………………
আপনার বয়স যদি ৪০ বা তার বেশি হয়ে থাকে, তাহলে আর দেরি না করে আজই আপনার রক্তের কোলেস্টেরল এর পরিমাণ দেখে নিন। আপনি হয়তোবা ততটা মোটা নন কিংবা আপনার হয়তো কোন শারীরিক অসুস্থতাও নেই, তারপরও রক্তের কোলেস্টেরল পরীক্ষা করিয়ে নেয়া অত্যন্ত অত্যন্ত জরুরী।
আর যাদের রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ আগে থেকেই বেশি, তাদেরও চিন্তার শেষ নেই। বন্ধু বান্ধব, আত্মীয় স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী প্রতিনিয়তই আপনাকে নানান প্রেসক্রিপশন দিয়ে যাচ্ছে, কি করবেন আর কি করবেন না। দেখা যায়, কেউ বলছে রসুন খেতে, কেউ বলছে আপেল সিডার ভিনেগার খেতে, আবার কেউ বা বলছে লেবু খেতে…
কিন্তু আপনি ঠিক ধরে নিতে পারছেন না কি করবেন?
এক্ষেত্রে রসুন, আদা, লেবু কিংবা ভিনেগার খেতে মানা নেই, তাই বলে রোগের মুল সমাধানে না গিয়ে শুধু রসুন, আদা, লেবু বা ভিনেগার খেলেই কিন্তু আপনার রক্তের কোলেস্টেরল কমবে না, বরং তা আরও খারাপের দিকে যেতে থাকবে।
এক্ষেত্রে আপনার উচিত হবে সর্বপ্রথম একজন ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া। কেবল মাত্র তিনিই আপনাকে সঠিক পরামর্শ দিতে পারবেন, আর কেউই নয়। আর নিজে থেকে কখনই ওষুধ কিনে খাবেন না। এক্ষেত্রে পায়ই আমরা নানান জনের কথামতো কিংবা ফার্মেসির লোকদের কথামতো কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ কিনে খাই, যেটা করা একেবারেই উচিত নয়।
আজ খুব সাধারণভাবে বলবো, যে কি করলে আপনার হাই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকবেঃ
১। ডাক্তারের পরামর্শ বাধ্যতামূলক।
২। প্রতিদিন অবশ্যই অবশ্যই এক/দেড় ঘণ্টা জোরে জোরে হাঁটুন।
৩। সকল প্রকার প্রাণীজ উৎস থেকে আসা খাবার, পরিমানে যথাসম্ভব কম খেতে হবে কিংবা বাদ দিয়ে দিতে হবে।
৪। সকল প্রকার উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে আসা খাবারের পরিমান উল্লেখযোগ্য হারে বাড়াতে হবে।
৫। উচ্চ তাপে, একই তেলে বারে বারে ভাজা যেকোনো খাবার, বাদ দিতে হবে। চাইলে নিজ ঘরে বানিয়ে খান।
৬। সম্ভব হলে ঘরে খাবার বানিয়ে খান, দোকানের বানানো সকল খাবার কিংবা প্যাকেট ও টিনজাত সকল খাবার কমিয়ে দিন বা বাদ দিন।
৭। দিনে প্রচুর পানি পান করুন।
৮। প্রতি রাতে ৭/৮ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন।
৯। প্রায় প্রতিদিন টয়লেট ক্লিয়ার রাখুন।
১০। মানসিক চাপ বা মানসিক অশান্তি থাকলে দ্রুত তার চিকিৎসা নিন।
এই লেখার উদ্দেশ্য চিকিত্সা নয়, শুধুমাত্র সচেতনতা বৃদ্ধি করা। কোন ভাবেই এটিকে প্রেসক্রিপসন বা রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা যাবেনা।
যেকোনো রোগ বা সমস্যার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
……তিনা শুভ্র ।।
