বিষম খাওয়া বা চোকিং এ কাজটি করুন, হয়তো বেঁচে যেতে পারেন আপনি নিজে অথবা বাঁচাতে পারেন নিকটজনের প্রান!!

খাবার খেতে যেয়ে গলায় খাবার আটকে যাওয়াকেই বিষম খাওয়া বা চোকিং বলে। খেতে বসে, কোন না কোন সময়, বিষম আমরা প্রায় সবাই খাই, আবার ঠিকও হয়ে যাই। তবে কখনও কখনও বিষম কিন্তু ভয়ঙ্কর বিপদও ডেকে আনতে পারে এমনকি মৃত্যুও ঘটে যেতে পারে মুহূর্তের মধ্যে।

আমাদের শরীরে খাদ্যনালী ও শ্বাসনালি পাশাপাশি থাকে। কখনো কখনো, খাওয়ার সময়, খাদ্য খাদ্যনালীতে না যেয়ে, শ্বাসনালীতে চলে যেতে পারে। শ্বাসনালীতে কিছু আটকে গেলে ফুসফুসে অক্সিজেন সরবরাহে বাঁধা পায়। ফলে হার্ট ও ব্রেইনে অক্সিজেনের অভাব হয়। দেখা দেয় নিঃশ্বাসের কষ্ট ও কাশি। তখন মানুষ কোমায় চলে যেতে পারে। এই অবস্থায় দ্রুত কৃত্রিম উপায়ে অক্সিজেন সরবরাহ করতে না পারলে, রোগীকে বাঁচানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।

বিশ্বজুড়ে শ্বাসনালীতে খাবার আটকে প্রতি বছর কোটি মানুষ ভয়ানক বিপদে পড়েন। বিশ্বের প্রতি দু’ঘণ্টায় এক জন মানুষ গলায় খাবার বা অন্য কিছু আটকে গিয়ে দম বন্ধ হয়ে মারা যান।

এরকম সমস্যায় পড়লে আতঙ্কিত না হয়ে মাথা ঠান্ডা রেখে রোগীকে আস্তে আস্তে কাশতে বলতে হবে। এতে কাজ না হলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে, আপনি এই কাজটি করতে পারেন, আর নিমিষের মধ্যেই এড়াতে পারেন ভয়াবহ দুর্ঘটনা। এক্ষেত্রে সাথে সাথে আমরা যা করতে পারি তা হল,

অন্য কেউ আক্রান্ত হলেঃ

এক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তির পেছনে সোজাভাবে দাঁড়াতে হবে। পেছন থেকে তাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে, রোগীর বুক আর পেটের মধ্যখানে জোরে চেপে ধরে চাপটি ওপর দিকে সঞ্চালিত করতে হবে। যাতে আক্রান্ত ব্যক্তির কাশির সৃষ্টি হয়। এতে গলায় আটকে থাকা খাবার বা বস্তু মুখ দিয়ে কাশির সঙ্গে বেরিয়ে আসে।

(ছবিতে দেখুন)

নিজে আক্রান্ত হলেঃ

এ ধরনের ঘটনায় নিজে আক্রান্ত হলে এবং আশপাশে কেউ না থাকলে, সে ক্ষেত্রে একটি চেয়ার নিয়ে, চেয়ারের যেদিকে হেলান দেওয়া হয় সেটি পেট আর বুকের মধ্যস্থলে রেখে, যতটা সম্ভব চেপে রেখে ওপরের দিকে চাপটি সঞ্চালিত করতে হবে, যাতে কাশির সৃষ্টি হয়। এতে অনেক সময় খাবার বা বস্তু মুখ দিয়ে কাশির সঙ্গে বেরিয়ে আসে।

(ছবিতে দেখুন)

তাই খাওয়ার সময় খাওয়াটাই একমাত্র কাজ হওয়া উচিত, অযথা কথাবার্তা বা গল্পগুজব করা ঠিক নয়। খাবার ধীরে ধীরে, চিবিয়ে, ছোট টুকরা টুকরা করে খান। কারো শ্বাসকষ্টের সামান্য সমস্যা থাকলে মুড়ি, চিঁড়া ও বিস্কুটের মতো শুকনা খাবার এড়িয়ে চলুন বা সাবধানে অল্প অল্প করে খান।

যেকোনো রোগ বা সমস্যার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

…তিনা শুভ্র ।

Leave a comment