যারা একেবারেই হাঁটছেন না কিংবা ওজন কমাতে হিমশিম খাচ্ছেন কিংবা যাদের হাই প্রেশার, ডায়াবেটিস, হাই কোলেস্টেরল ইত্যাদি আছে, তারা আগামীকাল থাকেই জিমে যাওয়া শুরু করে দিন…।।

…………..

বর্তমান ব্যস্ততার যুগে, আমরা শরীরের ঠিকমতো যত্ন নিতে পারি না। সবাই খুব ভালমতো জানি যে, প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটলে, সুস্থ থাকা সম্ভব। জানার পরও আমরা রেগুলার হাঁটি না, কিংবা একদিন হাঁটলে ৩/৪ দিন বাদ দেই। হাঁটার প্রতি এই গরজ না থাকার কারণই হল, অবহেলা, অলসতা, অনীহা আর কোন দায়বদ্ধতা না থাকা।

এক্ষেত্রে আমরা একটা কাজ করতে পারি, নিজেকে নিজের সাথে মাস্টারি করতে পারি। যেমন, আমরা ব্যায়ামের জন্য জিমে ভর্তি হতে পারি। এতে কোন অপকার তো হবেই না, বরং উপকার বয়ে আনবে নিশ্চিত।

ব্যাপারটা এরকম যে, জিমে ভর্তি হতে এবং মাসে মাসে যে খরচ হবে, সেটার কথা চিন্তা করে হলেও আমরা প্রতিদিন জিমে যাবো। আর জিমে গেলেই তো লাভ, কোন ক্ষতি নেই। একবার জিমে ভর্তি হয়ে গেলে, দেখা যাবে, টাকার মায়াতে রেগুলার যাওয়া হচ্ছে। আর বন্ধুরা মিলে যদি একসাথে যাওয়া যায়, তাহলে ফুর্তিরও কমতি হবে না। এতে শরীর ও মন দুটোই ভাল থাকবে।

এখন হয়তো অনেকেই ভাবছেন যে, জিমে যেতে হলে অনেক টাকা অযথাই চলে যাবে, তারচেয়ে নিজেই প্রতিদিন হাঁটবো। আসলে নিজে নিজে এই কাজ একটানা করা হয়ে উঠে না, যার একমাত্র জ্বলজ্বলে প্রমাণ আপনি নিজেই। মানুষ খুব অদ্ভুত প্রাণী, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই, তার নিজের উপর নিজের কোন কন্ট্রোল থাকে না আর অবাধ্যতা মানুষের বড়ই প্রিয়। যার কারণে, বেশিভাগ মানুষই রেগুলার হাঁটার অভ্যাস ধরে রাখতে পারে না।

আর জিমের খরচ নিয়ে একটা যৌক্তিক ব্যাখ্যা দেই,
আপনি হিসেব করলেই দেখবেন যে, আমরা অপ্রয়োজনেই নানা খরচ করে থাকি, যেখানে জিম কোন অদরকারী বিষয় নয়। তাই অন্যান্য বাজে খরচ বাদ দিয়ে, জিমে গিয়েও দেখতে পারেন। আবার শরীরে একবার কোন কঠিন অসুখ দেখা দিলে, তখন লাখ লাখ টাকা খরচ করেও সুস্থতা ফিরে পাওয়া যাবে না। অসুস্থ অবস্থায় লাখ লাখ টাকা খরচ না করে, সুস্থ অবস্থায়, শরীরের যত্ন নিতে সেই টাকা খরচ করুন, যেমন জিমে যেতে পারেন।

জিমে গেলে আমাদের ব্যায়াম হয়, আর ব্যায়ামের প্রচুর উপকারিতা রয়েছে। জিম মানুষকে সুস্থ রাখতে পারে। এটি ওজন কমানোর সবচেয়ে ভালো মাধ্যম। পেশি ও হাড়ের জন্য এটি খুব উপকারী। মানুষের শক্তি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি রোগের ঝুঁকিও কমায়। যারা জিম করে তাদের মন সব সময় ফুরফুরে থাকে। এমনকি তাদের ঘুমেও সমস্যা হয় না। প্রতিদিন জিম করলে হরমোনের উন্নতি ও রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করার পাশাপাশি শরীরকে ঝরঝরা ও পাতলা রাখে। জিম করলে যেমন আত্মবিশ্বাস বাড়ে তেমনি সফলতাও বেশি ধরা দেয়।

নিজের উপর পজিটিভ মনোভার রাখুন এবং ধৈর্য্য নিয়ে জিম করুন। কত তাড়াতাড়ি ফিটনেস গোল অর্জন করতে পারবেন বা ওজন কমাতে পারবেন, তা নিয়ে কখনোই টেনশন করবেন না। জিমের সময়টুকু উপভোগ করার চেষ্টা করুন। জিমে কি করতে হবে, কিভাবে করতে হবে তার জন্য অবশ্যই ট্রেইনারের কথা মত চলুন।

যেকোনো রোগ বা সমস্যার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

……তিনা শুভ্র ।

Leave a comment