যেদিন আমি মারা যাবো,
ভুলেও চোখের পানি ফেলো না,
ভারী করে তুলো না তোমার পটে আঁকা চোখ দুটো।
আমি যদি ভালো লোক হয়ে থাকি,
তাহলে আমার আত্মা ভালোই থাকবে মৃত্যুর ওপারে।
আর আমি যদি অশুভ মানুষ হয়ে থাকি
আমার প্রস্থান পৃথিবীর জন্য তো সুসংবাদই বটে।
যেদিন আমি চলে যাবো,
দিনটাকে খুশি মনে উদযাপন কোরো,
সম্ভব হলে, সামর্থ্যে কুলালে
ভালো কোনো খাওয়া এনে খেয়ো বাজার থেকে –
হাজির বিরিয়ানী, ফখরুদ্দিনের পোলাও, সাথে দুই লিটারের কোক।
উদযাপন কোরো সেই দিনটা, কেননা আমি তো যাচ্ছি তাঁর কাছে
যিনি আমাকে মায়ের চেয়ে বেশি মমতা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন।
তিনি কি আমার সাথে অন্যায় করবেন,
যেরকম অন্যায় তুমি আমার সাথে করেছিলে?
জীবিত আমার সাথে তুমি এমন আচরণ করেছিলে, যেন আমি মৃত।
তাই তোমাদের ওপর আমার ভরসা নেই একদমই,
যেটুক ভরসা, সেটা বরং আছে তাঁর ওপর।
যেদিন আমার মৃত্যু হবে,
বিষন্ন? সেটা তুমি হতে পারো।
তবে সেই মন খারাপ হবে ততটুকুই,
যতটুক বিমানবন্দরে বিদায়ের সময় মানুষের হয়ে থাকে।
এমন তো নয় যে আমি চলে যাবার পর তুমি চিরদিন থেকে যাবে এই পৃথিবীতে,
কাল বা পরশু কিংবা তরশু
আবার তো আমাদের দেখা হচ্ছেই – দরজার ওপাশে।
মৃত্যুকে সৃষ্টি করা হয়েছিল জীবনেরও আগে।
আমরা যদি জীবনকে উদযাপন করতে পারি,
মৃত্যুকে কেন নয়?
