
ওজন কমানোর জন্য যদি এই ৩টি ধাপ একসাথে করেন, তাহলে ওজন কমতে বাধ্য। আর এই ৩টি ধাপ একসাথে করার পরও যদি ওজন না কমে, তাহলে বুঝতে হবে, যে, আপনি হয়তোবা ঠিকমতো ধাপগুলো সম্পন্ন করতে পারছেন না। এবার আসা যাক মূল বিষয়ে,
১ম ধাপঃ খাদ্যতালিকা পরিবর্তনঃ
১। কার্বো বা শর্করা কমিয়ে দিন। যেমন, ভাত, রুটি, পাস্তা ইত্যাদি।
২। “সিম্পল সুগার” বা চিনি, গুড়, মধুর পরিমান কমিয়ে দিন।
৩। ফ্যাট বা চর্বি জাতীয় খাবার কমিয়ে দিন। যেমন, গরু/খাশির মাংস, বাটার, ঘি, মাখন, হোটেল বা রেস্টুরেন্টের তেলে ভাঁজা খাবার, ফাস্ট ফুড, সসেজ, ফ্রাই বা গ্ল্রিলড মাংস ইত্যাদি। এগুলো একেবারে বাদ দেয়ার দরকার নেই, মন চাইলে মাঝে মধ্যে, অল্প পরিমানে খাওয়া যেতে পারে। বাসার রান্নায় তেলের ব্যাবহার কমিয়ে ফেলুন। তবে মাছের তেল খেতে পারেন, কোন বাঁধা নেই।
৪। প্রচুর শাকসবজি, ফলমূল খান।
৫। প্রচুর পরিমানে ভালো আমিষ বা প্রোটিন খান। যেমন, মুরগির মাংস (চামড়া ছাড়া), মাছ, দুধ, ডিম, বিভিন্ন রকমের ডাল, বিভিন্ন বিচি, বিভিন্ন বাদাম। কারণ, প্রোটিনে বা আমিষে থাকে এমাইনো এসিড, যা ভাংতে শরীরকে অনেক ক্যালরি বা শক্তি খরচ করতে হয়। আর শক্তি খরচ মানেই ওজন কমতে থাকা।
২য় ধাপঃ প্রচুর পানি পান করুনঃ
দিনে ১০/১২ গ্লাস পানি পান করা উচিৎ। এতে হজম ভালো হবে, চর্বি কমবে আর কিডনিও ভালো থাকবে।
কখন পানি খাবেনঃ
. ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ২ গ্লাস।
. প্রতিবেলা বা যে কোন খাবার খাওয়ার আগে ১ গ্লাস।
. ব্যায়াম বা হাঁটা শুরু করার আগে ও পরে পর্যাপ্ত পরিমান।
. টয়লেটে যাবার আগে ১-২ গ্লাস।
. গোসলে যাবার আগে ১-২ গ্লাস।
. তবে রাতে ঘুমুতে যাবার দেড়/দুই ঘণ্টা আগে, পানি পান করা শেষ করে নিতে হবে।
৩য় ধাপঃ ব্যায়াম বা জোরে জোরে হাঁটাঃ
প্রতিদিন জোরে জোরে ৪৫-৬০মিনিট হাঁটা বা ব্যায়াম করা, যাতে শরীর থেকে প্রচুর ঘাম হয়। আর ঘাম বের হওয়া মানেই শক্তি খরচ, আর শক্তি খরচ মানেই ওজন কমতে থাকা।
যে কোন রোগ বা সমস্যার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
https://teenasuvrosworld.wordpress.com
(Weight Reduction and Life-Style Medicine)
