…………………..
সাধারণত বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ওজনও বাড়তে থাকে। ভারী হতে থাকে শরীর। এ নিয়ে অনেককেই বিপাকে পড়তে দেখা যায়। শরীরে দেখা দেয় নানা সমস্যা ও অসুখ-বিসুখ।
বয়সের সাথে সাথে ওজন বাড়ার প্রধান কারণ হচ্ছে ২ টি…।
১। বয়সের সাথে সাথে আমাদের হজম শক্তি কমতে থাকে, মেটাবলিজম বা বিপাক ধীর হতে থাকে। খেয়াল করলে হয়তো দেখবেন, যে পরিমান খাবার আপনি অল্প বয়সে যত তাড়াতাড়ি খেয়ে হজম করতে পারতেন, সেই একই পরিমান খাবার আপনি এখন আর খেতেও পারেন না। আবার খেতে পারলেও, আগের মতো হজম করতে পারেন না। এর কারণই হলে ধীর গতির হজম ও মেটাবলিজম। এই হজম আর মেটা বলিজম বাড়ানোর প্রথম, প্রধান উপায় হোল বেশি বেশি চলাফেরা করা বা ব্যায়াম করা।
২। বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের লিপিড টার্নওভার কমতে থাকে। লিপিড টার্নওভার হোল, আমাদের শরীরে, চর্বি বা তেল জমার এবং খরচ হবার হার। এই হার কমার কারণে, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় অদরকারী ফ্যাট জমে। আবার জমা ফ্যাটও ঠিকমতো খরচ হয় না। এই লিপিড টার্নওভার বাড়ানোর একমাত্র উপায় হোল চলাফেরা বাড়ানো বা রেগুলার ব্যায়াম করা।
আমাদের শরীর তার নিজস্ব সায়েন্টিফিক পথে চলে। তাকে থামানো আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। কোন বিজ্ঞানী বা চিকিৎসকই আজ পর্যন্ত তা বের করতে পারেন নি। তাই বয়স বাড়ার সাথে সাথে দেহের ওজন বাড়বে, এই সত্য আমাদের স্বীকার করে নিতেই হবে। তবে কিভাবে এই ওজন বৃদ্ধিকে ধীর করা যায় বা অপরিবর্তিত রাখা যায়, সেটাই আমাদের চেষ্টা হউয়া উচিৎ। বিজ্ঞানীরা বর্তমানে অনেক রিসার্চের মাধ্যমে আবিষ্কার করেন যে, একমাত্র শারীরিক পরিশ্রমই পারে, এই সমস্যাকে ধীর করে দিতে কিংবা শরীরকে ফিট রাখতে।
আমাদের শরীর একটা মেশিনের মতো। এই মেশিনকে যত বেশি চালু রাখা যাবে, ততো মেশিনের চলার শক্তি বাড়বে। তাই শারীরিক পরিশ্রমের কোন বিকল্প আজ পর্যন্ত পাওয়া যায় নাই। যতদিন এই শারীরিক পরিশ্রম চালিয়ে যাবেন, ঠিক ততদিন আপনি আপনার ওজন অপরিবর্তিত রাখতে পারবেন, বলে আশা করা যায়।
প্রতিদিন নিয়ম করে ৪৫-৬০ মিনিট জোরে জোরে হাঁটুন, নিজে চলুন আর শরীরকে সুস্থভাবে চলতে দিন।
যেকোনো রোগ বা সমস্যার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
