পর হাঁটলে আপনার শরীরে ফ্যাট জমার সুযোগ পাবে না। শুধু তাই না, ডায়াবেটিক রোগীদেরও রক্তের সুগার থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
কতক্ষণ হাঁটবেনঃ
. সকালে নাস্তা খাওয়ার ১ ঘণ্টা পর ২০/৩০ মিনিট।
. দুপুরের খাবার খাওয়ার ১ ঘণ্টা পর ২০/৩০ মিনিট।
. রাতের (সন্ধ্যা রাত)খাবার খাওয়ার ১ ঘণ্টা পর ২০/৩০ মিনিট।
কত দ্রুত হাঁটবেনঃ
আপনি যত দ্রুতগতিতে হাঁটবেন, আপনার তত বেশি ক্যালরি পুড়বে। আলসেমি করে হাঁটলে প্রতি মিনিটে যে পরিমান ক্যালরি মতো পুড়বে, একটু বেশি গতিতে হাঁটলেই এর প্রায় দ্বিগুণ ক্যালরি খরচ হবে। আর যদি দৌড়ানো বা জগিং করা যায়, তাহলে ক্যালরি আরও আরও দ্রুত পুড়বে।
আনুমানিক, আপনাকে ঘণ্টায় সাড়ে তিন থেকে চার মাইল গতিতে অন্তত তিরিশ মিনিট হাঁটতে হবে (কিংবা ১৩-২০ মিনিট/ মাইল)
অনেকে পেটের মেদ কমানোর জন্য আলদাভাবে পেটের মাংসপেশির ব্যায়াম করে থাকেন। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যে, আপনি যদি আপনার পুরো শরীরের মেদ না কমান, তাহলে শুধু পেটের মেদ কমানো সম্ভব নয়। শুধুমাত্র পেটের ব্যায়াম করলে হয়তোবা পেটের মাংসপেশি মজবুত হয় কিন্তু পুরোপুরি মেদ ঝরে যায় না। তাই আপনার উচিত হবে প্রথমে পুরো শরীর থেকে বাড়তি মেদ কমানো। আর যদি তা সম্ভব হয় তাহলে এক সময় আপনি খেয়াল করবেন যে, পুরো শরীরের মেদ কমার সাথে সাথে আপনার পেটের মেদও কমতে শুরু করেছে।
কেউ যদি দ্রুত পেটের চর্বি কমাতে চান, তাহলে হাঁটার সময়সীমা ও গতি বাড়িয়ে দিতে হবে।
আপনি যদি প্রতিদিন ৩ বেলা ২০/৩০ মিনিট জোরে জোরে হাঁটেন বা জগিং করেন, তখন দেহের জমা চর্বি গুলো ভাংতে থাকে। এই সময়ের পর কেউ যদি বাড়তি আরো ১০/১৫ মিনিট জগিং করেন বা জোরে জোরে হাঁটেন, তাহলে একটু একটু করে আরও জমা চর্বি গলতে থাকবে। এভাবে আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জগিং করবেন বা জোরে জোরে হাঁটবেন।
নিজে থেকে হুট করে একদিনেই জোরে জোরে হাঁটা ধরবেন না। এতে করে আপনার হার্ট, ফুসফুসের এমনকি পুরো শরীরে ক্ষতি হতে পারে। প্রথমে ৫ মিনিট, পরে ১০ মিনিট, অল্প অল্প করে শুরু করতে পারেন। তবে করতে গিয়ে অসুস্থ বোধ করলে সাথে সাথে থামিয়ে দিবেন। এজন্য ব্যায়াম শুরুর আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ জরুরী।
যেকোনো রোগ বা সমস্যার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
………………..
…… তিনা শুভ্র
https://teenasuvrosworld.wordpress.com
(Weight Reduction and Life-Style Medicine)
