বরজখে শ্রোয়েডিঙ্গারের বিড়াল

[ মায়িন খান ]

কয়েকদিন থেকেই নাহিদ লক্ষ্য করছে, ভিড়ের ভেতর কেউ তাকে অনুসরণ করে। মানুষটাকে তার চোখে পড়ার কারণ হলো, নাহিদ চলতে শুরু করলে সে চলে, নাহিদ থেমে গেলে সেও থেমে যায়। ঠিক যেন আয়নার ভেতর নিজের প্রতিচ্ছবির নড়াচড়া বিষয়টা।

প্রায় মাস তিনেক হয়, লোকটাকে নাহিদ প্রথম দেখেছে। তারপর প্রায় প্রতিদিন তাকে দেখেছে একটু একটু করে। কখনো গলির ঠিক উল্টোদিকে সে রিক্সা থেকে নামছে, কখনো কাকরাইলের মোড়ে জ্যামের মধ্যে তিনটা রিক্সা পর হুড উঠিয়ে নিজেকে লুকানোর ব্যর্থ চেষ্টা করছে, কখনো ওষুধের দোকানে প্যারাসিটামল কেনার সময় সে পাশের সেলুন থেকে বের হয়ে জোরে হাটা দিলো মৌচাক মার্কেটের দিকে। সবচেয়ে কাছে তাকে নাহিদ দেখেছিলো গত সোমবার সকালে মালিবাগ ওভারব্রিজ পার হওয়ার সময়, অফিস যাওয়ার ভিড়ের মধ্যে তিন কি চারজন লোকের সামনে ছিল রহস্যময় লোকটা।

বিষয়টা একসময় এতটা নিয়মিত হয়ে দাঁড়ালো যে, নাহিদ ভাবতে বাধ্য হলো এর সাথে তার জীবনের হুমকি জড়িত আছে। কেউ হয়তো তাকে হত্যা করতে চাইছে। যদিও নাহিদের জানামতে তার কোন ব্যক্তিগত শত্রু নেই, কিন্তু আজকাল খুনাখুনির জন্য পূর্বশত্রুতা থাকা জরুরি হয় না বলে দৈনিক নতুন আলোর বাৎসরিক আলোচনা সভায় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা মতামত দিয়েছে।   

মানুষটার উচ্চতাও নাহিদের মতোই, পাঁচ ফুটের কিছু বেশি হবে। তার স্বাস্থ্যও নাহিদের মতোই, রোগাটে। তার চেহারা অবশ্য নাহিদ দেখতে পায় নি, মানুষটার মুখে ধূলি-ময়লা কালো একটা মাস্ক – কোরোনাভাইরাসের আমলের মুখোশগুলির মতো। সে সবসময় কালো আলখাল্লা পরে থাকে, যেন এইমাত্র জানাজা পড়ে কাউকে কবরে নামিয়ে দিয়ে এলো।

নাহিদের ভার্সিটি জীবনের বন্ধু আরিফ। সে বীমা কোম্পানিতে এমডি হয়েছে। প্রকৌশলী হওয়ার কারণে এখনো নাহিদকে সে সমাদর করে, পাত্তা দেয়। আরিফ তাকে পরামর্শ দিলো একটা জীবন বীমা করে ফেলার জন্য।

“জীবন বীমা করে কি হবে?”

“বন্ধু, এই লোকটা যদি তোমাকে মেরে ফেলে, তাহলে ভাবি আর তোমার ছেলে আমাদের কোম্পানি থেকে মোটা অংকের টাকা পাবে। মারা যাওয়ার একমাসের মধ্যে তারা টাকাটা পেয়ে যাবে। আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি, নিজে দেখবো বিষয়টা।”

“যদি কালকেই আমাকে মেরে ফেলে?” – নাহিদ অসহায়ের মতো বলে।

কিন্তু তার প্রশ্ন শুনে কাঁচের টেবিলের ওপাশে আরিফের দাড়ি-গোঁফহীন ঘেমে যাওয়া মুখ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে – “জীবন বীমা করার পর যত তাড়াতাড়ি মারা যাবে, ততই তোমার লাভ। টাকা দিলে মাত্র এক কিস্তি, কিন্তু টাকা ফেরত পেলে দুইশ তেরো গুন।”     

“আর যদি মারা না যাই?”

“আজকে মারা না গেলে কোন না কোনদিন তো মারা যাবেই, তাই না? যখন মারা যাবে, তখন ভাবি আর বাচ্চা টাকাটা পাবে।”

মুখে যতই বলুক, নিজের সম্ভাব্য মৃত্যুর বিষয়টা নাহিদ এখনো ঠিক কল্পনা করে উঠতে পারে না – কি করে যেন অতি উচ্চ একটা অদৃশ্য দেয়াল তার চেতনা আর তার মস্তিষ্কের মাঝখানে দাঁড়িয়ে যায়, যতবার সে নিজের কাফনমোড়া শরীরটা চিন্তা করার চেষ্টা করে। নিজের মৃত্যু নিয়ে এই ভাবনা ভাবার ব্যর্থতা কাঁধে নিয়ে নাহিদ বন্ধুর বীমা অফিস থেকে বেরিয়ে এলো, সেদিন সে আর জীবনবীমা করার সাহস সঞ্চয় করতে পারলো না। অথচ বীমার প্রিমিয়াম ছিল খুবই সামান্য, ফলে জীবনে আরেকবার আয়-উন্নতির সহজ সুযোগ হেলায় হারালো বেচারা নাহিদ।

এরমধ্যে নাহিদের আশে-পাশে সেই কালো আলখেল্লাধারীর আনাগোনা বেড়ে গেলো। যে বুধবার বিকেলে লোকটাকে নাহিদ পর পর দু’বার দেখলো – একবার মৌচাকের স্বর্ণের দোকানগুলির সামনে, আরেকবার আনারকলি মার্কেটের পার্কিংয়ে – সে আর নিজেকে সামলাতে পারলো না। দ্রুত হাটতে শুরু করলো, কিন্তু ছুটতে গিয়ে প্রায় ধাক্কা খেলো এক স্বাস্থ্যবান লোকের সাথে। ধাক্কা খাবার সাথে সাথে সেই মৌলানা কথা বলে উঠলো – “আরে, নাহিদ যে।”

কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকার পর নাহিদ বুঝতে পারলো, এটা তার স্কুল জীবনের বন্ধু জামিল। স্কুলে থাকতে তার চেহারা ছিল বাংলা সিনেমার উঠতি নায়কের মতো, কত মেয়ে যে জামিলকে ফোন করতো আর বারান্দায় চিঠি ফেলে দিয়ে যেত তার ইয়ত্তা নেই। সেই জামিলের বুক অবধি নেমে আসা কালো সুন্নতি দাড়ি হবে, নাহিদ কখনো কল্পনাও করতে পারে নি।

জামিল বললো, সে এখন সুফী তরিকায় বিশ্বাস করে।

“কিন্তু আমি তো শুনেছি, সুফিরা দুনিয়া বিমুখ হয়, তাদের শরীর হয় দিনের পর দিন না খেতে পাওয়া ফকির-মিসকিনের মতো।” – জামিলের পাঞ্জাবি ফেটে বের হয়ে আসতে চাওয়া ভুরি আর নারীসুলভ বুকের দিকে আড়চোখে তাকিয়ে নাহিদ ভয়ে ভয়ে বললো।

প্রশ্ন শুনে অবশ্য জামিল বিচলিত হলো না, বললো – ফকিরি আর সন্যাস নাকি সুফী তরিকার প্রথম দিককার অবস্থা। 

“সেসব মঞ্জিল বহু বছর আগেই পার হয়ে এসেছি, বন্ধু” – সে যোগ করলো – “এখন আর ভোগ-বিলাস আমার আত্মার কোন ক্ষতি করে না। তা তোমার চেহারা এরকম লাগছে কেন? মনে হচ্ছে পালিয়ে বেড়াচ্ছো কিছু থেকে?”

জামিলকে ভিড় ঠেলে একপাশে সরিয়ে নিয়ে এলো নাহিদ। ওরা দুজনে গিয়ে বসলো সিঁড়ির নিচের চায়ের দোকানে। দুই কাপ চা আর দুই দুগোনা চারটা পুরি অর্ডার করে ফিসফিস করে নাহিদ বললো – “আমাকে ছায়ার মতো ফলো করে একটা লোক। খুব চিন্তায় আছি।”

“চিন্তার কি আছে? তার কাজ ফলো করা, তাকে তার কাজ করতে দাও। তোমার কাজ ফলো হওয়া, তুমি তোমার কাজ করে যাও। মেরে তো আর ফেলবে না, তাই না?”

“মেরে ফেলতেও পারে।”

“বলো কি?”

এরমধ্যে দশ-বারো বছরের একটা ছেলে দুই কাপ চা আর একটা প্লেটে পুরি দিয়ে গেলো। সে এক হাতে যেভাবে দুইটা কাপ নিয়ে এলো, আর এক ফোটা চা-ও পড়লো না – সেটা ছিল দেখার মতো একটা বিষয়।

চায়ের ভেতর পুরি চুবিয়ে মুখে পুরতে পুরতে জামিলের ভেতর আত্মবিশ্বাস বোধহয় কিছুটা ফিরে এলো, বললো – “মারা গেলে মারা যাবে, অসুবিধা কি? ছিলে শূন্য, আবার মিলিয়ে যাবে শূন্যে।”

“তাহলে মাঝখানে আমি অস্তিত্ব পেলাম কি করে?”

“যেভাবে শূন্য থেকে বিশ্বব্রম্মান্ড হয়েছে, সেভাবে। বিগ ব্যাং-এর কথা শুনোনি? শূন্যতা দুই ভাগ হয়েই তো বিশ্বসৃষ্টি হলো – শূন্যতার একভাগে থাকলো কিছু ধনাত্মক কণা, আর অন্যভাগে থাকলো কিছু ঋণাত্মক কণা। ধনাত্মক কণা থেকে তৈরী হলো চোখে দেখার জাহেরী দুনিয়া, আর ঋণাত্মক কণা থেকে তৈরী হলো গায়েবের বাতেনী দুনিয়া। যেদিন এই দুই দুনিয়া এক হবে, সেদিন আবার সব শুন্য হবে, মানে কেয়ামত।”

জামিলের কথা শুনে নাহিদের ভয় তো কমলোই না, বরং সেদিনের পর থেকে কালো আলখেল্লাধারীকে নাহিদ দিনে অন্তত দুইবার করে দেখতে শুরু করলো, কোন কোন দিন দিনে তিনবারও। নাহিদের অবস্থা হলো মাথা খারাপ হওয়ার মতো। সে এমনকি স্বপ্নের ভেতরও দেখতে শুরু করলো সেই আলখেল্লাধারী কালো ছায়াকে।

অবস্থা একসময় এমন দাঁড়ালো যে, তার ঘুমাতে যেতে পর্যন্ত ভয় লাগতো। আর ঘুম কম হওয়ায় তার চল্লিশোর্ধ্ব শরীরে বাসা বাঁধতে শুরু করলো গ্যাস্ট্রিক আর আলসার। বাধ্য হয়ে নাহিদ শরণাপন্ন হলো গুরুজী সালাম জালালীর। সবুজ নীলা পাথর দেয়ার জন্য রাজধানীতে সালাম সাহেবের সুখ্যাতি ছিল। দীর্ঘ সাড়ে চার ঘন্টা ভদ্রলোকের পুরান ঢাকার জগন্নাথ রোডের চেম্বারে বসে থাকার পর রাত সাড়ে এগারোটায় তেরো মিনিটের জন্য তার দেখা পেলো নাহিদ। 

সালাম জালালীর বয়স প্রায় সত্তর। সময় স্বল্পতার কারণে উনি নিজে হাত দেখেন না, তার খাস চেম্বারে ঢোকার আগে এসিস্টেন্ট মুর্শেদ আলী প্রায় মিনিট পাঁচেক মন দিয়ে নাহিদের হাত দেখলো, তারপর নাহিদকে নিয়ে উনার ঘরে ঢুকে কানে কানে কি যেন বললো – সম্ভবত তার হস্তরেখা রিপোর্টের সারমর্ম।

তিনি ওর দিকে চোখ তুলে তাকাতেই নাহিদ বলে উঠলো – “স্যার, আপনি শুধু বলেন, এই ছায়ার অর্থ কি?”

উনি হাসলেন, যেন নাহিদ বাচ্চা ছেলের মতো কোন কথা বলেছে – “যা হওয়ার হবে, তুমি বাসায় যাও। এটা নিয়ে চিন্তা করে কোন লাভ নেই।”

নাহিদ ভেঙে পড়লো – “তার মানে আমার মরণ আসন্ন?”

“সবার মরণই আসন্ন। আর কিয়ামতও নিকটবর্তী।”

“তাহলে আমি কি করবো?”

“অপেক্ষা কর। ভাগ্যে যা আছে, তা হবেই। মুর্শেদ, বাবা, উনার ভিসিটের টাকাটা ফেরত দিয়ে দাও। যার ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে গেছে, তার কাছ থেকে আমি টাকা নিতে পারি না।”

কিন্তু ওই রাত্রে নাহিদের কিছু একটা হলো। তার মাথায় জেদ চেপে গেলো, সে তার ভাগ্যের নিয়ন্ত্রণ নিজ হাতে নিয়ে নেবে। দেয়ালে পিঠ থেকে গেলে মানুষের হয়তো এরকম হয়, কিন্তু নাহিদ সিদ্ধান্ত নিলো সে রুখে দাঁড়াবে। কারো হাতের পুতুল হয়ে থাকার জন্য এই পৃথিবীতে তার আগমন ঘটে নি।

পরদিন সকালে মালিবাগ মোড়ে যখন কালো আলখেল্লাধারীকে দেখলো, নাহিদ তার পিছু নিলো। লোকটা দৌড়ে রাস্তা পার হলো, কিন্তু নাহিদ তার লেজ ছাড়লো না – ছুটে রাস্তা পার হতে গিয়ে আবাবিল পরিবহনের জংধরা এক মিনিবাসের নিচে পড়তে যাচ্ছিলো সে, কিন্তু কিছুই তাকে আজ থামাতে পারবে বলে মনে হলো না।

লোকটা তখন ফুটপাতের ফেরিওয়ালাদের মাড়িয়ে ছুটতে লাগলো মগবাজারের দিকে। এক পর্যায়ে সে লেংড়াতে শুরু করলো, সম্ভবত পায়ে ব্যথা পেয়েছে। তখন সে চকিতে ঢুকে গেলো সিদ্ধেশ্বরী মসজিদের পাশের চিপা গলি দিয়ে, তারপর নির্জন খন্দকার গলির দিকে যেতে লাগলো ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে। এই গলিটার বদনামের কথা নাহিদ জানতো, গতবছর এখানেই ছিনতাইকারীর হাতে সগীরা মোর্শেদ ছুরিকাহত হয়েছিলেন। কিন্তু কিছুই তাকে আজ ঠেকাতে পারছিলো না। 

গলির মাঝামাঝি যে জায়গাটা সবচেয়ে নির্জন, সেখানে গিয়ে নাহিদ লোকটার আলখাল্লা খামচে ধরে ফেলতে পারলো, আর লোকটা তখন ঠায় দাঁড়িয়ে গেলো। কিন্তু ওর মুখোশটা টেনে খুলে ফেলতেই নাহিদের অস্তিত্ব যেন দূরে ছিটকে গেলো তার শরীর থেকে – এ তো আরেক নাহিদ দাঁড়িয়ে আছে তার সামনে। হুবহু একই চেহারা, শুধু ওই নাহিদ কৃষ্ণগহ্বরের মতো মিশমিশে কালো আর এই নাহিদ উজ্জ্বল শ্যামলা।

নাহিদের মনে হলো, কালো কাঁচে ঘেরা কোন আয়নায় সে যেন দেখছে নিজেকেই।

“তুমি কে? সত্যি করে বলো, তুমি কে?” – নাহিদ গর্জে ওঠার চেষ্টা করলো, কিন্তু তার দুর্বল কণ্ঠ শূন্য অলিতে গলিতে কোন প্রতিধ্বনি তৈরী করতে পারলো না।

কিন্তু সেই কৃষ্ণকায়ের চোখে ছিল কালো অশ্রু – “আমি তো সে, যাকে এড়ানোর উপায় জানার জন্য তুমি জ্যোতিষীর কাছে পর্যন্ত গিয়েছো। সে তো বলেছিলো অপেক্ষা করতে, তাহলে তুমি অপেক্ষা করলে না কেন? কেন ভাগ্যকে এড়ানোর চেষ্টা তোমাকে ভাগ্যের আরো কাছে নিয়ে এলো?”

“তুমি কে?”

“আমি তোমার বিপরীত। শূন্যকে দুই ভাগ করে ধনাত্মক একভাগ দিয়ে তোমাকে বানানো হল, আর ঋণাত্মক অন্য ভাগটা দিয়ে আমাকে। আমরা যতদিন দূরে দূরে ছিলাম ততদিন আমাদের অস্তিত্ব ছিল।”

“এখন তো আমরা মুখোমুখি হয়েছি। এখন কি হবে?” – ভয়ে ভয়ে জানতে চাইলো নাহিদ।

“এখন আর কি হবে? এক থেকে এক বিয়োগ করলে যা হয়, তাই হবে। আমরা দুজনই যাবো সেখানে যেখানে জীবন বীমা হয়ে যায় অর্থহীন।”

নাহিদের মনে পড়লো বিজ্ঞান বইয়ে পড়া শ্রোয়েডিঙ্গারের বিড়ালটার কথা। মানুষ আসলে ওই বিড়ালটার মতোই এই পৃথিবীতে বন্দি এবং একইসাথে জীবিত আর মৃত – একমাত্র মৃত্যুই তাকে দিতে পারে সুপারপসিশন বরযখের পৃথিবীর জন্য।

সকাল তখন প্রায় এগারোটা। গরম বাড়তে শুরু করেছে। নাহিদ হাত ঘড়ির দিকে তাকালো, কিন্তু দেখতে পেলো, ঘড়ির কাটাটা আগের চেয়ে ধীরে চলছে। ধীরে, আরো ধীরে। প্রথমে মনে হলো, সেকেন্ডের কাটা এক ঘর থেকে আরেক ঘরে যেতে পাঁচ সেকেন্ড সময় নিচ্ছে, তারপর একসময় মনে হলো পুরো এক মিনিট ধরে সেকেন্ডের কাটা আটকে আছে তার নিজের ঘরে।

গলির মুখের দিক থেকে একটা রিকশা এদিকে আসছিলো। নাহিদ দেখলো রিক্সাটা ধীরগতির হতে হতে এত আস্তে হয়ে গেলো যে মনে হলো না ওটা আর চলছে। কি হচ্ছে টা কি চারদিকে।

সেকেন্ডের কাটাটা যখন একেবারে থেমে গেলো, আর নাহিদ জানে এটা ব্যাটারির কোন সমস্যা না, তখনই ঢাকার আকাশ ছিড়ে খন্ড-বিখন্ড হওয়ার কানফাটা বিকট শব্দটা শুনতে পেলো সে।

Leave a comment