……………
. আপনি যখন ঘুমে থাকবেন, তখন আপনার ক্যালরি খরচ হবে কম। শোয়ার সময়ে আমাদের শরীরের কোষগুলির খুব কম ক্যালরির প্রয়োজন হয়। কারণ এই সময় আমরা কোনো কাজ করি না। শুধুমাত্র হৃদপিন্ড, ফুসফুস, কিডনি এবং পাচনতন্ত্রের কোষগুলি ক্রমাগত কাজ করে যায় আর এই কোষগুলির খুব কম ক্যালোরির প্রয়োজন হয়। তাই শক্তিও কম খরচ হয়।
. ঘুম ছাড়া শুধু শুয়ে থাকলে অল্প কিছুটা ক্যালরি খরচ হবে।
. বসা অবস্থায় একটু বেশি ক্যালরি খরচ হয়। আমরা যখন উঠে বসি তখন কিছু মাংসপেশীর কোষ সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং শোয়া অবস্থার চেয়ে দেরগুন ক্যালরি খরচ হতে শুরু করে।
. দাঁড়ানো অবস্থায় আরও একটু বেশি ক্যালরি খরচ হবে। আমরা উঠে রান্না, কাপড় বদলানো আর বাড়িঘর পরিস্কারের কাজ শুরু করলে, আমাদের মাংসপেশী সক্রিয় হয়ে ওঠে, যার জন্য প্রতি মিনিটে ২-৩ ক্যালরি খরচ হতে শুরু করে।
. হাঁটলে তারচেয়ে বেশি ক্যালরি খরচ হয়। স্বাভাবিক গতিতে হাঁটার জন্য, প্রতি মিনিটে ৩-৪ ক্যালরি ক্যালরি হয়।
. জোরে হাঁটলে এরচেয়ে বেশি ক্যালরি খরচ হয়। দ্রুত গতিতে হাঁটার জন্য, প্রতি মিনিটে ৫-৬ ক্যালরি খরচ হয়।
. দৌড়ালে এর চেয়ে অনেক বেশি ক্যালরি খরচ হবে। দৌড়ানো বা জগিং করার জন্য, প্রতি মিনিটে ৭-৮ ক্যালরি খরচ হয়। তীব্র গতিতে ছুটলে, প্রতি মিনিটে ১০-১২ ক্যালরি খরচ হয়।
উপরের এই লেখাগুলো পড়ে, আমরা বুঝতে পারলাম যে, শরীরকে নাড়া চাড়া করালেই শক্তি খরচ হয়।
ওজন কমানোর বেলায়, আপনার ওজন যত বেশি হবে, আপনার ক্যালরি ততো বেশি খরচ করতে হবে। এজন্য আপনার উচিৎ হবে, প্রতিদিন নিয়ম করে ৪৫/৬০ মিনিট জোরে জোরে হাঁটা। আপনি যত জোরে হাঁটবেন, ক্যালরি বা শক্তি ততো দ্রুত কমতে থাকবে। তবে হুট করে একদিনেই জোরে জোরে হাঁটা ধরবেন না। অল্প অল্প করে শুরু করুন, আস্তে আস্তে তা বাড়িয়ে দিন। মাস খানিক পর যখন পরিবর্তন দেখতে পাবেন, তখন হাঁটাকে আর পর মনে হবে না। তখন মনে হবে, এই হাঁটার মধ্যেই আপনি সব আনন্দ খুঁজে পাচ্ছেন। এটা আপনাকে গ্যারান্টি দিয়ে, জোর গলায় বলতে পারি।
হেঁটেও প্রত্যাশিত মাত্রায় ক্যালরি খরচ করা সম্ভব ৷
- ধীরে (২ মাইল/ঘণ্টা) হাঁটলে ৮৪ ক্যালরি খরচ হয়।
- মাঝারি গতিতে (২-৪ মাইল/ ঘণ্টা) হাটলে ১৫৬ ক্যালরি খরচ হয়।
- দ্রম্নতগতিতে (৪-৫ মাইল/ঘণ্টা) ২৪৯ ক্যালরি খরচ হয়ে থাকে।
হাঁটা ছাড়া এতো সহজ উপায়ে, এত ক্যালরি খরচ করার দ্বিতীয় কোন উপায় নেই। এই কারণেই হাঁটার উপরে এত বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়ে থাকে।
যেকোনো রোগ বা সমস্যার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
……… তিনা শুভ্র
https://teenasuvrosworld.wordpress.com
(Weight Reduction and Life-Style Medicine)
