……………………..
যে রিফাইনড সুগার বা চিনি আমরা চা-কফি বা মিষ্টান্ন তৈরিতে ব্যবহার করি, তা আখ বা সুগারবীট থেকে তৈরি হয়। কিন্তু যদি এদের প্রস্তুতপ্রণালী খেয়াল করা হয়, তাহলে দেখা যাবে যে, চিনিকে প্রক্রিয়াজাত করার জন্য, এতে মিশানো হয় নানান জাতের প্রাণীয় হাড়ের কয়লা। প্রথমে, আখের রস প্রক্রিয়াজাত করে ক্রিস্টালাইজ করা হয় তাপের মাধ্যমে। পরবর্তীতে, একে ফিল্টার এবং সাদা রঙ্গে রূপান্তরিত করার জন্য ব্যবহার করা হয়, বোন চার বা প্রাণীর হাড়ের কয়লা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গরুর হাড় থেকে বোন চার তৈরি করা হয়। তবে বাইরের দেশে শুকরের হাড়ের কয়লাও ব্যাবহৃত হয়। উচ্চ তাপে এসব প্রাণীর হাড় গরম করা হয় আর তা কয়লা হয়ে গেলে চিনি প্রক্রিয়াজাতে ব্যবহার করা হয়। তবে চিনির মাঝে এসব হাড়ের অবশিষ্টাংশ থাকে না।
সমস্যা হলো, আপনি বাইরে থেকে মিষ্টি খাবার কিনে আনলে তাতে কি রকমের চিনি ব্যবহৃত হচ্ছে তা কি করে বুঝবেন? কেননা, মুসলিম হিসেবে শুকর আমাদের জন্য হারাম এবং বাইরের দেশে যে গরুর হাড়ের কয়লা ব্যাবহার করা হয়, সেই গরু আবার হালাল ভাবে জবেহ করা হয় কিনা তাতেও সন্দেহ থাকে।
তবে কিছু কিছু কোম্পানি শুধুমাত্র আখের রস থেকে চিনি প্রস্তুত করে থাকে এবং সেটা প্যাকেটের গায়ে লিখাও থাকে।
আবার যারা ভেগান বা নিরামিষ ভোজী আছেন, তাদের জন্যও এই চিনি খাওয়া যাবে না।
সেক্ষেত্রে চিনির বিকল্প হিসেবে, মধু, গুড় , ম্যাপেল সিরাপ ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে।
আপনি চাইলে স্টেভিয়া খেতে পারেন, যা পুরোপুরি চিনির স্বাস্থ্যকর বিকল্প।
এই লেখার উদ্দেশ্য চিকিত্সা নয়, শুধুমাত্র সচেতনতা বৃদ্ধি করা। কোন ভাবেই এটিকে প্রেসক্রিপসন বা রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা যাবেনা।
যেকোনো রোগ বা সমস্যার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
…….. তিনা শুভ্র ।।

what? but life is meaningless without sugar
LikeLike