…………….
আপনি যখন এই লেখাগুলো পড়ছেন ঠিক সেই মিনিটে, পৃথিবীতে প্রায় ৪ জন, নতুন করে ব্রেস্ট ক্যান্সার (Breast Cancer) এ আক্রান্ত হচ্ছে। নারী দেহে ঘটিত সকল Cancer এর মধ্যে ব্রেস্ট ক্যান্সার অন্যতম। তাই ব্রেস্ট ক্যান্সার নিয়ে নিজে জনুন, সচেতন হউন এবং অন্যকেও সচেতন করুন।
ব্রেস্ট ক্যান্সার কথাটা শুনলেই, আমরা যেন অস্বস্তি এবং লজ্জায় চুপ হয়ে যাই, কিছুই বলতে পারি না। শুধুমাত্র এই অস্বস্তি এবং লজ্জার কারণে, আমাদের দেশের বেশির ভাগ নারীরাই, তাদের এই সমস্যা লুকিয়ে রাখেন। পরবর্তীতে যখন তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে, তখন আসলে ডাক্তারদের করার কিছুই থাকে না। তাই বয়স অল্প থাকতেই সচেতন হন, নিয়মিত ব্রেস্ট পরীক্ষা করান।
ব্রেস্ট ক্যান্সার কেন হয় কিংবা ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণ কি কি, এ নিয়ে আজ কোন আলোচনা করব না, এতে অনেকেই বিব্রত বোধ করতে পারেন। তাই ব্রেস্ট ক্যান্সারের বিষয়ে আমি শুধু, দুটি পরামর্শ দিতে চাই, সেগুলো হল…
১। আপনার ব্রেস্ট এ, যেকোনো ধরনের কষ্ট, ব্যাথা, জ্বলা বা যেকোনো অস্বাভাবিকতা দেখা দিলে, কিংবা মনে কোন প্রকার সন্দেহ দেখা দিলে, কাল বিলম্ব না করে, অতি দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
২। ২০-৩৯ বছরের নারীদের, প্রতি ৩ বছর পর পর, বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে ব্রেস্ট পরীক্ষা করানো উচিত।
৪০ বছর ও তার অধিক বয়সের নারীদের প্রতিবছর একবার, বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে ব্রেস্ট পরীক্ষা ও মেমোগ্রাম করানো বাধ্যতামূলক।
হয়ত আপনি সুস্থ আছেন, কোন অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়নি আপনার মধ্যে, তারপরও আপনার উচিত হবে, আপনার ব্রেস্ট পরীক্ষা করিয়ে নেয়া। এতে যদি আপনার সামান্যতম সমস্যা ধরাও পরে, তবে তা সারিয়ে তোলা আপনার ডাক্তারের পক্ষে অনেক সহজ হবে এবং আপনিও বেঁচে যাবেন অমানুষিক যন্ত্রণা থেকে।
ব্রেস্ট ক্যান্সার এড়ানোর উপায়ঃ
যেহেতু রোগটির নির্দিষ্ট কোনো কারণ জানা যায়নি। তাই এই রোগ এড়ানোর জন্য কয়েকটি নিয়ম মেনে চলা যেতে পারেঃ
১। ফ্যামিলিতে কারো ব্রেস্ট ক্যান্সার হয়ে থাকলে, সে ক্ষেত্রে মেমোগ্রাফি করুন। অথবা যেকোন সন্দেহ হলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হন।
২। ৩০ বছর বয়সের মধ্যে প্রথম সন্তান জন্ম দেয়ার চেষ্টা করুন।
৩। যে সমস্ত নারীরা শিশুদের breast feeding করান, তাদের ব্রেস্ট ক্যান্সার এর ঝুঁকিও কম থাকে।
৪ । পোস্ট-মেনোপজাল হরমোন থেরাপি নেন, এমন মহিলাদের ব্রেস্ট ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
৫ । ধুমপান ও অ্যালকোহল পরিহার করুন।
৬ । নিয়মিত হাঁটুন বা ব্যায়াম করুন এবং ওজন সঠিক রাখুন।
যেসব নারীরা দৈনিক ৪৫/৬০ মিনিট ব্যায়াম করেন বা হাঁটেন, তাদের ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি, যারা ব্যায়াম করেন না তাদের চেয়ে ২০-৪০% কমে যায়।
এই লেখার উদ্দেশ্য চিকিত্সা নয়, শুধুমাত্র সচেতনতা বৃদ্ধি করা। কোন ভাবেই এটিকে প্রেসক্রিপসন বা রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা যাবেনা।
যেকোনো রোগ বা সমস্যার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
…………..
……তিনা শুভ্র ..
