ওজন কমানোর জন্য আমরা কত কিছুই না করি, ব্যায়াম থেকে শুরু করে ওট, চিয়া সিড, লেবু পানি, আপেল সিডার ভিনেগার, স্লিমিং টি, স্লিমিং জুস বা স্মুদি আরও কত কি খেয়ে থাকি। কিন্তু আশানুরূপ ফল পাই না। আসলে ওজন কমানোর জন্য দরকার আপনার লাইফস্টাইলের কিছু পরিবর্তন। ঠিক নীচের এই কবিতার মতো …
early to bed and early to rise.
makes a man healthy, wealthy, and wise.
রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর সাথে সাথে যদি, তাড়াতাড়ি ডিনারটা শেষ করা যায়, তাহলে তো আর কথাই নেই, আপনি হয়ে যাবেন, আপনার রাজ্যের একজন যোগ্য রাজা। কিভাবে ?? চলুন জেনে নেই……
রাতে যদি আপনি তাড়াতাড়ি বা আগে আগে খেয়ে নেন, তাহলে রাতে খাওয়ার পর থেকে, সকাল পর্যন্ত তেমন কোনো খাবার খাওয়া হবে না। এতে শরীর একটা লম্বা সময় পর্যন্ত টানা উপবাসে চলে যাবে। এই দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকাটা, শরীরের বিরাট উপকার করে। এই সময়টায় শরীরে জমে থাকা চর্বি ভেঙে শক্তিতে পরিণত হয়। আর এটাই হোল ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং।
ওজন কমাতে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়। বেশ কয়েকটি গবেষণায় উঠে এসেছে, রাতে তাড়াতাড়ি খেয়ে নিলে, শরীর ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং অবস্থায় চলে যায় এবং দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে। রাতের খাবার ও সকালের নাস্তার মাঝের সময়ের ব্যবধান লম্বা হলে, আমাদের দেহ প্রয়োজনীয় শক্তির জন্য, দেহে জমে থাকা ফ্যাট ভাঙতে শুরু করে। এতে দেহের জমে থাকা ফ্যাট কমার সাথে সাথে, নতুন করে ফ্যাট জমার আর সুযোগ পায় না, ফলে ওজন হ্রাস পায়। তাই চেষ্টা করুন সন্ধ্যা ৭ টার মধ্যেই ডিনার শেষ করে ফেলতে।
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে যে, যারা রাতে দেরিতে খাবার গ্রহণ করেন, তাদের মধ্যে প্রয়োজনের তুলনায়, বেশি খাবার খেয়ে ফেলার প্রবণতা থাকে। তারা খাবার খাওয়ার কিছু সময়ের মধ্যেই ঘুমিয়ে পরার কারণে, তাদের শরীর, এই ক্যালরিগুলোকে ব্যবহার করার সময় পায় না। ফলে এই ক্যালরিগুলো ট্রাইগ্লিসারাইডে রূপান্তরিত হয়, যা স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। অপর দিকে, আগে আগে খেয়ে নিলে, দেহ ক্যালরি ব্যবহার করার সুযোগ পায়। ফলে রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে আসে।
শুধু ওজন কমানোই নয়, সুস্থ শরীরের জন্য রাতের খাবার আগে আগে খেয়ে, ২/৩ ঘণ্টা পর ঘুমাতে যাওয়া উচিত।
এই লেখার উদ্দেশ্য চিকিত্সা নয়, শুধুমাত্র সচেতনতা বৃদ্ধি করা। কোন ভাবেই এটিকে প্রেসক্রিপসন বা রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা যাবেনা।
যেকোনো রোগ বা সমস্যার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
…….. তিনা শুভ্র ।।
