কি কি জিনিস ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়, সে প্রসঙ্গ এলে বলা যায়, আঁশ যুক্ত খাবার কম খেলে এবং শর্করাযুক্ত খাদ্য বেশি খেলে বাড়বে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি। গবেষকরা খাদ্যের যে উপকরণকে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমানোর জন্য সম্পর্কিত করতে চাচ্ছেন, তা হলো আঁশ সমৃদ্ধ খাদ্য। Harvard Medical এর দুটো গবেষাণা থেকে জানা যায়, আঁশ যুক্ত খাবার খেলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বহুলাংশে কমে যায়।
তাই হঠাৎ করে রক্তে শর্করা বেড়ে গেলে জানবেন, শরীর আপনাকে বোঝাতে চাইছে যে, আপনার পর্যাপ্ত পরিমানে ফাইবার বা খাদ্য আঁশ দরকার৷
ফাইবার বা আঁশ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় কিভাবে?
আমরা যখন অতিরিক্ত চিনি বা শর্করা জাতীয় কোন খাবার খাই, তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা এমনভাবে বেড়ে যায় যে, ইনসুলিন অনেক সময় সবগুলো গ্লুকোজকে ভাঙতে পারে না। এতে রক্তে বাড়ে গ্লুকোজের মাত্রা। এ অবস্থা ক্রমাগত চলতে থাকলে একসময় তা রূপ নেয় ডায়াবেটিসে। আর খাবার থেকে শরীরে চিনি শোষণের প্রক্রিয়াটি দীর্ঘায়ীত করে এই ফাইবার বা খাদ্য আঁশ। ফলে ডায়াবেটিস হওয়ার পুরো প্রক্রিয়াটি বাধাগ্রস্ত হয়। খাবারের ফাইবার খাদ্যনালীর হজমকে স্লো করে বলে, রক্তে শর্করা দ্রুত বাড়তে পারে না। ফাইবার বা খাদ্য আঁশ শরীরে সহজে হজম হয় না। কিন্তু খাদ্যনালীতে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়াদের খাদ্য হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া ফাইবার মাত্রাতিরিক্ত ক্ষুধা নিবারণ করে, হজমক্রিয়া ও ইনসুলিন সেনসিটিভির উন্নতি ঘটায়। তাই খাদ্য আঁশ বা ফাইবার, উচ্চ কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবারের সাথে খেলে ব্লাড সুগার বৃদ্ধি কমতে থাকবে।
শাক সবজী ও ফলমূলে রয়েছে প্রচুর পরিমানে খাদ্য অাঁশ বা ফাইবার। ফলমূল ও শাক সবজীর পাশাপাশি, ইসবগুলের ভুষিতেও প্রচুর ফাইবার বিদ্যমান। আমাদের উচিত হবে, ফলমূল ও শাক সবজির পাশাপাশি ইসবগুলের ভুষিও নিয়মিত খাওয়া। ইসবগুলের ভূষিতে রয়েছে জিলাটিন নামক একটি উপাদান যা দেহে গ্লুকোজের শোষণ ও ভাঙার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে। ফলে রক্তে সহজে সুগারের পরিমাণ বাড়তে পারে না। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন শাক সবজি ও ফলমূলের পাশাপাশি ইসবগুলের ভুষি খুবই উপযুক্ত।
যেকোনো রোগ বা সমস্যার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
……তিনা শুভ্র ।
