জেনে নিন আপনার পেটের মেদ কোন আকৃতির এবং কিভাবে তা নিয়ন্ত্রন করবেন

………………..

সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, ৩০বছরের পর শুধু ওজন ঠিক রাখলেই হবে না। ওজনের গতিবিধি লক্ষ্য রেখে পেট বা কোমরের পরিধির পরিমাপও ঠিক রাখতে হবে। এই পরিমাপ আপনাদের সঠিক ওজনের পাশাপাশি জানিয়ে দিবে আপনার বডি টোনিং বা বডি শেইপের খবর, আপনার ফিটনেস এবং আরো বলে দেবে আপনার স্বাস্থ্যের অবস্থা।

সাধারণত, কোমরের মাপ মেয়েদের ক্ষেত্রে যদি ৩৫ ইঞ্চির বেশি এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে যদি ৪০ ইঞ্চির বেশি হয়, তবে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর বলে ধরে নেয়া হয়। আর মাপটি নিতে হবে ঠিক নাভীর উপর বরাবর।

আমাদের শরীরে, লিভার, স্প্লীন, হার্ট, ফুসফুস, কিডনি প্রভৃতি প্রয়োজনীয় অঙ্গগুলো সবই ঠিক কোমরের উপরে থাকে। তাই শরীরের এই অংশে ওজন বেশি বেড়ে গেলে, এই অঙ্গগুলোর ওপর চাপ বেশি পড়ে। ফলে এই অঙ্গগুলো ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। দেখা দেয় শরীরে একের পর এক সমস্যা।

পেটের মেদের ক্ষেত্রে, শরীরকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যাদের শরীরের মেদ উপরের পেট বা নাভির চারদিক ঘিরে, তাদের শরীরের গঠনকে ‘আপেল শেইপ’ এবং যাদের শরীরের মেদ কোমরের নিচ থেকে হাঁটুর ওপর পর্যন্ত অংশ জুড়ে থাকে, তাদেরকে ‘পিয়ার্স শেইপ’ বা ‘নাশপাতি শেইপ’ বলা হয়।

নিজের শরীর ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে ‘বডি শেইপ’-এর ধরণ বুঝে নেয়াটা জরুরি। কারণ, শরীরের ধরণ বুঝলে আপনি জেনে নিতে পারবেন আপনার পেট বা কোমর কোন অংশের ব্যায়ামে আপনাকে মনোযোগী হতে হবে।

পেটের পরিধি পরিমাপ করা খুবই ইম্পরট্যান্ট। আপেল বা নাশপাতি, দুটো শেইপই শরীরের জন্য বিরাট দুর্ভোগ বয়ে আনে। আপনার পেটের সাইজ যদি আপেল শেপের হয়, তাহলে বুঝে নিতে হবে যে, আপনার ডায়াবেটিস, হাই ব্লাড প্রেসার, হৃদরোগ ইত্যাদির ঝুঁকি আছে।

আবার মেয়েদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের শরীরে হরমোনের নানা পরিবর্তন ঘটে। এ সময় নাশপাতি গড়নের মেয়েদের তলপেটে জমতে শুরু করে মেদ।

কি কারনে আপেল শেইপ ভুঁড়ি হয়ঃ

১। শর্করা বা কার্বো অতিরিক্ত পরিমানে, অনেকদিন যাবত খেতে থাকলে। যেমন, ভাত, রুটি ইত্যাদি।

২। চিনি ও মিষ্টি জাতীয় যেকোনো খাবার, সবসময় বেশি পরিমানে খেলে।

৩। নিয়মিত হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়াম না করলে। আর এজন্যই আমাদের দেশের গৃহিণীদের পেটে বাড়তি মেদ জমে।

৪। গরু/ খাশি/ ভেড়ার মাংস বেশি বেশি খেলে।

৫। শাকসবজি ও ফলমূল একেবারে কম খেলে।

৬। রাতে ঘুম ঠিকমতো না হলে।

৭। মানসিক অশান্তি বা যেকোনো মানসিক সমস্যা থাকলে।

৮। নিয়মিত পেট ক্লিয়ার না হলে বা কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে।

৯। প্রয়োজনের তুলনায় একেবারে কম পানি পান করলে।

১০। নিয়মিতভাবে হোটেল বা দোকানের তেলে ভাঁজা খাবার খেলে।

১১। প্রসেসড ফুড বা প্রক্রিয়াজাত খাবার, টিন জাত বা ক্যান ফুড বেশি খেলে।

……চলবে

যেকোনো রোগ বা সমস্যার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

……তিনা শুভ্র ।

Leave a comment