………
ধর্ম বা সাংস্কৃতিক কারনে, আমারা অনেকেই বেশ লম্বা সময় না খেয়ে থাকি। আবার অনেকে ওজন কমানোর জন্যও কিছুটা সময় না খেয়ে থাকেন। এই যে আমরা না খেয়ে থাকি, এতে আমাদের শরীরে কি হয় বা এই না খেয়ে থাকা, শরীরের জন্য কতটা গ্রহণযোগ্য, তা নিয়ে আজ আলোচনা করবো।
কি হয়, যখন আমরা না খেয়ে থাকিঃ
১। না খেয়ে থাকা শুরু করার ৬ ঘণ্টার মাথায়, শরীরে খিধার সিগন্যাল আসতে থাকে। কারণ তখন রক্তে সুগারের পরিমান কম থাকে। শরীর যখন দেখতে পায় যে কোন খাবার আসছে না। তখন শরীর আমাদের দেহে জমে থাকা ফ্যাটের দিকে মনোযোগ দেয়। আর তাই ৮ ঘণ্টা পর আপনার আর খিধার অনুভূতি থাকবে না। কারন ইতোমধ্যেই, আপনার শরীর, আপনার দেহে জমে থাকা ফ্যাট ভাংতে শুরু করে দিয়েছে। আপনি অভুক্ত অবস্থায় শরীরকে কোন খাবার না দিলে, শরীর তখন, নিজেই নিজের জমা শক্তি ব্যাবহার করা শুরু করে। ফলে অাপনার ওজনও কমতে থাকবে।
২। আমাদের শরীরে সবসময়ই ভাংগা গড়ার কাজ চলছে, আর তাতে অনেক আবর্জনাও তৈরি হয়। সবসময় এই আবর্জনাগুলো শরীর বের করে দিতে পারে না। ফলে কোষের মধ্যে এই আবজনা জমতে থাকে, যা পরবর্তীতে ক্যান্সার সহ নানান জটিল রোগের সৃষ্টি হয়। আর এই আবর্জনাগুলো বের করে দেবার একটি আদর্শ উপায় হোল বেশ লম্বা সময় না খেয়ে থাকা। আমরা যখন অনেকক্ষণ (দিনের একটা বড় অংশ) না খেয়ে থাকি, তখন কোষগুলো নিজেই নিজের আবর্জনা বা অসুস্থ কোষগুলো খেতে শুরু করে। শরীর পায় এক নবজীবন। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই প্রক্রিয়াকে বলে অটোফ্যাগি।
অামরা যে ধর্মেরই হই না কেন, রোজা বা উপবাস বা ফাস্টিং, অামাদের কল্যানই বয়ে অনে। তাই আমাদের সুস্থতার জন্য, সবার উচিত হবে মাঝেমধ্যেই লম্বা সময় ধরে না খেয়ে থাকার অভ্যাস করা।
…….. তিনা শুভ্র
