কুয়াশা

মৌরিনের ময়না পাখিটা নেই। নেই তো নেইই। কোথাও তাকে আর খুঁজে পাওয়া গেলো না।

সে প্রথমেই গিয়ে ভাইয়াকে জিজ্ঞেস করলো। সে তো ঠিকমতো কথার উত্তর দিলোই না, উল্টো হাসতে হাসতে বললো – “তোর পাখিকে ইঁদুরে খেয়ে ফেলেছে।” বলে আবার হো হো করে হাসতে লাগলো।

বাবা বলেছে ওটা উড়ে চলে গেছে, কিন্তু তাকে বিশ্বাস করারও কোনো কারণ নেই – বাবারা সবসময় সত্য কথা বলে না।

বাবা বোধ হয় মৌরিনকে এইবারও মিথ্যে কথাই বলেছে। নিতু এ পর্যন্ত কখনো কোথাও উড়ে চলে যায় নি, তাহলে আজ কেন হঠাৎ এরকম করবে! তাছাড়া বাসার বাইরে যে বড়ো খাঁচাটা, মৌরিন নিজে সেটার নিচের দিকে নতুন একটা গর্ত দেখেছে। যদি এমন হয়, রাতে বিড়াল বা অন্য কোনো কিছু গর্ত দিয়ে ভেতরে ঢুকেছিলো! সেরকম কিছু হলে কিন্তু নিতুর পালানোর কোনো পথই আর নেই। বিড়ালটা যখন ওকে ধরার চেষ্টা করছিলো, নিশ্চয়ই নিতু খাঁচার এপাশ থেকে ওপাশে ওড়া-উড়ি করে বাঁচার চেষ্টা করেছে, তারপর একসময় ক্লান্ত হয়ে গেছে, আর তখনি … … …

মৌরিন আর চিন্তা করতে পারে না। টপ টপ করে ওর চোখ থেকে পানি পড়তে থাকে অংক খাতার ওপরে। আর তখনি বাবা এসে ঘরে ঢোকে।

“মৌরিন, তোমাকে না বলেছি সমাজবিজ্ঞান পড়তে বসতে? কি আশ্চর্য, তুমি এখনো অংক হোমওয়ার্কই শেষ করো নি? তোমার হয়েছেটা কি, বলতো! একি, মরার পাখি নিয়ে প্যান প্যান তোমার এখনো গেলো না? তখনি বলেছিলাম ঘরে পাখি-টাখি আনার দরকার নেই। যত্তসব।”

মৌরিন আবার অংক করা শুরু করে। আরো তিনটা গুণ অংক বাকি আছে। কিন্তু এগুলো আবার সবচেয়ে কঠিন, পাঁচ অংকের সংখ্যাকে তিন অংকের সংখ্যা দিয়ে গুণ, এসব প্রশ্নে কখনোই একবারে উত্তর মিলতে চায় না।

মেয়েটাকে অংক করতে দেখে বাবা পাশের খাটে এসে বসে – “শোনো মৌরিন, তোমাকে বুঝতে হবে। শুধু লেখা-পড়া করলেই হয় না, সবকিছু সময়মতো শেষও করতে হয়। তুমি যদি এইভাবে পড়া-লেখা করতে থাকো, তাহলে তো মানুষের কাছে তোমাকে নিয়ে আমরা মুখ দেখাতে পারবো না। তুমি এখন ক্লাস ফোরে পড়, কয়দিন পর ফাইভে উঠবে, তুমি এখন আর ছোট্টটি নেই, তাহলে তোমাকে কেন আমার এগুলি বুঝিয়ে বলতে হবে?”

মৌরিন তাড়াতাড়ি চোখের পানি মুছে ফেললো, বাবা এগুলো পছন্দ করে না।

বাবা উঠে দাঁড়ায় – “শোনো, তোমাকে আর এক ঘন্টা সময় দিলাম, এর মধ্যে অংক আর সমাজ দুইটাই শেষ করবে। কিভাবে করবে আমি জানিনা, তুমি ফালতু কি জিনিস নিয়ে চিন্তা করে সময় নষ্ট করছো এটা আমার দেখার বিষয় না।”

মৌরিন অংকে মন দেয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু প্রশ্নটার মধ্যে বার বার একটা পাখির মুখ ফুটে উঠতে থাকে, যেন সংখ্যাগুলোর পেছনেই কোথাও নিতুটা আছে আর ওর সাথে লুকোচুরি খেলছে।

আচ্ছা, এমনও তো হতে পারে যে নিতু সত্যি সত্যিই উড়ে চলে গেছে, কেউ তাকে মেরে ফেলে নি। হতেও তো পারে উড়তে উড়তে নিতু এমন এক জায়গায় চলে গেছে যেখান থেকে আর পথ চিনে ফিরে আসতে পারে নি। পেপারে বিজ্ঞাপন দিতে পারলে হতো, কিন্তু বাবাটা কোনোদিনই এটা ওকে করতে দেবে না, নিজে তো করবেই না।

আজকে মজিদ স্যার বিজ্ঞান ক্লাসে অদ্ভুত একটা কথা বলেছে। ওরা ধূমকেতু নিয়ে পড়ছিলো। স্যার বললো যে আজ রাতে পৃথিবীর খুব কাছে দিয়ে একটা ধূমকেতু চলে যাবে। রোমেল যখন জিজ্ঞেস করেছে ওটা পৃথিবীর ওপর আছড়ে পড়ার কোনো সম্ভাবনা আছে কিনা, যেমন মুভিতে দেখা যায়, মজিদ স্যার তখন ওদের আশ্বস্ত করে বলেছে যে সেরকম কোনো ভয় নেই। তবে অন্য একটা সমস্যা হলেও হতে পারে। স্যারের কথা মৌরিন পুরোপুরি ধরতে পারেনি, শুধু এইটুক বুঝেছে যে – কোনো গ্রহের খুব কাছে দিয়ে বড়ো কোনো জিনিস চলে গেলে কখনো কখনো আশ-পাশের আরেকটা জগতের দরজা খুলে যেতে পারে।

স্যার মনে করে, আমাদের পৃথিবীর মতো এরকম অনেকগুলো পৃথিবী আছে। এসব পৃথিবী আমাদের পাশাপাশিই রাখা আছে, কিন্তু আমরা ওগুলো কোনোদিন দেখতে পারবোনা। পৃথিবীগুলো সব একইরকম, ছোট-খাটো জিনিসগুলো শুধু আলাদা। যেমন, আরেকটা পৃথিবীতে মজিদ স্যারের মতো হুবহু আরেকজন স্যার আছে, কিন্তু সেই স্যার হয়তো বিজ্ঞান না পরিয়ে ধর্ম পড়ায়।

তাহলে কি এমন আরেকটা পৃথিবী থাকতে পারে, যেখানে নিতুকে কোনো বিড়াল বা এ জাতীয় কিছু মেরে ফেলে নি, সে দিব্যি বেঁচে আছে! হতেও তো পারে, তাই না! মানুষ তো আর সবকিছু জানে না। আর যদি সেরকম কোনো পৃথিবী থেকেই থাকে, সেখানে যাওয়ার নিশ্চয়ই কোনো উপায়ও আছে।

স্যার একবার বলেছিলো, মানুষ যখন খুব বেশি চেষ্টা করে তখন কখনো কখনো সে কষ্টের পৃথিবী থেকে এরকম পাশের আরেকটা আনন্দের পৃথিবীতে চলে যেতে পারে। আর এজন্যই মানুষের উচিত সবসময় ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য চেষ্টা করা। সিরাজুল ইসলাম স্যারও ধর্ম ক্লাসে একবার এরকম একটা কথা বলেছিলো, বিপদাপদে পড়লে দোয়া করে খোদার কাছে সাহায্য চাইতে হয়, তাহলে খোদা মানুষের জন্য দুনিয়া বদলে দিতে পারেন।

কিন্তু মৌরিন বুঝে পেলো না, নিতুকে ফিরে পাবার জন্য সে কি ধরণের চেষ্টা করতে পারে। ও তো ছোট মানুষ, আর পৃথিবীটা এত বড়ো আর এত জটিল, তাহলে সে কোথা থেকে তার চেষ্টা শুরু করবে! আজ রাতে যদি ধূমকেতুটা ওদের বাসার ওপর দিয়ে যায়, তাহলে কি সমান্তরাল আরেকটা পৃথিবীর দরজা ওর আর নিতুর জন্য খুলে যেতে পারে?

কিন্তু সেটা যদি হয়ও, তাহলে এই পৃথিবীর মৌরিনের কি হবে? সে কি এখান থেকে উধাও হয় যাবে? নাকি তার মনটাই শুধু এই পৃথিবী ছেড়ে ওই পৃথিবীতে গিয়ে উপস্থিত হবে? সে যাই হোক না কেন, আজ রাতে স্কুলের মাঠে গিয়েই ব্যাপারটা পরীক্ষা করে দেখতে হবে। নিতুর জন্য আজ ওকে এই চেষ্টাটা করতে হবে, করতেই হবে।

রাতের খাওয়া শেষ হতেই মা মৌরিনের সাথে তার পড়ার ঘরে চলে এল – “মৌরিন, তুমি পড়ার টেবিলে বস তো। একটা বই খুলে বস। না, না, একটা খাতা আর একটা কলম নাও, তারপর মাথা নিচু করে লিখার মতো করতে থাকো।”

“কোন খাতা নেবো, কি লিখবো?”

“আরে একটা যেকোনো খাতা নাও না কেন? দেখছোনা ছবি তুলছি?”

“মা, আমার ভালো লাগছে না।”

“একদম চুপ, মুখে মুখে তর্ক করা তোমার অভ্যাস হয় যাচ্ছে। যেটা বলেছি সেটা করো।”

মৌরিন ড্রয়ার থেকে একটা খাতা আর একটা পেন্সিল বের করলো। পেন্সিলটার শীষ ভাঙা, কিন্তু শার্পনার করার সময় বোধহয় পাওয়া যাবে না।

“হ্যা, লেখো। বোকার মতো তাকিয়ে আছো কেন?”

সে ভাঙা পেন্সিল দিয়ে খাতার মধ্যে আঁকি-বুকি করতে থাকলো।

“তোমরা তো বুঝবে না, সমাজে তোমাদের স্ট্যাটাস ঠিক রাখার জন্য আমাকে কত কিছু করতে হয়। মানুষ জানবে তুমি লক্ষী মেয়ে, লেখাপড়া করছো। কিন্তু এসব এখন তুমি বুঝবে না, মা হলে তখন বুঝবে।”

মায়ের ছবি তোলা শেষ হতেই মৌরিন খাতা-পেন্সিল আগের জায়গায় রাখতে শুরু করলো – “মা, আমি শুয়ে পড়ি? খুব ঘুম আসছে।”

“হ্যা, শোও।” – মোবাইলে মেয়ের ছবি পরীক্ষা করতে করতে মা বললো, তারপর কোনো কথা-বার্তা ছাড়াই উঠে লাইট বন্ধ করে চলে গেলো।

মৌরিন জানে, মা এখন মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। বাবাও ব্যবসা নিয়ে লোকদের সাথে কথা বলবে। এটাই সুযোগ, কেউ বুঝবেও না ও বাসায় নেই। মৌরিন বিছানায় না গিয়ে জ্যাকেটটা গায়ে দিলো, তারপর পা টিপে টিপে আস্তে করে খাবার ঘরের দরজা দিয়ে বাইরে বেরিয়ে এল। নিতুর শূন্য খাচাটার পাশ থেকে স্কুলে যাওয়ার সাইকেলটা নিয়ে সন্তর্পনে বেরিয়ে এল রাতের নির্জন রাস্তায়।

স্কুলের মাঠ থেকে আকাশটা যত বড়ো দেখা যায়, তেমনটা আর কোথাও থেকে দেখা যায় না। ধূমকেতুটা যদি দেখা যায়, তাহলে এখান থেকেই দেখা যাবার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

কিন্তু এক ঘন্টার বেশি হয়ে গেছে, কোনো কিছুই দেখা যাচ্ছেনা। তাহলে কি কোথাও কোনো ভুল হয়ে গেলো? বাতাসের কারণে একটু একটু ঠান্ডা লাগছে, পাতলা জ্যাকেটে শীত মানছে না। তার চেয়েও বেশি লাগছে ভয়, যদি খারাপ কিছু হয়, যদি কোনো অশরীরী কিছু হঠাৎ কোথাও থেকে এসে পড়ে! মৌরিন মাটিতে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়লো, তাহলে আর কেউ আচমকা পেছন থেকে এসে ওকে ধরতে পারবে না।

আর ঠিক তখনি সে ওটা দেখতে পেলো। আকাশের এক পাশ থেকে ছোট্ট একটা আলোর বিন্দু আস্তে আস্তে করে মাঝ আকাশে আসতে শুরু করেছে। প্রচন্ড উত্তেজনায় নিজের অজান্তেই সে উঠে বসলো। ওর নানাভাই ওকে একবার তারাখসা দেখিয়েছিলো, কিন্তু ওগুলো জ্বলে উঠে আবার নিভে যায়, আর এটা চলছে তো চলছেই।

মৌরিন অবশ্য মিনিট পাঁচেকের বেশি আলোর বিন্দুটাকে দেখতে পেলো না। কোথা থেকে কুয়াশা আসা শুরু করেছে, আর সেটা আকাশটাকে বার বার ঢেকে দিচ্ছে। একসময় কুয়াশা একটু সরে গেলো, কিন্তু সে আর বিন্দুটাকে খুঁজে পেলো না।

এখন বোধ হয় বাসায় ফেরা দরকার। কোনো কিছু বদলে গেছে বলে একদমই মনে হচ্ছেনা। এভাবে বাসা থেকে বের হয় আসাটা বোধ হয় একদম ঠিক হয় নি। বাবা-মা নিশ্চয়ই এতক্ষনে টের পেয়ে গেছে। আজ বাসায় ফিরলে আর রক্ষা নেই, কিন্তু বাসায় না ফিরেই বা উপায় কি! এখানে তো আর এভাবে সারারাত বসে থাকা যাবে না।

কিন্তু সাইকেলে চড়ে বসামাত্র মৌরিন বুঝতে পারলো যে সে এক হাত দূরের জিনিসও দেখতে পাচ্ছে না। কুয়াশা কখন যে এত ঘন হয়ে গেছে, সে বুঝতেই পারে নি। এই প্রথম তার ভীষণ ভয় লাগা শুরু করলো, ওর কেন যেন মনে হলো ও মারা যাচ্ছে। সাইকেলটা একপাশে ফেলে দিয়ে সে দিক আন্দাজ করে করে একা হাটতে শুরু করলো। সাইকেলটা ওর অনেক প্রিয়, কিন্তু এই কুয়াশার মধ্যে এখন আর এটাকে সাথে নিয়ে এগুবার কোনো মানে নেই, দরকার হলে কালকে সকালে স্কুলে এসে এটার খোজ করা যাবে।

হাটতে হাটতে একসময় সে বুঝতে পারলো সে মাঠ থেকে বের হয়ে একটা রাস্তায় এসে উঠেছে, যদিও রাস্তাটা ওর কাছে একদম অপরিচিত মনে হলো। কোনো লোকজন নেই, একটা রিক্সা পর্যন্ত নেই, তবু সে সাহস করে সামনের দিকে হাটতে থাকলো। এদিকে কুয়াশা একবার বাড়ছে আর একবার কমছে, হয়তো মৌরিনকে আরো বেশি করে বিভ্রান্ত করে দেয়ার জন্যই।

ওর মনে নেই কতক্ষন হেঁটেছে। এক ঘন্টা! তিন ঘন্টা! অনন্তকাল! মৌরিন যখন আর হাটতে পারছিলো না, তখনি কুয়াশার ভেতর সামনে কোথাও একটা আলো দেখতে পেলো। ছোট্ট শরীরের সমস্ত শক্তি একসাথে করে সে আলোর দিকে এগুতে শুরু করলো।

মৌরিন স্বস্তির একটা নিঃশ্বাস ফেললো, যখন দেখলো এটা ওর বাসারই বারান্দার আলো। ও তাহলে ঠিক পথেই এসেছে। শব্দ হয় না এমনভাবে পা ফেলে ফেলে এগিয়ে গিয়ে সে দরজার কড়া নাড়তে শুরু করলো।

ধুপ-ধাপ আওয়াজ শুনে সে বুঝতে পারলো কেউ হন্ত-দন্ত হয়ে বসার ঘরের দিকে আসছে। দরজাটা খুলে যেতেই সে বাবাকে দেখতে পেলো, পেছনে মা।

বাবা তাকে জড়িয়ে ধরলো – “মৌরিন, তুমি কোথায় চলে গিয়েছিলে? আমরা কত জায়গায় খুঁজেছি!” মাও কাঁদতে কাঁদতে তাকে জড়িয়ে ধরলো।

“ভাইয়া কোথায়? ঘুমিয়ে গেছে?” মৌরিন অবাক হচ্ছিলো, এত বড়ো ঘটনা ঘটে গেলো অথচ ভাইয়াটা ঠিকই স্বার্থপরের মতো ঘুমাচ্ছে।

“ভাইয়া? কোন ভাইয়া?” বাবা অবাক হয়ে বললো।

“রাখো তো,” – মা ওকে কোলে টেনে নিলো – “ও কত সময় বাইরে ছিল, ওর কি মাথা ঠিক আছে?”

“বাবা, আমি কিন্তু কালকের স্কুলের হোমওয়ার্ক করতে ভুলে গেছি।” – মৌরিন মাটির দিকে তাকিয়ে বলে।

“দেখো তো, আমি কি কোনোদিন তোমার হোমওয়ার্ক নিয়ে কিছু বলেছি। তুমি তো লক্ষী মেয়ে, সবসময় নিজের পড়া নিজেই করো। বুঝেছি, তুমি অনেক টায়ার্ড। যাও বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ো। কালকে আমরা এসব নিয়ে কথা বলবো।”

বাবা-মাকে কেন এতো অচেনা লাগছে! ভাইয়া কি আসলেই নেই! নিশ্চয়ই এর মধ্যে বিশেষ কোনো একটা কিছু ঘটে গেছে। হঠাৎ একটা জিনিস মনে পড়তেই মৌরিন দৌড়ে গেলো খাবার ঘরের দিকে। ওদিকের দরজাটা, যেদিক দিয়ে সে একটু আগে বাসা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলো, ওটা খুলে ওর একটা জিনিস দেখতে হবে। পেছনে ওর বাবা-মা অবাক-বিস্ময়ে ওর দিকে তাকিয়ে।

চরম উত্তেজনা নিয়ে ওপাশের বাইরে যাবার দরজাটা মৌরিন খুলে ফেললো, তারপর অবাক বিস্ময়ে দেখলো নিতুটা ঠিক আগের মতোই খাঁচার ভেতর বসে বসে ঝিমাচ্ছে, আর ওর সাইকেলটা পাশে পড়ে আছে ঠিক যেমনভাবে ওটা ছিল ও স্কুল থেকে ফেরার পর।

(রহস্য গল্প / মায়িন খান, ডিসেম্বর ২০২০)

One thought on “কুয়াশা

Leave a reply to Samir Cancel reply