ভুঁড়ি নিয়ে সমস্যায় নাই, এমন লোক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। দেখা যায় যে, আপনার স্বাস্থ্য হয়তো ঠিক আছে কিন্তু ভুঁড়িটাই নষ্ট করে দিচ্ছে আপনার সব স্মার্ট নেস। কেউ হয়তো রেগুলার হাঁটছেন, ডায়েট করছেন কিন্তু ভুঁড়ি কিছুতেই কমছে না। ভুঁড়ি কমানোর জন্য আপনাকে কিছুটা আলাদা কষ্ট করতেই হবে। আর সেগুলোই হল পেটের কিছু স্পেশাল ব্যায়াম। কেননা ব্যায়াম ছাড়া ভুঁড়ি কমানো প্রায় অসম্ভব। পেটের বিভিন্ন ধরনের ব্যায়ামের মধ্যে আজ আমরা সিট আপ নিয়ে আলোচনা করবো।
সিটআপ পেটের পেশীর একটি ব্যায়াম, যেটি পেটের পেশীকে শক্তিশালী ও মজবুত করে।
পেটের প্রধান পেশী রেকটাস অ্যাবডোমিনিস পেশী, যাকে জিমের ভাষায় সিক্স প্যাক বলা হয়ে থাকে। আর সেটিকে মেদহীন,শক্তিশালী ও সুগঠিত আকার প্রদান করে সিটআপ। যে সকল ব্যায়ামের মাধ্যমে সিক্স প্যাক তৈরি করা হয়, তাদের মধ্যে এটি সবচেয়ে প্রধান ব্যায়াম|
সিটআপ করলে পেট তো বটেই, পাশাপাশি গোটা শরীরের মেদ ঝরে। স্বাভাবিক গতিতে বিশ্রাম না নিয়ে টানা ১০ মিনিট সিট আপ করলে, ৬০ ক্যালোরি গলতে পারে।
সিটআপ করে খুব তাড়াতাড়ি ওজন কমবে, এটা ঠিক নয়। পেট কমানোর জন্য সিটআপের পাশাপাশি আরও কয়েকটি ব্যায়ামকে নিয়মিত অভ্যাসের মধ্যে রাখতে হবে। প্রথমেই নিজের উপর বাড়াবাড়ি রকমের চাপ দিয়ে সিটআপ করা শুরু করবেন না। শুরু করুন ধীরে ধীরে। এরপর সিট আপের পাশাপাশি একটু একটু করে বাড়ান সহযোগী ব্যায়ামের সংখ্যা। তবে, সবার আগে ওয়ার্ম আপ করে নিতে ভুলবেন না।
কিভাবে করবেনঃ (ছবিতে দেখুন)
. মেঝেতে চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন।
. এবার পা দুটো হাটুঁ বরাবর ভাঁজ করে দিন।
. হাত থাকবে মাথার পিছনে, ঘাঁড়কে সাপোর্ট দেবার জন্য।
. এবার শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে সোজা সামনের দিকে উঠে বসুন।
. পা হাঁটু-ভাঁজ অবস্থায় থাকবে।
. এবার শ্বাস নিতে নিতে আবার শুয়ে পড়বেন।
. এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যে, আপনি যখন শুয়া থেকে উঠবেন, তখন যেন আপনার কাঁধটা শুধু উপরে উঠে আসবে, মাথা বা ঘাড় নয়। নতুবা মেরুদণ্ডে সমস্যা হতে পারে।
বিশেষ খেয়ালঃ
সিটআপ শুরু করার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ জরুরি। তা নাহলে আপনার ঘাড়ে ও মেরুদণ্ডের বিরাট ক্ষতি হতে পারে।
কতবার করবেনঃ
. ৪/৫ সেট করবেন।
. প্রতিসেটে ১২/১৫ বার করবেন।
এরপর ১ মিনিট বিশ্রাম নিয়ে আবার শুরু করবেন।
সবচেয়ে ভাল হয়, প্রতি ৫ ওয়াক্ত নামাজের পর সিটআপ করলে।
যেকোনো রোগ বা সমস্যার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
…… তিনা শুভ্র।
