
১। লক্ষ্য অর্জনে সংকল্পবদ্ধ থাকুন, যে কোন উপায়েই হোক, আপনি আপনার লক্ষে পৌছাতে চাইলে বা ওজন কমাতে চাইলে, আপনার ইচ্ছাই হবে প্রথম, শেষ ও একমাত্র অস্ত্র। নিজের ইচ্ছাশক্তির উপর আস্থা রেখে নিচের কাজগুলো একসাথে চালিয়ে যাবেন।
২। প্রচুর প্রোটিন খাওয়া। যেমন, বিভিন্ন রকমের ডাল, বাদাম, বিভিন্ন ধরনের বিচি, ফ্যাট ছাড়া দুধ, মাছ, চামড়া ছাড়া মুরগির মংস, ডিম। কারন প্রোটিন হজম করতে আপনার শরীরকে অনেক শক্তি খরচ করতে হয়। আর শক্তি খরচ মানেই ওজন কমা। তাছাড়া প্রোটিন আপনার অতিরিক্ত খিধা কমাবে এবং আপনার পেট ভরিয়ে রাখবে অনেকক্ষণ। ফলে আপনি খাবার খাবেন কম, আর কম খাওয়া মানেই ওজন কমা।
৩। প্রচুর শাক সবজি ও ফল খাবেন। সম্ভব হলে কাঁচা বা আধা সেদ্ধ এবং খুব কম তেলে রান্না সবজি খান। কারন, শাকসবজিতে ক্যালরির পরিমান একেবারেই কম থাকে। আর কম ক্যালরি যুক্ত খাবার ওজন বাড়াতে পারে না।
৪। প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় লেবু বা যেকোনো টক জাতীয় দেশী ফল ও লো ফ্যাটের টক দই রাখুন।
৫। তেল, চর্বি, চিনি ও শর্করা জাতীয় খাবার একেবারে কমিয়ে দিন। ঘি, মাখন, বাটার, গরু- খাশির মাংস, হোটেলের অতিরিক্ত ভাঁজা-পোড়া/গ্রিল খাবার, মিষ্টি জাতীয় খাবার, পুরোপুরি বাদ দিতে না পারলেও, কমিয়ে দিন। রান্নায় তেলের পরিমান আস্তে আস্তে কমিয়ে দিন।
৬। দিনে ৮/১০ গ্লাস পানি পান করা। কারন, পানি ফ্যাট সেল ভাংতে ও দেহের মেটাবলিজম বহুগুনে বাড়িয়ে দেয়। ফলে ওজন কমতে সাহায্য হয়।
৭। সপ্তাহে ৭ দিন (না পারলে কমপক্ষে ৫ দিন), ৪৫/৬০ মিনিট, জোরে জোরে হাঁটা/ দৌড়ানো/ সাঁতার কাটা। এতে আপনার বাড়তি মেদ কমতে বা গলতে শুরু করবে।
৮। রাতে সময়মত ও পরিমিত ঘুমানো (৬/৮ ঘণ্টা হলে ভালো)। কারন, রাতে ঘুম ঠিকমতো না হলে খিধা ও ওজন, দুটোই বেড়ে যায়।
৯। মানসিকভাবে স্ট্রেস/ অশান্তি/ দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকা। কারন, স্ট্রেস/ অশান্তি/ দুশ্চিন্তায় থাকলে কোর্টিসোল হরমোন বাড়ে, যা ওজন বাড়ার জন্য দায়ি। দরকার হলে মানসিক সমস্যায় ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
যেকোনো রোগ বা সমস্যায় ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
………তিনা শুভ্র
https://teenasuvrosworld.wordpress.com
(Weight Reduction and Life-Style Medicine)
