
…………………..
ওজন কমানোর খেলায় নামতে হলে আপনাকে প্রচুর আনন্দ করতে হবে, যা আপনার খেলা কে এগিয়ে নিয়ে যাবে বহুদুর আর খেলতেও ভালো লাগবে, বোরিং লাগবে না। একটু নিজের কথা ভাবুন তো, মনে আনন্দ না থাকলে কিছুই ভাল লাগে না , ডায়েট কন্ট্রোল তো আরও বিরক্তির কথা। মনে ফুর্তি না থাকলে আমরা কি করি, নতুন কোন খাবার খাই, নতুন রেস্টোরেন্ট এ যাই , মনটা ভাল করার জন্য। এক কথায়, অনেক সময়ই বেশি বেশি খেয়ে ফেলি। রেস্টোরেন্টে যেয়ে খাওয়া মানা নেই, কিন্তু মন খারাপ অবস্থায় গেলে বেশি খাওয়া হয়ে যায়, আর খারাপ মেজাজের কথা তো বাদই দিলাম। এই মন খারাপ অবস্থা আপনার ওজন কমানোতে বিরাট বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। আপনার উচিৎ হবে এই কালপ্রিটকে আপনার জীবনে ঢুকতে না দেয়া। এ ক্ষেত্রে আপনার নিকটতম সহযোগী ( মা, ভাই, বোন, স্পাউস ), আপনাকে সাহায্য করতে পারে, তাদের যে কেউ আপনার এই ওজন কমানোর চিকিৎসায় আপনার দায়িত্ব নিবে। চিকিৎসার শুরুতেই এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে হবে যে , আপনার প্রতিটি কাজ সে মনিটর করবে, এক কথায় আপনার সাথে থাকবে, যতক্ষণ না আপনি নিজ থেকে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেন। কেননা অনেক সময়ই অলসতা লাগে, কিছু করতে ইচ্ছা হয় না, ঠিক তখন এই প্রিয় বন্ধুই আপনার কাজটি করে দিতে পারে…। তাই ওজন কমানোর এই মিশনে একজন বিশ্বাসী সঙ্গী খুবই প্রয়োজন, নতুবা কাজটি বহুগুনে কঠিন হতে পারে আপনার জন্য। ওজন কামাতে আপনাকে বেশ কিছু অভ্যাস রপ্ত করে নিতে হবে, যা পরবর্তীতে আপনার জীবন যাপনের সাথে পুরোপুরি মিশে যাবে। তাই অভ্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত আপনার একজন হেল্পার দরকার। সবচেয়ে ভাল উপায় হল, পরিবারের সবাই যদি একই সাথে এই অভ্যাস গুলো গড়ে তুলেন। তবে অনেক সময় অধিক সন্যাসিতে গাজন নষ্ট হয়। একটানা ২/৩ মাস নিরবচ্ছিন্ন চেষ্টা চালিয়ে গেলে দেখবেন তা আপনার স্বভাবে পরিণত হয়ে গেছে । আর যদি সেটা হয় , তাহলে আপনার চেষ্টা সফল। এই অভ্যাস গুলো এতটাই স্বাভাবিক যা শুধু আপনার ওজনই কমাবে না, একটা সুস্থ স্বাভাবিক জীবন ও আপনি পেতে পারেন। আমরা বাঙ্গালীরা একটু আরামপ্রিয় ,কিন্তু বেশি আরামপ্রিয় যেন না হয়ে পরি সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আনন্দ ফুর্তি করতে যেয়ে যেন তা বাড়াবাড়ি না হয়ে যায় , নেশাগ্রস্থ আনন্দ থেকে সাবধান থাকতে হবে। মন ভালো করার জন্য অনেক পথই খোলা আছে। প্রতিদিনই আপনি আনন্দ খুঁজে নিতে পারেন নানা ভাবে, গান শুনে, টিভি দেখে, শপিং করে, পার্লার এ যেয়ে আরও কতকি… যা আপনার মন চায় , ঠিক তাই। জীবনটাকে উপভোগ্য করে তুলুন। নিজে একা না পারলে , সেই প্রিয় বন্ধুটির সাহায্য নিন। একটি বিষণ্ণ মন শুধু একটি বিষণ্ণ জীবনেরই জন্ম দেয়, যা কারো কাম্য নয়। বেশি সমস্যা হলে মানসিক ডাক্তারের কাছে যান। অনুর্বর মাটিতে গাছ লাগিয়ে কি লাভ। তাই সময় থাকতেই সচেতন হন। আর আমি জানি, আপনি আসলেই সচেতন মানুষ, আর আপনাকে দিয়েই সম্ভব।
……… চলবে
https://teenasuvrosworld.wordpress.com
(Life Style Medicine)

I need more of these, they are strong and useful thoughts.
LikeLike