অটোফ্যাগির মাধ্যমে ওজন কমান…(১)

……………….

‘অটো’ অর্থ নিজে এবং ফ্যাগি অর্থ খাওয়া। অটোফ্যাগি হোল আমাদের শরীরের একধরনের প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে, কোষগুলো তার বর্জ্যকে ব্যবহার করে শক্তি উৎপাদন করে থাকে।সাথে মৃতপ্রায় ও ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলোকে মেরে ফেলে সেখানে নতুন কোষের গঠন করে।

এই প্রক্রিয়া সেই সব কোষেই শুরু হয়, যখন পুষ্টির অভাবে কোষের বৃদ্ধি থেমে যায় এবং প্রাণশক্তি ফুরিয়ে যেতে শুরু করে। সাধারণত আমরা যখন অনেকক্ষণ ( দিনের একটা বড় অংশ) না খেয়ে থাকি বা যে কোন প্রতিকুল পরিবেশে শরীর যখন খাদ্য বা পুষ্টি পায় না, তখনই অটোফ্যাগি শুরু হয়। এতে কোষের আবর্জনা দূর হয়। শরীর মৃত ও অপ্রয়োজনীয় কোষগুলোকে মেরে ফেলে, নতুন কোষ তৈরি করে।

কি হয়, যখন আমরা না খেয়ে থাকিঃ
না খেয়ে থাকা শুরু করার ৬ ঘণ্টার মাথায়, শরীরে খিধার সিগন্যাল আসতে থাকে। কারণ তখন রক্তে সুগারের পরিমান কম থাকে। সাধারণত, এই খিধা অবস্থাতেই আমরা খাবার খেয়ে থাকি। কিন্তু না খেয়ে থাকার কারনে, শরীর তখন দেখতে পায় যে কোন খাবার আসছে না। তখন শরীর আমাদের দেহে জমে থাকা ফ্যাটের দিকে মনোযোগ দেয়। আর তাই ৮ ঘণ্টা পর আপনার আর খিধার অনুভূতি থাকবে না। কারন ইতোমধ্যেই, আপনার শরীর, আপনার দেহে জমে থাকা ফ্যাট ভাংতে শুরু করে দিয়েছে। আপনি অভুক্ত অবস্থায় শরীরকে কোন খাবার না দিলে, শরীর তখন, নিজেই নিজের জমা শক্তি ব্যাবহার করা শুরু করে।

অটোফ্যাগির মাধ্যমে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, পারকিনসোনিজম, ডিমেনসিয়া ও স্থুলতা প্রতিরোধ করা সম্ভব হতে পারে। পাশাপাশি এই প্রক্রিয়া জীবে দেহকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি অল্পবয়সে বুড়িয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।

রোজা বা উপবাসঃ

শুধু মাত্র ইসলাম ধর্মে নয়, হিন্দু ধর্মে উপবাস বা খ্রিস্টান ধর্মেও ফাস্টিং এর কথা বলা আছে।

ইসলামে যে রোজার বিধান রয়েছে, তাতে অটোফ্যাগির পুরো বেনিফিটই পাওয়া যায়।

তবে প্রশ্ন হোল, রোজার মাসে ৩০ টি রোজা রাখার পরও কেন ওজন কমে নাঃ

কারন একটাই, ইফতারের পর মাত্রাতিরিক্ত ও ঘন ঘন অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া।

………চলবে

……তিনা শুভ্র

https://teenasuvrosworld.wordpress.com
(Weight Reduction and Life-Style Medicine)

Leave a comment