নাস্তিক সমাচার (৩)

পর্ব ২: নাস্তিকতার পক্ষে যুক্তিসমূহ

অধ্যায় ১: ঈশ্বর থাকলে পৃথিবীতে এত দুঃখ, কষ্ট ও সমস্যা কেন?

মঙ্গলবার সকালে মুনির একটু তাড়াতাড়ি উঠল। ফাদার সুশান্ত ডি সিলভা ময়মনসিংহে এসেছেন, কোন কারণে মুনিরের সাথে কথা বলতে চাইছেন। ফাদার সুশান্ত খ্রিস্টান কংগ্রেগেশন সার্কেলে খুবই সম্মানিত একজন ব্যক্তি, মুনির তাই এই নিমন্ত্রণকে বেশ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে। উনি ব্রাদার বেনেডিক্টের বাসায় আতিথেয়তা নিয়েছেন।

বাইরে আজ বেশ রোদ। নীল আকাশে অল্প কিছু সাদা মেঘ। মুনির দুটা রুটি আর একটা কলা মুখে দিয়ে নীল রঙের নতুন শার্টটা পরে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। মোড়ের দোকান থেকে এক কাপ চা খাবার পর ওর বেশ সতেজ লাগা শুরু করল। রাস্তায় কোন জ্যাম নেই, দশ মিনিটের মধ্যে সে ব্রাদার বেনেডিক্টের বাসার সামনে পৌঁছে গেল।

একটা দোতলা বাসার নিচের তলায় ভদ্রলোক থাকেন, সামনে কলাপ্সিবল গেটের সামনের সরু জায়গাটা উঁচু দেয়ালের কারণে অন্ধকার হয়ে আছে। বেল বাজাতেই এসে তালা খুলে মুনিরকে ভেতরে নিয়ে গেলেন। এই ব্রাদারের সাথে মুনিরের আগে ফোনে কথা হয়েছে, এই প্রথমবার তাকে দেখল। ছোটখাট মানুষ, ইন করে শার্ট পড়েছেন দেখে মনে হচ্ছে তিনি রীতিমতো অফিসে যাচ্ছেন।

ফাদার সুশান্ত ওর অপেক্ষাতেই ছিলেন। মুনির ঘরে ঢুকতেই উঠে দাঁড়িয়ে হাত মেলালেন। এই ঘরটায় একটা বড় জানলা আছে, সিঁড়িঘরের তুলনায় চারপাশটা বেশ উজ্জ্বল বলে মনে হল মুনিরের কাছে। ফাদার তাকে ডেকে নিজের পাশে বসলেন।

ভদ্রলোক বেশ লম্বা, শ্যামলা, পরিপাটি করে চুল আঁচড়ানো। ত্যাগী মানুষের মতো বসে যাওয়া গাল আর কোটরাগত চোখ। শান্ত দৃষ্টির সাথে পরিচ্ছন্ন ধবধবে সাদা আলখাল্লা তার মধ্যে একটা পবিত্র ভাব নিয়ে এসেছে।
‘মুনির, বেনেডিক্টের কাছে তোমার কথা শুনেছি আমি। আসলে আমি একটা মিশন নিয়ে ময়মনসিংহে এসেছি, কয়েকদিন থাকব। আজ সকালে কিছুটা ফ্রি টাইম ছিল, ভাবলাম ওকে বলি তোমাকে যেন আস্তে বলে। তরুণদের সাথে পরিচিত হতে আমার সবসময়ই ভালো লাগে, প্রাণের একটা উচ্ছলতা অনুভব করতে পারি নিজের মনের মধ্যে। আশা করি তোমার এখানে আসতে কষ্ট হয় নি।’
‘না, কষ্ট হয় নি।’

বেনেডিক্ট এসময় একটা ট্রেতে এক গ্লাস লেবুর শরবত, কিছু বিস্কিট, কাটা আপেল আর তিন কাপ চা এনে সামনের ছোট টেবিলটায় রাখল, তারপর মুনিরকে অনুরোধ করল শুরু করতে। মনে হচ্ছে সব কিছু তৈরিই ছিল।

ফাদার একটা চায়ের কাপ হাতে তুলে নিলেন।
‘আমরা নাস্তা করেছি, চা বাকি ছিল, তোমার সাথে একসাথে খাব বলে।’

মুনিরও একটা কাপ হাতে নিয়ে চায় চুমুক দিল। ফাদার সুশান্ত সুন্দর করে হাসলেন।
‘আমি কিন্তু তোমার বেশ কয়েকটা ব্লগ পড়েছি। আমার কাছে তোমার লেখাগুলো খুব সুচিন্তিত মনে হয়েছে।’
‘থ্যাংক ইউ ফাদার।’
‘তোমার ব্লগের যে দিকটা আমার ভালো লাগে সেটা হল তোমার লেখা যুক্তির ওপর ভর করে এগিয়ে চলে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আমাদের এই উপমহাদেশে যুক্তি আর মুক্তবুদ্ধির চর্চার দারুণ অভাব। যে কারণে দেখো ধর্মের স্থান নিয়েছে ধর্মান্ধতা, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পরিবর্তে এসেছে সন্ত্রাস।’
‘জি।’
‘কিন্তু তোমার যে ব্যাপারটা আমাকে বেশি আকর্ষণ করেছে সেটা হল নিজের পারিবারিক ধর্মকে প্রশ্ন করতে পারা। এ সাহসটা সবার থাকে না, তোমার আছে, এজন্যই তুমি অন্যদের থেকে ব্যতিক্রম।’
‘জি।’
‘কিন্তু ধর্ম মানেই খারাপ কিছু না, আর সব ধর্ম একরকমও না। আমাদের মিশনের কাজ হল প্রভু যীশুর ভালোবাসার বাণী সর্বসাধারণের মধ্যে প্রচার করা। যীশুর চর্চায় কোন সন্ত্রাসের স্থান নেই, এটা শুধুই মানুষের সাথে মানুষের সুসম্পর্ক তৈরির সুযোগ তৈরী করবে।’
‘আচ্ছা।’
‘আমরা শুধু শান্তির বাণীই প্রচার করি না, মানুষের মাঝে শান্তি স্থাপনের জন্যও কাজ করি। এই ময়মনসিংহ এলাকাতেই আমাদের বেশ কিছু জনকল্যাণমূলক উদ্যোগ আছে। তোমাদের এলাকাতেই আমাদের একটা হাসপাতাল আছে, বেশ কিছু সুপেয় পানির প্রকল্প নিয়েছি, প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে স্কুল চালু করেছি, সুবিধাবঞ্চিত আদিবাসী জনগোষ্ঠীগুলোর কল্যাণের জন্য কাজ করছি।’
‘আচ্ছা।’
‘তোমাকে এসব কিছু বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে জানিয়ে রাখা যে এসব প্রকল্পের যেকোনোটাতে যদি তোমার আগ্রহ থাকে, তাহলে আমাদের দরজা তোমার জন্য সবসময় খোলা থাকবে। তোমাদের মতো মুক্তমনা তরুণই প্রকল্পগুলোতে আমাদের প্রয়োজন।’
‘ধন্যবাদ ফাদার। আপনার এই অফারের জন্য আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। আমি ব্রাদার বেনেডিক্টের সাথে যোগাযোগ রাখব।’

ওদের চা শেষ হয়ে এসেছিল। বেনেডিক্ট মুনিরের দিকে বিস্কুট আর আপেল এগিয়ে দিল। ফাদার তার চায়ের কাপ নামিয়ে রেখে মামুনের পিঠে হাত রাখলেন।
‘শুনেছি তোমার রিসেন্টলি একটা অপারেশন হয়েছে। সব ঠিক-ঠাক আছে তো?’
‘থ্যাংক ইউ, জানতে চেয়েছেন বলে। আমি খুবই সাধারণ একটা ছেলে। হ্যা, গত মাসে আমার গলায় একটা অপারেশন হয়েছিল, সব ঠিকভাবেই হয়েছে। কিন্তু অটোপ্সির পর ওরা জানিয়েছে যে গলার ওই গ্ল্যান্ডটার ভেতর ক্যান্সার সেল ছিল, হয়তো সেটা বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে। অসম্ভব না যে এই মুহূর্তে আমি শরীরে এই জিনিসটা বয়ে বেড়াচ্ছি।’

ঘরে হঠাৎ নীরবতা নেমে এল। সুশান্ত আর বেনেডিক্ট দুজনই চুপ হয়ে গেলেন। মুনির নিজেও জানে না সে কেন এই কথাটা এখানে বলে ফেলল, সম্ভবত ফাদারের ব্যবহারে এক ধরণের আন্তরিকতা ছিল বলেই সে কথাটা বলে হালকা হতে চেয়েছে।

ফাদার সুশান্ত মুনিরকে কাছে টেনে নিলেন।
‘চিন্তার কিছু নেই, মুনির। ঈশ্বর কল্যাণময়, ঈশ্বরের মহাপরিকল্পনায় মন্দ কিছু থাকতে পারে না।’

মুনির কথাটা মাথা নিচু করে শুনল প্রথমে।
‘ঈশ্বর বলে যদি কেউ থাকে, তাহলে আমাদের জীবনে কেন এতো কষ্ট?’

ফাদার মুনিরের মাথায় হাত বুলালেন।
‘ব্রিটিশ দার্শনিক জন হিক বিশ্বাস করতেন যে স্রষ্টা মানুষকে অসম্পূর্ণ করে বানিয়েছেন আর জীবনটা হলো নিজেকে সম্পূর্ণ করার এক যাত্রা। দুঃখ-কষ্ট মানুষের আত্মাকে সেভাবে খাঁটি বানায়, যেভাবে আগুন স্বর্ণ থেকে খাদকে দূর করে। অনেকসময় জীবনের মানে খুঁজে পাওয়ার জন্যই দুর্ঘটনার দরকার হয়ে পড়ে।’

‘যদিও আমি এগুলো বিশ্বাস করতে পারছি না, তবুও তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম এটা আমাকে মানুষ হিসেবে সম্পূর্ণ করেছে। কিন্তু যারা রোড একসিডেন্টে মারা যায়? এই কয়েক বছর আগেই আমার পরিচিত এক ভদ্রলোক এরকম এক একসিডেন্টে তার ওয়াইফ আর ইয়াং ছেলেকে হারিয়েছেন। আমি নিশ্চিত, যে বাসের সাথে সংঘর্ষ হয়েছিল সেখানেও অনেক শিশু ছিল, নিরীহ নারী-পুরুষ ছিল, যারা স্পটেই মারা গেছে। ওরা তো সব কষ্ট পেয়ে মারা গেল, কিন্তু এই কষ্ট থেকে শেখার তো কোন সুযোগ পেল না। ওদের ব্যাপারে তো আপনার এই যুক্তি খাটবে না।’

‘কিন্তু ওদের ব্যাপারে অন্য যুক্তি আছে। তুমি কেন এভাবে ভাববেনা যে স্রষ্টা পৃথিবীকে সৃষ্টি করেছেন, তারপর কিছু নিয়ম-কানুনে জগৎটাকে বেঁধে দিয়েছেন? মানুষ যখন নিয়মের বাইরে কিছু করে, তখনি দুর্ঘটনা ঘটে। দেখো এখানে হয়তো এই ভদ্রলোকের ড্রাইভারের ভুল ছিল, কিংবা বাস ড্রাইভারের ভুল ছিল, অথবা দুজনেরই ভুল, তাই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঈশ্বর কিন্তু আকাশ থেকে ফেরেস্তা পাঠিয়ে দুটো গাড়িকে সামনা সামনি করে দেননি।’

‘অবশ্যই ড্রাইভারের ভুল ছিল, এটাই যুক্তির কথা, এ ব্যাপারে আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত আমি। কিন্তু আমার প্রশ্ন হল ওই বাসের যাত্রীগুলো যারা মারা গেছে তাদের কি দোষ ছিল? তারা তো গাড়ি চালাচ্ছিল না, এই দুর্ঘটনায় তাদের তো কোনো দোষ বা অবহেলা নেই।’

‘শোনো মুনির, আমি জানি তোমার মনটা এখন নরম হয়ে আছে, তবু তোমাকে একটা কথা বলি। আমরা মানুষ হিসেবে জগতের খুব ছোট একটা ছবি দেখি, কিন্তু ঈশ্বর ওপর থেকে পুরো ছবিটা দেখছেন। ঈশ্বর কল্যাণময়, তার পরিকল্পনার ওপর আমি আস্থা রাখতে চাই। তিনি যা করেছেন তার মধ্যে কোন না কোনভাবে আমাদের জন্য ভালো কিছু রয়েছে। আর দেখো, মরতে তো একদিন হবেই, মহাকালের তুলনায় একটা বিশ বছরের জীবন আর আরেকটা ষাট বছরের জীবন আসলে একইরকম তুচ্ছ।’

‘আপনি কিন্তু ধরেই নিয়েছেন ঈশ্বর আছে, তারপর তার ওপর যুক্তি সাজাচ্ছেন। এটা যুক্তি-তর্কের ঠিক পদ্ধতি না।’

‘তুমিও তো ধরেই নিয়েছো যে ঈশ্বর বলে কেউ নেই। সেটা কিভাবে যুক্তি-তর্কের ঠিক পদ্ধতি হয়? আমি তোমাকে যেটা বোঝাতে চেয়েছি সেটা হল, ঈশ্বরের ধারণা অযৌক্তিক কোন কিছু না। হ্যাঁ, সৃষ্টির এই মডেল তোমার ভালো না লাগতে পারে। কিন্তু তুমি এটা বলতে পারো না যে সৃষ্টির এই ধারণাটা নিশ্চিতভাবেই ভুল।

তোমাকে মনে রাখতে হবে, সৃষ্টির যে মডেলে ধার্মিক লোকজন বিশ্বাস করে, সেখানে পরকাল বলে একটা কথাও আছে। তুমি হয়তো সেটাতে বিশ্বাস কর না, কিন্তু পরকাল বলে যদি কিছু থাকে তাহলে কিন্তু সেখানে দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া একজন মানুষের সব কষ্টের শোধ-বাদ হয়ে যাবার কথা। ইতালির প্রখ্যাত যাজক সেইন্ট টমাস একুইনাস প্রায় হাজার বছর আগে ঠিক এ ধারণাটাই প্রচার করেছিলেন। ত্রিশজন লোক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে ঠিকই অকালে মারা যেতে পারে, কিন্তু ওরা যদি পরকালে অনন্তকালের জন্য বেহেশত পায় তাহলে তো তাদের আর কোন আফসোসই থাকবে না। এটা তো শেষপর্যন্ত খোদার ন্যায়বিচারই হল।’

‘দুঃখিত ফাদার, আমার মনে হচ্ছে এটা শূন্যের ওপর ঘর বানানো, হয় তো আমরা নিজেদের স্বান্তনা দেবার জন্যই কেবল এসব বলছি। সত্য তো এই যে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে এটা একটা বড় যুক্তি।’

‘দেখো, বাইবেল কোরান দুটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে পার্থিব জীবন পুরোটাই একটা পরীক্ষা, বিপদাপদ তো অবশ্যই মানুষের জন্য পরীক্ষা। যে বিশ্বাসী, সে সুখ আর নিরাপত্তার সময় স্রষ্টার দিকে এগিয়ে যায় কৃতজ্ঞ হওয়ার কারণে, আর দুঃখ-কষ্টের সময়ও স্রষ্টার দিকে এগিয়ে যায় ধৈর্য ধরা আর স্রষ্টার ওপর ভরসা রাখার মাধ্যমে। সে পুণ্যের সময় স্রষ্টার কাছাকাছি থাকে আশা করে করে, এমনকি পাপের সময়ও কাছাকাছিই থাকে যদি তার মধ্যে অনুশোচনা থাকে। এসব কারণেই একজন বিশ্বাসী সুখ দুঃখ দুই অবস্থাতেই শান্তিতে থাকতে পারে, এ জীবনের স্বাদ কিন্তু একজন সন্দেহবাদী কোনোদিনই জানবে না।’

মুনির চুপ করে ছিল। ফাদার ওর হাতের ওপর হাত রাখলেন।
‘শোনো মুনির, একটা দরকারি কথা বলি। আমাদের মিশনারির আরো কিছু কার্যক্রম আছে, যা তোমার এই অবস্থায় তোমার কাজে লাগলেও লাগতে পারে। তুমি যদি মনে কর ঈশ্বরের আরেক সন্তান হিসেবে তোমার চিকিৎসার জন্য আমরা তোমার পাশে এসে দাঁড়াতে পারি, তাহলে প্লিজ আমাকে কিংবা তোমার এই ভাইকে জানাবে। আমরা নিশ্চয়ই কিছু না কিছু তোমার জন্য করতে পারব।’

মুনির বলল যে সে প্রয়োজন হলে ব্রাদার বেনেডিক্টের সাথে যোগাযোগ করবে। ফাদারের সাথে তার সাক্ষাৎকারের সময় শেষ হয়ে এসেছিল, ওদের দুজনকেই ধন্যবাদ দিয়ে বিদায় নিয়ে সে বাইরে বেরিয়ে এল।

রাস্তায় নেমে মুনির দেখলো তার মোবাইলে ইশার একটা মেসেজ এসেছে – ‘ভাইয়া, আপনি আমার দুঃস্বপ্নটার কথা ভুলে যাবেন না। কালো পাঞ্জাবি থেকে সাবধান।’

মুনির নিজের মনেই হাসল। ইশা, তোমার স্বপ্ন যদি অর্থপূর্ণ কিছু হয়ও তাহলেও এর মানেটা আক্ষরিক নয়, বরং রূপকার্থে এর মানে হতে পারে শরীরের ভেতর বাড়তে থাকা ক্যান্সার সেল।

বাইরে ততক্ষনে রোদ আরো কড়া হয়েছে, মাথার ওপর গনগনে সূর্য। মুনির কোন কারণে খুব ক্লান্তি অনুভব করতে শুরু করল। পথের ধারের জামগাছটার নিচে যদি একটা বিছানা থাকত তাহলে মুনির ওটাতে গিয়ে এখনই শুয়ে পড়ত তারপর তলিয়ে যেত অতল এক বিস্মৃতিতে।

(চলবে)

One thought on “নাস্তিক সমাচার (৩)

  1. One important aspect of such philosophy is that God isolates Himself from his creation – that’s how He chooses to do it. He is absolutely capable, so, that isolation is perfect. There is no way to prove God from the side of His creation. The best we can do is ask questions and anticipate. Unless God introduces himself to His creation by any means, no creation can prove or disprove Him. Therefore everything about such rational argument is based on whether one believes in that information (like scripture) or not. When someone tries to believe or disbelieve without receiving the information (from God), there is an obvious chance of disaster – both for believer and disbeliever.

    Tough job for anyone to write such a conversation. Good luck with your effort! Shall eagerly wait for the next episode!

    Liked by 1 person

Leave a comment