অনেকেরই দুই উরুর ভিতরের দিকে ছিলে যায়, সেক্ষেত্রে কি করনীয় ….

এই সমস্যাটা অনেকেরই হয়ে থাকে, ছোট ছেলেমেয়েদের তো অনেক বেশি হতে দেখা যায়। খুবই বিব্রতকর একটি সমস্যা, কাউকে বলাও যায় না। চলুন আজ জেনে নেই, কেন এই সমস্যা হয়, কি করলে এ সমস্যায় আরাম মিলবে এবং কি করলে আর হবে না।

দুই পায়ের উরুর ভিতরের দিকে সাধারণত এই সমস্যাটি দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে দুই উরুর চামড়ার ঘষা লেগে এই সমস্যাটি সৃষ্টি হয়। এতে চামড়া ছিলে যায়, চুলকায়, জ্বলে, ব্যাথা করে, হাঁটতে কষ্ট হয়।

কারনঃ
. সাধারণত এক পায়ের উরুর চামড়ার সাথে অন্য পায়ের উরুর চামড়ার ঘষা লাগলে এ সমস্যাটি দেখা দেয়।
. স্কার্ট এবং ফ্রক পরা মেয়েদের এটা বেশি হয়। কারণ, এতে সহজেই চামড়ার সাথে চামড়ার ঘষা লাগে যায়। তাই স্কার্ট বা ফ্রক পরলে নিচে অবশ্যই শর্টস পরা উচিত। এতে চামড়ার সাথে চামড়ার সরাসরি ঘষা লাগবে না।
. পেন্ট বা জামার কাপড়ের কারণেও অনেক সময় ছিলে যেতে পারে।
. অনেকসময় বেশি হাঁটলে, দৌড়ালে, সাইকেল চালালে, অতিরিক্ত ব্যায়াম করলেও হতে পারে।
. দুই পা অনেকক্ষণ ধরে ক্রস করে বসে থাকলেঅ এটা হতে পারে।
. যাদের ওজন বেশি, তাদের এ সমস্যা বেশি হতে পারে।
. রাফ বা হেভি মেটেরিয়ালের পেন্ট বা কাপড় পড়লে হতে পরে।
. ডায়পার ব্যাবহার করলে এটা হতে পারে।

আর এই ছিলে যাওয়া যদি অবহেলা করা হয় তাহলে তা বেড়ে গিয়ে ইনফেকশন হতে পারে।

এমতাবস্থায় কি করলে আরাম মিলবেঃ

. বিশ্রামে থাকতে হবে।
. আক্রান্ত স্থান চুলকান যাবে না, বেশি চুলকানি হলে বরফকুচি লাগানো যেতে পারে।
. আক্রান্ত স্থানে ভেসেলিন বা পেট্রলিয়াম জেলি লাগানো যেতে পারে।
. এক্ষেত্রে সবচেয়ে আরাম মিলে যদি জনসন বেবি পাউডার লাগিয়ে বেশ কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেয়া হয়।

কি করলে পরবর্তীতে এই সমস্যা আর হবে নাঃ

. সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। ব্যবহৃত আন্ডার গার্মেন্টস পুনরায় ব্যবহার করা যাবে না।
. স্কার্ট, ফ্রক, পেটিকোট, লুঙ্গি ব্যবহার করলে, এদের নিচে লেগিন্স, ইয়গা পেন্ট কিংবা এমন আন্ডার পেন্ট ব্যবহার করতে হবে যেন, চামড়ার সাথে চামড়ার সরাসরি ঘষা না লাগে। আন্ডার পেন্ট ছাড়া এগুলো কোনমতেই পরা চলবে না।
. খেয়াল রাখতে হবে যেন, উরুর এই স্থানগুলো অতিরিক্ত না ঘামে, এজন্য পোশাক নির্বাচনে সচেতন থাকতে হবে।
কারো যদি বেশি ঘামার প্রবণতা থাকে, সেক্ষেত্রে ঘাম রোধক স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন।
. অতিরিক্ত ওজন থাকলে তা কমিয়ে ফেলতে হবে।
. সারাদিন প্রচুর পানি পান করতে হবে।
. প্রতিদিন পেট ক্লিয়ার রাখতে হবে।
. রাতে পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করতে হবে।

যদি এই ছিলে যাওয়া অংশ থেকে রক্ত, পুঁজ বের হয় কিং চামড়া ফুলে গিয়ে রঙ বদলে যায়, সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া জরুরি।

এই লেখার উদ্দেশ্য চিকিত্‍সা নয়, শুধুমাত্র সচেতনতা বৃদ্ধি করা। কোন ভাবেই এটিকে প্রেসক্রিপসন বা রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা যাবেনা।

যেকোনো রোগ বা সমস্যার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

……তিনা শুভ্র ।।

Leave a comment