…………………….
আপনি যদি 45-55 বছর বয়সের বন্ধনীতে থাকেন এবং একটি পিরিয়ড বাদ দিয়ে থাকেন বা মিস পিরিয়ড হয়, তাহলে, আপনি গর্ভবতী কিনা, তা আগে নিশ্চিত করুন। যদি গর্ভবতী না হোন, তাহলে অতিদ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
প্রাথমিক অবস্থায়, মোটামুটিভাবে, নিচের এই ৪ টি লক্ষণ দেখে বুঝা যাবে, যে আপনি মেনোপজ এ আছেন কিনা।
১। আপনার মাসিক বা পিরিয়ডের সময়কাল, ছোট হতে পারে, দীর্ঘ হতে পারে। পিরিয়ডের পরিমাণ, হালকা হতে পারে, অথবা ভারী হতে পারে এবং ঘন ঘন হতে পারে, এবং আস্তে আস্তে মাসিক বন্ধ হয়ে যাবে।
কিংবা আপনার, একের পর এক, মিস হওয়া পিরিয়ড তৈরি হতে পারে, যা শেষ পর্যন্ত, মাসিক বন্ধও হয়ে যায়।
২। তীব্র তাপের বা গরমের অনুভূতি হতে পারে, যা বুক এবং মুখের দিকে এগিয়ে যায়, প্রচুর ঘাম, লালভাব এবং বুক ধড়ফড় হতে পারে।
৩। রাতে ঘুমের সময়, প্রচুর ঘাম হয়ে, ঘুমের ধরণকে ব্যাহত করে। এছাড়া ঘুমাতে অসুবিধা, অস্থিরতা এবং অনিদ্রার মতো বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৪। আকস্মিক মেজাজের পরিবর্তন, অতিরিক্ত বিরক্তিভাব, উদ্বেগ এবং বিষণ্ণতা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।
যখন একজন মহিলার শেষ মাসিকের পর, 12 মাস ধরে একটানা ঋতুস্রাব হয় না, তখন বলা হয়, সে মেনোপজের পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। 45-55 বছর বয়সী মহিলাদের স্বাভাবিকভাবেই মেনোপজ হয়। তবে কিছু মহিলাদের মধ্যে মেনোপজ আগেও হতে পারে।
আপনি মেনোপজ অনুভব করছেন কিনা, তা বুঝার জন্য, আপনার ডাক্তার, আপনার শারীরিক ও রক্ত পরীক্ষা করতে পারেন। অনেক মহিলাদের জন্য, এই রক্ত পরীক্ষার প্রয়োজন হয় না।
যদি আপনার বা আপনার প্রিয়জনের মেনোপজের লক্ষণ থাকে এবং মাসিক অনিয়মিত হয়ে থাকে, তাহলে আপনার ডাক্তারকে দেখান। আপনার সাথে কথোপকথনের পরে, আপনার ডাক্তার, আপনার মেনোপজ নির্ণয় করতে সক্ষম হবেন।
মেনোপজ একটি প্রাকৃতিক পরিবর্তন, কিন্তু সঠিকভাবে পরিচালিত না হলে, এটি শারীরিক এ মানসিক স্বাস্থ্যের জটিলতা বাড়াতে পারে। এই সম্ভাব্য জটিলতাগুলি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখার জন্য সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা অপরিহার্য।
এই লেখার উদ্দেশ্য চিকিত্সা নয়, শুধুমাত্র সচেতনতা বৃদ্ধি করা। কোন ভাবেই, এটিকে প্রেসক্রিপসন বা রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা যাবেনা।
যেকোনো রোগ বা সমস্যার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
……তিনা শুভ্র ।
……………………………..( চলবে)
