যখন আমাদের ক্ষিধা লাগে, তখন হাতের কাছে যা পাই, তাই খাই। কোনটা স্বাস্থ্যকর বা কোনটা অস্বাস্থ্যকর কোন কিছুই বাছবিচার করি না। ফলে খাওয়া অনেক সময়ই হয়ে যায় বাড়তি, যা ওজন বাড়ানোর একটি অন্যতম কারণ। তবে আমরা যদি একটু সতর্ক হই এবং কিছু নিয়ম মেনে চলি, তাহলে এই বাড়তি খাওয়ার অভ্যাস দূর করা যাবে, সহজেই। এগুলো হল —
১। পর্যাপ্ত পানি পান করা। সম্ভব হলে প্রতি ঘণ্টায় ১/২ গ্লাস পানি পান করতে পারি এবং যেকোন খাবার খাওয়ার ঠিক আগে দিয়ে ১ গ্লাস পানি পান করা যায়। ফলে খাওয়াও বাড়তি হবে না।
২। মিষ্টি ও তৈলাক্ত খাবার কম খেতে হবে। আমি কিন্তু একেবারে বাদ দিতে বলছি না, শুধু কমাতে বলছি। বেছে নিতে হবে অতি সাধারণ শাক সবজি, মাছ, মাংস, ডাল, লেবু বা সালাদ আর ভাত। খাবার হতে হবে সুস্বাদু ও রুচিকর, যেন তা পর্যাপ্ত পরিমান তেল, মসলা দিয়ে রান্না করা হয়। খাবার খেতে যদি সুস্বাদু নাই হয়, তখন আর নিয়ম মানতে মন চাইবে না। তাই মনকে খুশি রাখার জন্য সুস্বাদু খাবার রান্না করা চাই।
৩। দিনে শুধু ৩ বার (সকাল, দুপুর, রাত)না খেয়ে, ৫/৬ বার খাওয়া যেতে পারে, অল্প অল্প করে। বেশি সময়ের ব্যবধানে খেলে ক্ষিধা লেগে যায় বেশি। তখন খাওয়াও হয়ে যায় বেশি। এছাড়া কম সময়ের ব্যবধানে খেলে শরীরে ভাংগা গড়াও হবে বেশি, আর এতে ওজনও কমবে। খেয়াল রাখতে হবে, বারে বারে কিন্তু অল্প অল্প পরিমানে খেতে হবে। অল্প অল্প করে খাওয়ার অভ্যাস করলে, পাকস্থলী অল্প খাওয়াতেই খুশি থাকে, সে তখন আর বাড়তি খাবার চায় না। এতে বাড়তি খাওয়ার অভ্যাসটা কমে যাবে। চেষ্টা করতে হবে, প্রতিদিন যেন প্রায় একই সময়ে খাবার গুলো খাওয়া হয় এবং কোন একটা বেলার খাবারও যেন বাদ না পরে।
৪। ক্ষিধা না লাগলে, না খাওয়া এবং পেট ভরার আগেই খাওয়া শেষ করে ফেলা।
৫। যে কোন খাবার খাওয়া শেষ করার পরেই দাঁত মুখ পরিষ্কার করে নেয়া উচিত। দাঁত মাজার ফলে মুখে জমে থাকা খাদ্যকনা দূর হয়ে যাবে, তখন ব্রেন সিগন্যাল পাবে যে আপনার খাওয়া শেষ এবং আপনি আর ক্ষুধার্ত নন। ফলে আপনার বাড়তি খাওয়ার ইচ্ছাও হবে না।
মনে রাখতে হবে যে, খাওয়া কমালেই ওজন কমবে নিশ্চিত কিন্তু তা হতে হবে সঠিক নিয়ম মতো। প্রতি বেলাতেই খাবারের পরিমান কমানো উচিত তবে কোন একটা বেলা পুরটাই বাদ দেয়া যাবে না।
যে কোন রোগ বা সমস্যার জন্য চিকিৎসকের স্মরনাপন্ন হতে হবে।
https://teenasuvrosworld.wordpress.com
(Life Style Medicine)

if one could follow just #4 – not start eating until hungry & leave eating when not full – then I see no way of overeating
LikeLike