মেয়েদের মার্শাল আর্ট শিখান, তাদের সাহসী করে তুলুন…চল মেয়েরা আমরা মার্শাল আর্ট শিখি…১।

আপনারা কি জানেন, এই সমাজে আপনার মেয়েটি কতটা অরক্ষিত! তার কোনো নিরাপত্তা নেই। সে যখন-তখন যেকোনো বখাটে যুবকের আক্রমণের শিকার হতে পারে, যেকোনো সময় হতে পারে ধর্ষণের শিকার, হতে পারে হত্যাকাণ্ডের শিকার। আপনি কি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন, আপনার মেয়ের ক্ষেত্রে এর কোনোটিই ঘটবে না। আপনারা কি জানেন, আপনার মেয়েটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিরাপদ নয়, কর্মস্থলে নিরাপদ নয়, এমনকি নিজ ঘরেও সে নিরাপদ নয়। মানুষরূপী একদল হায়েনা ওত পেতে আছে আপনার মেয়েকে তাদের শিকার বানানোর জন্য।

আমি আমার এ কথাগুলো লিখছি তাদের জন্য, যারা  মেয়েসন্তানের মা-বাবা হয়েছেন। আপনারা আপনাদের মেয়েসন্তানটিকে কতই না ভালোবাসেন। কত স্বপ্নই না দেখেন তাকে নিয়ে। মেয়ে লেখাপড়া করবে, বড় হয়ে চিকিৎসক, প্রকৌশলী, পাইলট, শিক্ষক—আরও কত কীই না হবে। মেয়েকে সর্বগুণে গুণান্বিত করার জন্য কত কিছুই না করেন আপনি। তাকে নাচ শেখান, গান শেখান, আঁকার স্কুলে ভর্তি করেন। অথচ আত্মরক্ষার কৌশল যদি তার না জানা থাকে, তাহলে এত কিছু করে কোনো লাভ হবে না। নাচ-গানের পাশাপাশি মেয়েদের মার্শাল আর্টও শেখান। মেয়েদের রুখে দাঁড়াতে শেখান।

আমাদের দেশে মেয়েদের আসলেই কোনো নিরাপত্তা নেই। আমাদের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা, সমাজব্যবস্থা, আইনি ব্যবস্থা মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি। মেয়েদের ওপর নিপীড়নকারীদের কোনো শাস্তি হতে দেখা যায় না। তাই তারা সমাজে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায়। আবারও একই ধরনের অপরাধ করে। কাজেই নিজের নিরাপত্তা নিজেকেই নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য শিখতে হবে খালি হাতে আত্মরক্ষার কৌশল। কুংফু, কারাতে, জুডো, জুজুৎসু, তায়কোয়ান্দোর যেকোনো একটি শিখতে পারে মেয়েরা।

কাজেই আর দেরি নয়। এখনই আপনার মেয়েকে মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষণের কোর্সে ভর্তি করুন। আপনি যদি সত্যিকার অর্থেই আপনার মেয়ের ভালো চান, তাহলে তাকে মার্শাল আর্ট শেখান। মেয়েদের নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এর কোনো বিকল্প নেই।

তবে বাড়িতে বসে আমরা কিভাবে আমরা শারীরিক সক্ষমতা অর্জন করতে পারি, তা নিয়ে আজ আলোচনা করবো।  শুরুতে শারীরিক সক্ষমতা বাড়ানোই হবে আমাদের মূল লক্ষ্য। ধীরে ধীরে আত্মরক্ষার কৌশল রপ্ত করলে আত্মবিশ্বাস গড়ে উঠবে। তখন যেকোনো খারাপ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারার আত্মবিশ্বাস জন্মাবে। সবচেয়ে বড় কথা, ভয়ও কমে যাবে।’

প্রথমেই বলে দিচ্ছি যে , আমি কোন ব্লাক বেল্টধারী নই। শুধুমাত্র মার্শাল আর্ট নিয়ে কিছু পড়াশুনা করেছি। আমার বিশ্বাস এগুলো আপনাদের কাজে লাগবে।

শারীরিক ভাবে সক্ষমতা আনার জন্য কিছু ব্যায়াম তো করাই লাগবে। তবে এই ব্যায়ামের আগে কিছু ওয়ার্ম আপ ব্যায়াম করাটা জরুরী। তা না হলে হঠাৎ করে পেশিতে টান পড়তে পারে। শরীর যদি ফ্লেক্সিবল হয়, তখন আত্মরক্ষা করাটাও সহজ হয়ে উঠে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হোল স্ত্রেচিং। এটা করা থাকলে আপনার উঁচুতে লাথি মারাও সহজ হবে।

স্ত্রেচিং কারার জন্য বয়সকে একেবারেই পাত্তা দিবেন না, এক্ষেত্রে আপনার মনটাই হোল আসল।

আপনারা ইউটিউবে গেলে অনেক ভিডিও পাবেন এই স্ত্রেচিং নিয়ে, সেখান থেকে দেখে নিতে পারেন। তবে আমি এখানে শুধু কিছু ছবি দিবো, যেগুলো দেখে আপনি অনেকটা ধারণা নিতে পারবেন।

নিচের ছবিগুলোর মধ্যে যেটা আপনার কাছে সহজ মনে হবে, সেটাই করবেন। কোন তাড়াহুড়া করবেন না বা জোর খাটিয়ে করবেন না। আস্তে আস্তে সময় নিয়ে করবেন, তারচেয়েও বড় কথা, কোন প্রতিষ্ঠান থেকে এই মার্শাল আর্ট শিক্ষা নিবেন, নিজে নিজে নয়।

যে কোন রোগ বা সমস্যার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

……ডাঃ তিনা শুভ্র

https://teenasuvrosworld.wordpress.com

(Weight Reduction and Life-Style Medicine)

One thought on “মেয়েদের মার্শাল আর্ট শিখান, তাদের সাহসী করে তুলুন…চল মেয়েরা আমরা মার্শাল আর্ট শিখি…১।

Leave a reply to Mayeen Khan Cancel reply