চলুন সবাই চিনিকে না বলি…পর্ব, ১

মিষ্টি খাবার খেতে কে না ভালবাসে। কিন্তু আপনি কি জানেন, এই চিনি শরীরের তেমন কোন উপকারতো করেই না বরং শরীরকে ধিরে ধিরে ধ্বংস করে ফেলে। আপনি যদি জানতে পারেন যে চিনি কতটা ক্ষতিকারক, তাহলে বিষ মনে করে চিনিকে ছুঁড়ে ফেলে দিতেন। এই বিষ যে শুধু আমরা নিজেরাই খাচ্ছি তা নয়, সাথে সাথে বাসার বাচ্চা, বৃদ্ধদেরও বিষ খাওয়াচ্ছি।

 উপরের লেখাগুলো পড়ে কি খুব ভয় পাচ্ছেন নাকি বিশ্বাসই করছেন না! তবে চিনি মানেই যে বিষ তা নয়। স্বাভাবিক চিনি শরীরের জন্য ভালো, কিন্তু বাড়তি চিনি নয়। তাই আগে জানতে হবে ঠিক কতটুকু চিনি স্বাভাবিক। প্রাকৃতিক মিষ্টি খাবার যেমন, পরিমানমতো মিষ্টি ফল বা মিষ্টি সবজি শরীরের জন্য খারাপ না। খারাপ হচ্ছে বাড়তি চিনি, মানে খাবারকে সুস্বাদু এবং মিষ্টি করার জন্য, যখন আমরা প্রক্রিয়াজাত বা প্যাকেটজাত চিনি ব্যাবহার করি।

আবার অনেক সময় আমরা চিনির বিকল্প হিসেবে, কৃত্রিম চিনি ব্যাবহার করে থাকি যা চিনির চেয়েও ভয়ংকর। কৃত্রিম চিনির বিজ্ঞাপনদাতা এতটা আকর্ষণীয় করে আমাদের কাছে এদের তুলে ধরে যে, আমরা কৃত্রিম চিনিকে পরম বন্ধু ভেবে আপন করে নেই। পেটে বিদ্যা থাকার পরেও আমরা কতটা অশিক্ষিত। আমরা চাইলেই কিন্তু ইন্টারনেটে এই কৃত্রিম চিনি নিয়ে জানতে পারি, কিন্তু করি না। তাই আর অজ্ঞতা নয়, সময় এসেছে সঠিক এবং শুদ্ধকে জানার ও মানার। যে কোন তথ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে, আর কাউকে জিজ্ঞেসা নয়, নিজেই ইন্টারনেটে তথ্য খুঁজুন। একমাত্র সঠিক খাদ্যাভাসের অভাবেই আজ আমরা স্বাস্থ্যগত ভাবে এতটা পিছিয়ে, আর আমাদের গড় আয়ু মাত্র ৬৫-৭০ বছর। অন্যদিকে উন্নত বিশ্বের গড় আয়ু যা ৮৫-৯০ বছর। তাই নিজে জানুন, অন্যকে জানার সুযোগ করে দিন।

……………চলবে

……তিনা শুভ্র

https://teenasuvrosworld.wordpress.com

(Weight Reduction and Life-Style medicine)

Leave a comment