হাই ব্লাড প্রেসার কমানোর মূল কথা

যদি কারো হাই ব্লাড প্রেসার হয়ে থাকে বা কোন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে অতি দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিৎ, এবং ওষুধ সেবন করা উচিৎ। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনক্রমেই ওষুধ বন্ধ করা যাবে না। বর্তমানে ডাক্তাররা বলছেন যে, ওষুধ সেবনের পাশাপাশি যদি কেউ, তার লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করে, তাহলে হাই ব্লাড প্রেসারের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। বলে রাখা ভাল, হাই প্রেসারের প্রধান ঝুঁকি হোল স্ট্রোক।
তাই আমি আজ কিছু সু-অভ্যাসের কথা বলবো, যা শুধু আপনার ব্লাড প্রেশারই কমাবে না, আপনাকে দিবে এক নতুন জীবন।

১। প্রতিদিন হাঁটা বা ব্যায়াম করা। (৪৫/৬০ মিনিট হাঁটা)
২। ওজন কমানোর চেষ্টা করা। (৪৫/৬০ মিনিট জোরে জোরে হাঁটা)
৩। DASH ডায়েট ফলো করা। (লো ফ্যাট, লো কার্বো, হাই প্রোটিন খাওয়া, শাকসবজি, ফলমূল খাওয়া)
৪। লবন (সোডিয়াম) খাওয়া কমিয়ে দেয়া।
৫। কিছু সাপ্লিমেন্ট খাওয়া, যা ব্লাড প্রেসার কমাতে সাহায্য করে

  • ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড
  • ছানার পানি বা Whey Protein
  • লো ফ্যাট বা স্কিমড দুধ
  • টমেটোর জুস (ঘরে বানানো)
    ৬। স্ট্রেস বা দুশ্চিন্তা কমানো (ডাক্তারের পরামর্শ দরকার)
    ৭। রাতের স্বাভাবিক ঘুম নিশ্চিত করা (ডাক্তারের পরামর্শ দরকার)
    আপনারা হয়তো খেয়াল করে দেখবেন যে, আমি হাঁটা আর ওজন কমানোকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। আপনি যদি শুধু মাত্র হাঁটেন আর ডাক্তারের কথামতো ওষুধ খান, তাহলেও ব্লাড প্রেসার অনেকখানি নিয়ন্ত্রণে ও স্বাভাবিক অবস্থায় চলে আসে। আর নিয়মমত হাঁটলে আপনি ওজন কমানো সহ নানান শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। তাই সুস্থ থাকতে প্রতিদিন ৪৫/৬০ মিনিট হাঁটুন। তবে আপনার ওজন যদি কমাতে চান, তাহলে ৪৫/৬০ মিনিট জোরে জোরে হাঁটুন, যেন প্রচুর ঘাম হয় ও আপনি হাপিয়ে যান। কিন্তু একদিনেই হুট করে বেশি হাঁটবেন না, এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। অল্প অল্প করে হাঁটা শুরু করে, অভ্যাসটা করে নিবেন।

আজ আমি একটি ঘরোয়া মিশ্রনের কথা বলবো, যা আপনারা বাসায় খেয়ে দেখতে পারেন। তবে যারা ব্লাড প্রেসারের জন্য নিয়মিত ওষুধ খান, তারা কোনক্রমেই ওষুধ খাওয়া বন্ধ করবেন না। এই মিশ্রন আপনার প্রেসার কমানোর কোন জাদুকরী ওষুধ নয়, এটা শুধুমাত্র আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। আর যদি এই মিশ্রন খেয়েই থাকেন, তবে সম্পূর্ণই নিজ দায়িত্বে খাবেন, আর খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ জরুরী।

উপকরনঃ
১। লেবু (অর্ধেক লেবুর রস বা ১ টেবিল চামচ)
২। রসুন (১ কোয়া)
৩। আদা (১ কোয়া রসুনের সমান)
৪। আপেল সিডার ভিনেগার / সাদা ভিনেগার (১ চা চামচ)
৫। খাটি রো মধু (১ চা চামচ, চাইলে খেতে পারেন, এটি অপশনাল)

প্রণালীঃ
১টি বাটিতে আদা, রসুন গ্রেটারে ঘষে নিন। তাতে অর্ধেক লেবুর রস, ১ চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার বা সাদা ভিনেগার দিয়ে দিন। স্বাদ বাড়ানোর জন্য খাঁটি রো মধু দিতে পারেন। তৈরি হয়ে গেল হারবাল মিশ্রন, যা সত্যি শরীরের জন্য খুবই ভালো। এটি ৩ ভাগে ভাগ করে, দিনে ৩ বার, খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে খেয়ে নিবেন।

যেকোনো রোগ বা সমস্যার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

……তিনা শুভ্র

https://teenasuvrosworld.wordpress.com
(Weight Reduction and Life-Style Medicine)

Leave a comment