দুধ খেলে কি ওজন বাড়ে না কমে??

ওজন কমানোর কথা চিন্তা করলেই প্রথমেই মাথায় আসে যে, দুধ খাওয়া যাবে না। কথাটি অনেকাংশে সত্যি। কেননা, আপনি যদি রেগুলার ফুল ক্রিম দুধ খান, তাহলে আপনার ওজন অবশ্যই বাড়বে। আর তাই, ওজন যেন না বাড়ে সেজন্য লো ফ্যাট বা ফ্যাট ছাড়া দুধ পান করা যেতে পারে।

দুনিয়াতে সকল খাবারের মধ্যে দুধকে আদর্শ খাবার ধরা হয়। প্রচুর পুষ্টিগুন রয়েছে এই দুধে। তাই শুধুমাত্র ফ্যাটের ভয়ে এই দুধকে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেয়া বিরাট বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়।
আর আমরা যারা ওজন কমানোর জন্য ডায়েট করি, তারা সাধারণত কম ক্যালরিযুক্ত খাবার খাই, ফলে শরীরে নানান উপাদানের ঘাটতি দেখা দিতে পারে, সেক্ষেত্রে লো ফ্যাট বা ফ্যাট ছাড়া দুধ হতে পারে আপনার বন্ধু, যা আপনার সকল খাদ্যাপাদানের ঘাটতি দূর করে দিবে।
আবার যদি আপনার ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স থেকে থাকে, সেক্ষেত্রে ল্যাকটোজ ফ্রি দুধ পান করতে পারেন কিংবা দই খেতে পারেন।

এখন আমারা দেখে নেবো, যে লো ফ্যাট বা ফ্যাট ছাড়া দুধ খেলে কিভাবে তা ওজন কমাতে সাহায্য করে…

১। লো ফ্যাট দুধে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। এই প্রোটিন লেপটিন হরমনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয় দুধ। এই হরমোন বেশি পরিমাণে নিঃসৃত হলে খিদে কম হয়। আর খিদা কম মানেই খাওয়াও কম হবে। ফলে ওজন বাড়বে না। দুধের প্রোটিন অনেক্ষন আপনার পেট ভরিয়ে রাখবে, ফলে ঘন ঘন খিদে পাবে না, উল্টোপাল্টা কিছু খাবার ইচ্ছেও হবে না। ওজন কমবে ধীরে ধীরে।

তাই খিদা পেটে এক গ্লাস দুধ পান করলে, তা অনেক্ষন পেট ভরিয়ে রাখবে, ফলে বাড়তি খাওয়া হবে না।

২। দুধে রয়েছে লায়নোলিক এসিড, যা শরিরের চর্বি ভাংতে সাহায্য কর বলে ধারনা করা হয়।

৩। ঠাণ্ডা দুধ ওজন কমায়। ঠাণ্ডা দুধে থাকা ক্যালসিয়াম শরীরের হজম বা বিপাক প্রক্রিয়া বাড়িয়ে দেয়, এতে ক্যালরি খরচ হয় বেশি। ফলে ওজন কমতে থাকে। তাই খিদা লাগলে এক গ্লাস ঠাণ্ডা দুধ পান করুন।

যাঁরা গ্যাস্ট্রিক বা পেট জ্বলা সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের জন্য ঠান্ডা দুধ ভীষণ উপকারী। এতে বুক ও পেট জ্বালাপোড়া কমে। তাই খাবার খাওয়ার পর রোজ আধা গ্লাস ঠান্ডা দুধ পান করুন।

৪। দুধে অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে। দুধ গরম করা হলে অ্যামিনো অ্যাসিড সক্রিয় হয়ে ওঠে, যা ঘুম ভালো হতে সাহায্য করে। আর রাতের একটানা ৭/৮ ঘণ্টা ঘুম আপনার ওজন কমানোর জন্য খুবই জরুরী। রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম দুধ পান করলে ঘুম ভালো হয়।

উপরে তো শুধু দুধের ওজন কমানোর উপকারিতা বলা হলো। দুধের যে আরও কত উপকার আছে তা লিখে শেষ করা যাবে না। তাই শুধু ওজন কমাতে নয়, সুস্থ থাকতে প্রতিদিন লো ফ্যাট বা ফ্যাট ছাড়া দুধ পান করুন।

যেকোনো রোগ বা সমস্যার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

…… তিনা শুভ্র ।

Leave a comment