………………
সাম্প্রতিক কালে বিজ্ঞান বলছে মাঝে মাঝে না খেয়ে থাকা শরীরে জন্য বেশ ভালো। এতে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা নিজে থেকে সমাধান হয়ে যায়, এমনকি ক্যান্সারের মত প্রাণঘাতী রোগ থেকেও রক্ষা পেতে পারে আমাদের দেহ। ব্যাপারটা ঘটে আটোফ্যাগির মাধ্যমে। আটোফ্যাগি হোল আমাদের শরীরের একধরনের প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে কোষগুলো তার বর্জ্যকে ব্যাবহার করে শক্তি উৎপাদন করে থাকে। সাথে সাথে মৃতপ্রায় ও ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলোকে মেরে ফেলে, সেখানে নতুন কোষের গঠন করে।
এই প্রক্রিয়া সেই সব কোষেই শুরু হয়, যখন পুষ্টির অভাবে কোষের বৃদ্ধি থেমে যায় এবং প্রাণশক্তি ফুরিয়ে যেতে শুরু করে। সাধারণত আমরা যখন অনেকক্ষণ (দিনের একটা বড় অংশ) না খেয়ে থাকি বা যে কোন প্রতিকুল পরিবেশে শরীর যখন খাদ্য বা পুষ্টি পায় না, তখনই অটোফ্যাগি শুরু হয়।
আমাদের দেহে অটোফ্যাগির গুরুত্ব বা কাজ কি?
১। এতে কোষের আবর্জনা দূরীভুত হয়। শরীর মৃত এবং অপ্রয়োজনীয় কোষগুলোকে মেরে ফেলে নতুন কোষ গঠন করে। আর এই নীতি আমরা ক্যান্সার রোগে ব্যাবহার করতে পারি। অটোফ্যাগির মাধ্যমে ক্যান্সার রোগীর ক্যান্সার সেলগুলোকে মেরে গেলা যেতে পারে।
২। আপাতদৃষ্টিতে, অটোফ্যাগি অস্বাভাবিক মনে হলেও, এটি জীব দেহের একটি স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক সুরক্ষা পদ্ধতি, যার মাধ্যমে শরীর, ক্ষুধা, ব্যকটেরিয়া ও ভাইরাস মোকাবেলার মতো কাজগুলো করে থাকে।
৩। অটোফ্যাগির নানা সমস্যার কারনেই ডায়াবেটিস (Diabetes), পার্কিনসন্স (Parkinsons), ডিমেনসিয়া, ক্যান্সার জাতিয় রোগের সৃষ্টি হয় শরীরে। তাই এসব রোগের চিকিৎসায় অটোফ্যাগিকে কাজে লাগান যায়।
আমরা সাহাধারন্ট ৩ ধরনের কাজের মাধ্যমে, দেহের অটোফ্যাগি প্রক্রিয়াটাকে ত্বরাণ্বিত করতে পারি। এতে মূলত, দেহ নতুন কোষ অর্থাৎ নতুন জীবন লাভ করে।
১। শারীরিক ব্যায়াম।
২। রোজা বা উপবাস বা ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং।
৩। লো কার্বোহাইড্রেট খাবার খাওয়া।
যাদের জন্য প্রযোজ্য নয়ঃ
. গর্ভবতী মা।
. উচ্চ বা নিম্নরক্তচাপ, ডায়াবেটিসে, হৃদ্রোগে বা যে কোন জটিল রোগে আক্রান্ত রোগী।
. বুকের দুধ খাওয়ানো মা।
. রক্তস্বল্পতার রোগী এবং
. ১৮-২০ বছরের কম বয়সী।
যেকোনো রোগ বা সমস্যার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
…… তিনা শুভ্র
