আমাদের দেশে ছেলেমেয়েদের স্কুল শিক্ষায় সমাজ বিজ্ঞানে অনেক কিছুই পড়ানো হয়। অনেকে অনেক রকম ভাবলেও কচি মনের কাছে সমাজের নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পরিচয় করিয়ে দিতে এই বিষয়টা ভালো ভূমিকা রাখে। ধরুন, সমাজ কি, তাতে কি কি এবং কে কে থাকে, দৈনন্দিন জীবনে তাদের ভূমিকা কতটুকু বা কেমন, আরও কত কি। পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা থেকে শুরু করে নাগরিকের অধিকার কর্তব্য পর্যন্ত কত কিছুই না আমরা শিখি। সমাজ বিজ্ঞান শিশুদের জন্য ঠিক কতখানি প্রয়োজন কিম্বা কিভাবে প্রয়োজন কিম্বা কোন সময় থেকে প্রয়োজন এ বিষয়ে কোন আলোচনায় এখানে যাব না। বরং প্রশ্ন রাখব, একজন শিশু বা কিশোর বেড়ে ওঠার পথে যা কিছুর সাথে পরিচিত হয় এবং হয়তো বাকি জীবন জড়িত থাকে তার সব কিছু, অর্থাৎ সমাজ জীবনের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত সব কিছু কি আমরা সমাজ বিজ্ঞানে রেখেছি? বোধ হয় না!
এই আলোচনার নামটা “সমাজ বিজ্ঞানে … … …” হওয়ার মূল যে কারণ তা হল, সমাজ বিজ্ঞানে ঠিক কিসের উপস্থিতি বা অভাবের কথা আলাপ করতে চাই তা শুরুতেই বলতে চাইনি। কারণ হল, এতে হয়তো কেউ কেউ পড়া বা বোঝার আগেই বিষয়টা মেনে নেবেন, আবার কেউ কেউ ঠিক উল্টোটাও করতে পারেন। আবার কেউ কেউ হয়তো পুরোটা পড়ার আগেই নিজের অনুভূতির চাপে মনোযোগ হারাবেন। তার মানে এই নয় যে আমি পাঠকদের ছোট বা বিশেষ নজরে দেখছি। বরং মানুষ হিসাবে এমনটা হতেই পারে, এটাই আমার ধারণা। তাই শুন্য স্থানে কি শব্দ বসবে তা না হয় আলোচনা থেকেই পাঠক বুঝে নেবেন।
শিশু জন্মের পর মাকে চেনে, বাবাকে চেনে, পরিবারকে চেনে। যদি সে খুব ভিন্ন রকম কোন পরিবারের অংশ না হয়, তাহলে বাবা, মা, পরিবার বা সমাজের মাধ্যমে আরও যে পরিচয়টা শিশু পায় সেটা হল সৃষ্টিকর্তা। না, আমি এখানে কোন ধর্মের কথা বলছি না, শুধুই প্রাকৃতিক নিয়মে সৃষ্টিকর্তার কথা বলছি। বাবা মা তাদের মত করে শিশুকে জানান সৃষ্টিকর্তার কথা। অনেক সময় তারা জানানোর প্রয়োজন মনে না করলেও সন্তান সমাজ থেকে জানতে পারে। অনেকটাই জানা হয় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সমূহে যাতায়াত করে। স্কুলে ছাত্র ছাত্রীর ধর্ম অনুযায়ী তাদের ধর্ম পড়ানোর সময়ও এ বিষয়ে বিষদ ধারণা মেলে। কিন্তু ভাবুন তো, যার বাবা মা নেই, কিম্বা বিশেষ কোন ধর্মের অনুসারী নয় যে, সে কি জানবে? সমাজ থেকে কতটুকু শিক্ষা তার মিলবে এ বিষয়ে? তার কি অধিকার নেই সৃষ্টিকর্তার সাধারণ ধারণা পাবার? তার বাবা মায়ের যদি এ বিষয়ে উপযুক্ত ধারণা দেবার সুযোগ না থাকে, তাহলে সে শিশুর স্রষ্টা বিষয়ে শিক্ষা কোথা থেকে শুরু হবে? ধর্ম পরিচয় না থাকলে কোন ধর্ম প্রতিষ্ঠান তাকে শেখানোর দায়িত্ব নেবে? ভাবছেন, আমি সমাজে ধর্ম বাধ্যতামূলক ভেবে একথা বলছি ? না । স্রষ্টার যে ধারণা নিয়ে আমি কথা বলছি তা সমাজে বিদ্যমান সাধারণ ধর্ম ধারণার উরধে। তবে ধর্ম ধারণার বিরুদ্ধে কিছু নয়, আবার ধর্মহীন কিম্বা একেবারে নাস্তিককেও অসম্মান করেও কিছু নয়। ধরুন, মূল কথাটা যদি নিচের বর্ণনার মত হয়!
সমাজে বসবাসরত মানুষ অনেকেই সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করেন। যিনি সব কিছু সৃষ্টির পেছনে মূল শক্তি তাকেই মূলত মানুষ সৃষ্টিকর্তা মানে। সমাজের অন্য সব পরিচয়, যেমন বাবা, মা কিম্বা প্রতিবেশি, এদের মত করে সৃষ্টিকর্তাকে চোখে দেখে চেনার সুযোগ হয় না, বরং বিশ্বাস ভিত্তিক জ্ঞান দিয়ে তার পরিচয় পাওয়া যায়। মানব সমাজে তাকে চাক্ষুষ বা সশরীরে দেখার সুযোগ না থাকলেও আমাদের সমাজে নানা কর্মকাণ্ডে সৃষ্টি কর্তার প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। যে মানুষ সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করে তার বিশ্বাস অনেক সময়ই তার সামাজিক আচরণের ধরণ ঠিক করে দেয়। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, পুলিশ কিম্বা সামাজিক অনুশাসনের উপস্থিতি না থাকলেও সৃষ্টিকর্তার উপস্থিতির বিশ্বাস মানুষকে নিয়ম মেনে চলতে সাহায্য করতে পারে, মানুষের জন্য ক্ষতিকর আচরন থেকে দূরে থাকতে উৎসাহিত করতে পারে। বেশিরভাগ সময় শিশু বাবা মায়ের কাছ থেকে সৃষ্টিকর্তার ধারণা পায়; এ ক্ষেত্রে বাবা মা বা পরিবার যে ধর্মের অনুসারী সে অনুযায়ী শিশু সৃষ্টিকর্তার ধারণা পায়। একই ঘটনা ঘটে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও, অর্থাৎ, পারিবারিক-সামাজিক ভাবে শিশু যে ধর্মের আওতায় পড়ে সেখান থেকে সে অনুযায়ী তাকে স্রষ্টার ধারণা দেয়া হয়। তবে ধর্মের পরিচয় ছাড়া মানুষও সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করতে পারে। বিশ্বাস করা বা না করা সব সময়ই একজন মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার।
আস্তিক, নাস্তিক, ধার্মিক কিম্বা বৈজ্ঞানিক, সবার জন্যই বাবা কিম্বা মা সমাজের খুব জরুরী অংশ। যে সমাজ সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসকে সায় দেয়, সে সমাজে সৃষ্টিকর্তা বাবামায়ের মত কিম্বা তার চেয়েও বেশি পরিচিত এবং প্রয়োজনীয় একজন। ধর্ম এবং বিশ্বাস যার যার, রক্তের সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে আর যাই হোক বিশ্বাস নিশ্চিত করার কোন পথ নেই। তাই যে সমাজে সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসের বাধা তো দেয়া হয়ই না, বরং বিভিন্ন ভাবে উৎসাহিত করা হয়, সে সমাজের পক্ষ থেকে সমাজ বিজ্ঞান বইতেও সৃষ্টিকর্তার কথা থাকা প্রয়োজন। আমারা সবাই এটা বিশ্বাস করি যে বাবা মা কিম্বা ধর্মীয় শিক্ষা একজন শিশুকে এগুলো শেখাবে। কিন্তু এতে ব্যতিক্রম হতেই পারে, ভিন্নতা থাকতেই পারে। সমাজবিজ্ঞান থেকে শিশু যখন জানবে স্রষ্টা নামের কোন একটা শক্তিশালী ধারণা সমাজে আছে, শিশু নিজেও খোলা মনে জানতে, শিখতে চাইবে। ফলে অন্ধের মত বাবা মাকে অনুকরণ করতে গিয়ে কিম্বা ভয়ে আতংকিত হয়ে না বুঝে বা তাড়াহুড়ো করে সৃষ্টিকর্তাকে চেনার পাশাপাশি বুঝে স্বাধীনভাবে চেনার সুযোগটাও তৈরি হবে। আর যে সমাজে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় সৃষ্টিকর্তার কথা জানা হয়েই যায়, সেখানে সুচিন্তিত, সীমিত এবং নিরাপদ ভাবে সমাজ বিজ্ঞান শিশুকে স্রষ্টার কথা জানাবে এটাই তো ভালো হবার কথা। শুধু সাবধান থাকতে হবে, এতে যেন ধর্ম বিষয়ে কোন রকম হস্তক্ষেপ না হয়। হতে পারে, নৈতিক সমাজ গঠনে এ রকম কোন একটা সফল প্রচেষ্টা বড় রকম ভূমিকা রাখতে পারবে।

In western countries, when kids are taught the subject ‘social science’, they have chapters that discuss different world views. The discussion is secular and neutrally tells the kids how different communities view the world, and here the kid learns that most communities believe in a supreme God although these communities would differ in how they view the God. By the way, I would say the proposed text in italic is not fully secular and possibly a slight modification may be useful.
LikeLiked by 1 person
মানব সমাজে তাকে চাক্ষুষ বা সশরীরে দেখার সুযোগ না থাকলেও আমাদের সমাজে নানা কর্মকাণ্ডে সৃষ্টি কর্তার প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। —It is true only if you already believe in The Creator at first place and thus very subjective statement.
পুলিশ কিম্বা সামাজিক অনুশাসনের উপস্থিতি না থাকলেও সৃষ্টিকর্তার উপস্থিতির বিশ্বাস মানুষকে নিয়ম মেনে চলতে সাহায্য করতে পারে, মানুষের জন্য ক্ষতিকর আচরন থেকে দূরে থাকতে উৎসাহিত করতে পারে। – It can be true for the other scenarios too. It is mostly not the presence of the Creator but fear of The Creator that deters few people from doing few things… at least that is seen in practice.
If I were to design a book my steps would be –
1. Create lesson on Critical thinking
2.Create lesson based on morality school of thoughts that existed Before the birth of Christ 3000 or more
3..Then create lessons on religion and GOD
4. Let the students decide – which religion or GOD mostly goes hand in hand with the moral philosophies taught in stage 02 above applying stage 01 critical thinking.
5. In that way even someone become atheist, he will be made aware of the moral philosophy existed for human.
LikeLike