গোলগাল, পুটলি একটা ভূঁড়ি , আপনার স্মার্টনেস নষ্ট করতে যথেষ্ট……।

………………..

একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর, বলতে গেলে প্রায় সবারই ভুঁড়ির সমস্যা দেখা যায়। অনেকে ডায়েট করেন, নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করেন কিন্তু ভুঁড়িটা যেন কমেও কমছে না।

তাই নিয়মিত হাঁটা ও খাদ্যনিয়ন্ত্রনের পাশাপাশি যদি আপনি প্রতিদিন ১/২ মিনিট করে প্ল্যাঙ্ক করেন, তাহলে এই ভুঁড়ি গায়েব হতে বাধ্য হবে। কেউ যদি নিয়মিত হাঁটা ও খাদ্যনিয়ন্ত্রন না করে, শুধুই প্ল্যাঙ্ক করেন, তাহলে কিন্তু ফল শুভ হবে না। তাই প্লাঙ্কের সাথে সাথে, নিয়মিত হাঁটা ও খাদ্যনিয়ন্ত্রন অতোপ্রোতভাবে জড়িত। এই তিনটি কাজ একসাথে চালিয়ে যান, আর ভুঁড়িকে গুড বাই বলুন।

যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, তারা নিশ্চয়ই জানেন যে প্লাঙ্কের নানা রকম উপকারিতা আছে। প্রথমত, এই ব্যায়ামটি আপনার কোমর, পেট, নিতম্ব, কাঁধ, হ্যামস্ট্রিং সহ সব কোর মাসলের উপরেই একসঙ্গে কাজ করে৷ কোর মাসলের শক্তি বাড়লে আপনি ভিতর থেকে সুস্থ থাকবেন, ক্রমশ সুন্দর শেপে আসবে আপনার পেটের দিক৷ ঝরে যাবে বাড়তি মেদ৷

কতক্ষন করবেনঃ

. ১-২ মিনিট করে, সারাদিনে ৮ থেকে ১০ বার করবেন। ভালো হয়, যদি আপনি ৫ ওয়াক্ত নামাজের পর পর করেন। এতে ভুলে গিয়ে প্ল্যাঙ্ক বাদ পড়বে না।
. নিজে থেকে একেবারেই এটা করতে যাবেন না। ধিরে ধিরে আস্তে আস্তে অভ্যাস করুন।
. প্রথম দিকে টানা ১০–২০ সেকেন্ড করার চেষ্টা করুন।
ধীরে ধীরে বাড়াবেন।
. যখন টানা এক মিনিট করতে পারবেন, তখন বুঝবেন, আপনার ফিটনেস লেভেল বাড়ছে।
. কোমরে ব্যথা হলে বুঝবেন, ঠিকমতো হচ্ছে না ব্যায়ামটা।
. কিভাবে প্ল্যাঙ্ক করবেন, চাইলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

প্ল্যাঙ্ক কিভাবে কাজ করেঃ

এই ব্যায়াম করার সময় পেটের পেশি টেনে ভিতরের দিকে রাখবেন। তবে শ্বাস–প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে। পেটের এই পেশি ভিতরের দিকে টেনে, পুরো ১ মিনিট প্ল্যাঙ্ক করাটাই হোল আসল ম্যাজিক।

বিশেষ সতর্কতাঃ

. প্লাঙ্কের সময় শরীর যেন ভূমিতলের সঙ্গে সমান্তরাল ভাবে থাকে। ভুলবশত কোমর উঁচু হয়ে থাকলে সেখানে বাড়তি চাপ পড়বে। সেক্ষেত্রে কোমরের সমস্যায় ভুগতে হতে পারে। এছাড়া প্ল্যাঙ্ক করতে গিয়ে ঘাড়ে বা অন্য কোথাও, কোন ব্যাথা পেলে সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

কিভাবে করবেনঃ

. প্ল্যাঙ্ক অনেক ধরনের হয়ে থাকে। আপনি ইউ টিউবে গেলে, ভিডিও সহ সবগুলো দেখতে পারবেন।
. প্রথম দিকে অনভ্যস্ত শরীরে, হাতের কনুই পর্যন্ত মাটির সঙ্গে ঠেকিয়ে প্লাঙ্ক করুন। অভ্যস্ত হয়ে গেলে হাতের পাতা ও পায়ের পাতা মাটিতে রেখে বাকি শরীরটা শূন্যে তুলে প্লাঙ্ক করুন এবং পেট ভিতরেরে দিকে টেনে ধরে রাখুন, কিন্তু শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে। এতে করে আপনার বাড়তি ক্যালরি খরচ হবে।
. সাইড প্লাঙ্ক করার সময় এক হাত আর এক পা মাটিতে রাখবেন। অন্য হাত তুলে দিন উপরে, একটি পায়ের উপর অন্যটি থাকবে। যতক্ষণ পারেন তা ধরে রেখে হাত ও পা বদল করুন।

প্লাঙ্কের উপকারিতা:

. এটি নিয়মিত অভ্যাসের ফলে পেট ও কোমরের কোর মাসলের শক্তি বাড়ে। পেশী টানটান হয়, মেদ জমে থাকার কোন অবকাশও পায় না।
. পেটের ওপর ও নিচের অংশের চর্বি কমাতে সবচেয়ে কার্যকরী ব্যায়াম এটা।
. কোমরে যাঁদের ব্যথা, তাঁদের জন্য এটা উপকারী ব্যায়াম।
. এই জাতীয় প্লাঙ্ক এক্সারসাইজ আসলে, মেরুদণ্ডের ভিতরের পেশীগুলোর জোর বাড়ায় ও শক্ত করে, আর মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।
. অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।

যেকোনো রোগ বা সমস্যার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

……… তিনা শুভ্র

https://teenasuvrosworld.wordpress.com

Leave a comment